শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদের মা, ভাই-বোন ও মামাসহ তাঁর পরিবারের ৯ জন সদস্য ক্যাম্পাসে এসেছেন। এ সময় তাঁরা বুলবুলের আবাসিক হল ও লোকপ্রশাসন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে আসেন তাঁরা। পরে কর্তৃপক্ষ অতিথি কক্ষে তাঁদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। এ সময় বুলবুলকে স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা।
কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার পুতরে আর পাইতাম না গো। আমার বুলবুলে আমারে মা ডাহে না গো! আমার পুত আমায় মা ডাহে না। আজকে যদি আমার ছেলে ঝালমুড়িও বেচতো তাইলে কি মারা যেতো, কেউ কি মাডার করত?’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো তদন্ত ভালা কইরা হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা মারছে তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই আমি।’
বুলবুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ দেব বলেন, ‘বুলবুল হত্যায় জড়িত তিন ছিনতাইকারী এরই মধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অপরাধ স্বীকার করায় আপাতত রিমান্ডের বিষয়টি আসছে না। তবে আমরা পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী সকল কিছুই খতিয়ে দেখব। এ ছাড়াও ঘটনার তদন্তে পাওয়া বুলবুলের মোবাইল, মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ থেকে আবেদনের মাধ্যমে ফেরত পাবেন। আদালতে আবেদন করলে পরবর্তীতে তাঁদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।’
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনো তদন্ত চলছে। ভালোভাবে তদন্ত করার পর আমরা চার্জশিট দেব। যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা এখন জেলে আছে।’
এদিকে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘সকালে বুলবুলের পরিবারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। সে আমাদের হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতে। তাঁর রুমের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, বই-খাতা, লেপ-তোশক, বালিশসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনা পারভীন, হলের অন্যান্য সহকারী প্রভোস্টসহ বুলবুলের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত বুলবুলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। আমরা কথা দিচ্ছি আপনাদের আস্থার প্রতিদান দেব। আমরা কথা দিচ্ছি বুলবুল হত্যার ন্যায় বিচার হবে।’
পরে বেলা পৌনে ২টার দিকে ক্যাম্পাস ছাড়েন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই শাবিপ্রবির গাজীকালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় অজ্ঞাতনামা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে তিনজনকে আটক করে। এর মধ্যে আবুল হোসেন নামের একজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও দুজনের নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কামরুল হাসান ও মো. হাসান নামের ওই দুজনকে আটক করে। তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রথমে আবুল হোসেন এবং পরে বাকি দুজনকে আদালতে তোলা হলে, তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদের মা, ভাই-বোন ও মামাসহ তাঁর পরিবারের ৯ জন সদস্য ক্যাম্পাসে এসেছেন। এ সময় তাঁরা বুলবুলের আবাসিক হল ও লোকপ্রশাসন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে আসেন তাঁরা। পরে কর্তৃপক্ষ অতিথি কক্ষে তাঁদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। এ সময় বুলবুলকে স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা।
কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার পুতরে আর পাইতাম না গো। আমার বুলবুলে আমারে মা ডাহে না গো! আমার পুত আমায় মা ডাহে না। আজকে যদি আমার ছেলে ঝালমুড়িও বেচতো তাইলে কি মারা যেতো, কেউ কি মাডার করত?’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো তদন্ত ভালা কইরা হয় নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা মারছে তাঁদের কঠোর শাস্তি চাই আমি।’
বুলবুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ দেব বলেন, ‘বুলবুল হত্যায় জড়িত তিন ছিনতাইকারী এরই মধ্যেই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অপরাধ স্বীকার করায় আপাতত রিমান্ডের বিষয়টি আসছে না। তবে আমরা পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী সকল কিছুই খতিয়ে দেখব। এ ছাড়াও ঘটনার তদন্তে পাওয়া বুলবুলের মোবাইল, মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ থেকে আবেদনের মাধ্যমে ফেরত পাবেন। আদালতে আবেদন করলে পরবর্তীতে তাঁদের কাছে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।’
মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনো তদন্ত চলছে। ভালোভাবে তদন্ত করার পর আমরা চার্জশিট দেব। যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা এখন জেলে আছে।’
এদিকে শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘সকালে বুলবুলের পরিবারের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। সে আমাদের হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকতে। তাঁর রুমের ব্যবহৃত ল্যাপটপ, বই-খাতা, লেপ-তোশক, বালিশসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনা পারভীন, হলের অন্যান্য সহকারী প্রভোস্টসহ বুলবুলের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত বুলবুলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। আমরা কথা দিচ্ছি আপনাদের আস্থার প্রতিদান দেব। আমরা কথা দিচ্ছি বুলবুল হত্যার ন্যায় বিচার হবে।’
পরে বেলা পৌনে ২টার দিকে ক্যাম্পাস ছাড়েন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই শাবিপ্রবির গাজীকালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় অজ্ঞাতনামা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে তিনজনকে আটক করে। এর মধ্যে আবুল হোসেন নামের একজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও দুজনের নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ কামরুল হাসান ও মো. হাসান নামের ওই দুজনকে আটক করে। তাঁদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রথমে আবুল হোসেন এবং পরে বাকি দুজনকে আদালতে তোলা হলে, তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১২ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১২ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১২ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৬ দিন আগে