বেলাল হোসেন, জাবি
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিনেট দ্বারা মনোনীত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি স্থিতিশীল থাকে। এতে শিক্ষা, গবেষণা এবং মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের পথ সুগম হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২ মার্চ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্যদের দাবি দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠুভাবে ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন’ সম্পন্ন করা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। অধ্যাদেশের ১১ (১) ধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচিত করে আচার্যের কাছে পাঠানো।
জানা যায়, ২০১৪ সালে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দেশের প্রথম নারী হিসেবে জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্য হন। সে সময় তিনি আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করায় অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রাজনৈতিকভাবে কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। এই মেয়াদে বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসে। এই মেয়াদের মধ্যে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, ২০১৬ সালের এপ্রিলে ডিন নির্বাচন, একই বছরের জুন মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তবে সময়ের পরিক্রমায় উপাচার্য ফারজানা ইসলাম ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতাবলে ১১ (২) ধারা অনুসারে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন পর্ষদ যেমন—ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও অর্থ কমিটির নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি বহুল প্রতিশ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন গঠন পর্যন্তই থেমে থাকে। এতে ২০১৯ সালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থির হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করে। দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগের তিন মাসের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে বেরিয়ে নতুন শিক্ষক সংগঠন গঠন করেন উপাচার্য। ২০১৮ সালের ৮ মে নতুন এই সংগঠনের নাম দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’, যার বর্তমান নাম ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এই সংগঠনের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। তিনি এর আগে উপাচার্যবিরোধী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর সভাপতি ছিলেন। এই সংগঠন থেকে নির্বাচন করে শিক্ষক সমিতির সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এ কে এম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়াই কোনো উপাচার্য দায়িত্ব পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একনায়কতন্ত্র আচরণ বৃদ্ধি পায়। এতে শিক্ষক রাজনীতিতে নতুন বলয় তৈরি হয়। এ সময় অনেক শিক্ষক নিজের স্বার্থের কারণে দল পরিবর্তন করেন। এতে মুক্তচিন্তার চর্চা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ক্যাম্পাস বিভিন্ন আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ আন্দোলনের একটি চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এতে অধিকাংশ আন্দোলন তার মূল চেতনা থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। এ কারণে উপাচার্য যদি নির্বাচিত হয়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি মেহেদী জামিল বলেন, ‘একজন সিনেট সদস্য হিসেবে আমাদের মৌলিক কাজ বাজেট অধিবেশন ও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। মহামারির কারণে মাত্র একটি বাজেট অধিবেশন করা হয়। এতেই আমাদের তিন বছর শেষ হয়ে যায়। আমরা এখনো উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন পাইনি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি আসা উচিত।’
সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর প্যানেল নির্বাচনে জয়লাভ করে। এই প্যানেলে ছিলেন তৎকালীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন, তৎকালীন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এ বিষয়ে বর্তমান সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখার জন্য হলেও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন জরুরি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়। আমাদের সব সময়ের দাবি ছিল প্যানেল নির্বাচন। এতে সিনেট অর্থবহ হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে।’
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিনেট দ্বারা মনোনীত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি স্থিতিশীল থাকে। এতে শিক্ষা, গবেষণা এবং মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের পথ সুগম হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২ মার্চ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সিনেট সদস্যদের দাবি দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠুভাবে ‘উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন’ সম্পন্ন করা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯ (১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। অধ্যাদেশের ১১ (১) ধারার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচিত করে আচার্যের কাছে পাঠানো।
জানা যায়, ২০১৪ সালে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দেশের প্রথম নারী হিসেবে জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্য হন। সে সময় তিনি আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করায় অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের প্রথম মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রাজনৈতিকভাবে কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। এই মেয়াদে বিভিন্ন প্রশাসনিক পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসে। এই মেয়াদের মধ্যে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন, ২০১৬ সালের এপ্রিলে ডিন নির্বাচন, একই বছরের জুন মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য, অর্থ কমিটি ও শিক্ষা পর্ষদে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তবে সময়ের পরিক্রমায় উপাচার্য ফারজানা ইসলাম ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতাবলে ১১ (২) ধারা অনুসারে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন পর্ষদ যেমন—ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল ও অর্থ কমিটির নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি বহুল প্রতিশ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন গঠন পর্যন্তই থেমে থাকে। এতে ২০১৯ সালে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থির হয়ে ওঠে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করে। দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগের তিন মাসের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ থেকে বেরিয়ে নতুন শিক্ষক সংগঠন গঠন করেন উপাচার্য। ২০১৮ সালের ৮ মে নতুন এই সংগঠনের নাম দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’, যার বর্তমান নাম ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। এই সংগঠনের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার। তিনি এর আগে উপাচার্যবিরোধী আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর সভাপতি ছিলেন। এই সংগঠন থেকে নির্বাচন করে শিক্ষক সমিতির সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক এ কে এম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়াই কোনো উপাচার্য দায়িত্ব পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একনায়কতন্ত্র আচরণ বৃদ্ধি পায়। এতে শিক্ষক রাজনীতিতে নতুন বলয় তৈরি হয়। এ সময় অনেক শিক্ষক নিজের স্বার্থের কারণে দল পরিবর্তন করেন। এতে মুক্তচিন্তার চর্চা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ক্যাম্পাস বিভিন্ন আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনেট সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ আন্দোলনের একটি চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এতে অধিকাংশ আন্দোলন তার মূল চেতনা থেকে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। এ কারণে উপাচার্য যদি নির্বাচিত হয়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি মেহেদী জামিল বলেন, ‘একজন সিনেট সদস্য হিসেবে আমাদের মৌলিক কাজ বাজেট অধিবেশন ও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। মহামারির কারণে মাত্র একটি বাজেট অধিবেশন করা হয়। এতেই আমাদের তিন বছর শেষ হয়ে যায়। আমরা এখনো উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন পাইনি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি আসা উচিত।’
সর্বশেষ উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর প্যানেল নির্বাচনে জয়লাভ করে। এই প্যানেলে ছিলেন তৎকালীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন, তৎকালীন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
এ বিষয়ে বর্তমান সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ সমুন্নত রাখার জন্য হলেও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন জরুরি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়। আমাদের সব সময়ের দাবি ছিল প্যানেল নির্বাচন। এতে সিনেট অর্থবহ হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে।’
যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিউ হ্যাভেন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। দেশটির এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি নিয়ে বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
২১ মিনিট আগেপ্রযুক্তি প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে যেভাবে সহজতর করে তুলছে, সেখানে বই পড়ার পদ্ধতিতেও এসেছে নতুনত্ব। এখন বই পড়ার জন্য পৃষ্ঠা ওল্টানোর প্রয়োজন নেই। অডিওবুকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা আরও সহজ, গতিশীল ও সুবিধাজনকভাবে করতে পারছে।
২৫ মিনিট আগেবিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৯ তম সম্মেলনে (কপ ২৯) অংশগ্রহণ করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। বৈশ্বিক তাপমাত্রা
১২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে