এবার রাবির কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেছে এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তরা

প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ১৮: ২৭

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম মোস্তাফিজুর রহমান আরিফকে অবরুদ্ধ করেছে এডহকে নিয়োগপ্রাপ্তরা। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে প্রশাসন ভবনে নিজ দপ্তরে তাঁকে অবরুদ্ধ করা হয়। আজ বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান তার শেষ কর্মদিবসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৮ জনকে এডহকে নিয়োগ দিয়ে যান। ওই নিয়োগকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে এখনো কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি নিয়োগপ্রাপ্তরা। 

কর্মস্থলে পদায়নের দাবিতে গত শনিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে নিয়োগপ্রাপ্তরা। আন্দোলনের মুখে ফাইন্যান্স কমিটির সভা স্থগিত করে প্রশাসন। উপাচার্য তাঁদের সঙ্গে প্রশাসন ভবনে বৈঠকের আশ্বাস দিলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর রোববার সকাল ৯টার দিকে প্রশাসন ভবনের তালা খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। 

বেলা সাড়ে ১১টার টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করেন। কোষাধ্যক্ষকে তাঁর দপ্তরে অবরুদ্ধ করে। এদিন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দপ্তরে আসেননি। অন্যদিকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করা ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা প্রশাসন ভবনের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।    

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসন ভবনের সামনে গেটে তালা ঝুলছে। কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা সেখানে অবস্থান করছে। অন্যদিকে গেটের ভিতরের বেশ কয়েক জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবস্থান করছে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা তালা খুলে দিয়ে ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বাইরে বেরিয়ে আসে।  

প্রশাসন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ তাঁর দপ্তরের চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর চারদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা অবস্থান করছেন। ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা তাঁদের কর্মস্থলে যোগদান করানোর অনুরোধ জানান। 

আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা তাদের বলেছিলেন, প্রশাসনে ভবনে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তাই তাঁরা প্রশাসন ভবন খুলে দিয়েছে। কিন্তু অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা পরে ভিন্ন কথা বলছেন, তিনি আজ প্রশাসন ভবনে আসেন নি। তাই ফের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এডহকে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য আতিকুর রহমান বলেন, উপাচার্যের কথায় আমরা বিশ্বাস করে তালা খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি পরবর্তীতে কথা রাখেন নি। তিনি বাসায় থেকে অফিস করছেন। তাই আমরা তালা দিয়েছি। আমাদের দাবি একটাই কর্মস্থলে পদায়ন না করা হলে কোনো প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে না। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি তাঁদের বলেছিলাম দেখা করবো। কিন্তু আমি মানসিকভাবে কিছুটা আপসেট। তাই অফিসে যাওয়া হয়নি। এখন শুনছি তাঁরা কোষাধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেছে। 

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের যে দাবি সেটি তো আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। আমি গতকালই মন্ত্রণালয়কে তাঁদের বিষয়টি সমাধানের জন্য জানিয়েছি। তারা পদক্ষেপ না নিলে কিছু করার  নাই।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

ভারত-বাংলাদেশ আলোচনায় হাসিনা প্রসঙ্গে উত্তপ্ত মুহূর্ত

বাংলাদেশ শিগগিরই বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরবে, আশা যুক্তরাজ্যের

কেশবপুরে ২ প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, এলাকায় আতঙ্ক

২৫ টাকায় মাটি পরীক্ষা, ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার যাচ্ছে ৫৬ উপজেলায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত