আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ ১০ ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে কাজ না করে টাকা তোলার সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ কারণে চতুর্থ ধাপে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা শ্রমিকদের না দিয়ে তা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায়।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গত ১৫ এপ্রিল চতুর্থ দফা মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। শ্রমিকেরা ৪০০ টাকা ও সর্দারেরা ৪৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করছিলেন। সরাসরি মোবাইল ফোনের নম্বরে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়। ওই কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিভিন্ন আত্মীয়ের নাম। এই অনিয়ম বেশি হয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে। সেখানকার চেয়ারম্যান ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী শান্তর বিরুদ্ধ অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
বিষ্ণুপুর ইউপির চেয়ারম্যান শান্তর বাড়ির কাজের লোকজন, দলীয় লোকজন ও তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখভালের লোকজনকে কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। তারা মাটি কাটার কাজ না করে ওই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করতে থাকেন। এ নিয়ে গত ৪ জুন আজকের পত্রিকায় ‘কাজ ছাড়াই টাকা পান তাঁরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্তে নামেন পিআইও বাবুল চন্দ্র। তিনি সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান। এরপর ইউএনও আবু সাঈদ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে তিন হাজার ৫৯৪ দিন কর্মদিবসে অনুপস্থিত দেখিয়ে চতুর্থ দফায় শ্রমিকদের ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত দেন। এর মধ্যে শুধু বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন থেকে ফেরত পাঠানো হয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
তবে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য রাশেল আলীর মা, ভাতিজাসহ কয়েকজনের নাম কর্মসৃজনের তালিকায় ছিল। তাঁরা কেউ কাজ করতেন না। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁদেরকে আর টাকা দেওয়া হয়নি। ওই ইউপি সদস্য রাশেল আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পিআইও এসেছিলেন। নামগুলো কেটে গরিব মানুষের নাম তালিকায় অন্তভুক্ত করবেন পিআইও।’ তিনি বলেন, ‘এখানে চেয়ারম্যানের কোনো দোষ ছিল না। তিনি (চেয়ারম্যান) আমাদেরকে একটু সুবিধা দিতে গিয়ে আমরা বেশি নিয়ে ফেলেছিলাম।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএনওর কার্যালয়ের এক কর্মচারী জানান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে অনিয়মের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু ওই ইউপির চেয়ারম্যান শান্ত হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের চাচাতো ভাই এবং বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুলের আপন ভাই। এ কারণে সেখানে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন। আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পিআইও বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘ইউপির চেয়ারম্যান-সদস্যদের লোকজনের মাটি কাটার কাজ না করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এবার আমরা তাদেরকে টাকা দিইনি। ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা কাজে আসেননি, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীতে তাদের নাম কেটে নতুন লোক নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাইদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজে না আসা শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ১৪ লাখের বেশি টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠিয়েছি।’
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ ১০ ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পে কাজ না করে টাকা তোলার সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ কারণে চতুর্থ ধাপে ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা শ্রমিকদের না দিয়ে তা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বাবুল চন্দ্র রায়।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় গত ১৫ এপ্রিল চতুর্থ দফা মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। শ্রমিকেরা ৪০০ টাকা ও সর্দারেরা ৪৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করছিলেন। সরাসরি মোবাইল ফোনের নম্বরে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়। ওই কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিভিন্ন আত্মীয়ের নাম। এই অনিয়ম বেশি হয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে। সেখানকার চেয়ারম্যান ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী শান্তর বিরুদ্ধ অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
বিষ্ণুপুর ইউপির চেয়ারম্যান শান্তর বাড়ির কাজের লোকজন, দলীয় লোকজন ও তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখভালের লোকজনকে কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। তারা মাটি কাটার কাজ না করে ওই প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করতে থাকেন। এ নিয়ে গত ৪ জুন আজকের পত্রিকায় ‘কাজ ছাড়াই টাকা পান তাঁরা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্তে নামেন পিআইও বাবুল চন্দ্র। তিনি সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠান। এরপর ইউএনও আবু সাঈদ উপজেলার ১০ ইউনিয়নে তিন হাজার ৫৯৪ দিন কর্মদিবসে অনুপস্থিত দেখিয়ে চতুর্থ দফায় শ্রমিকদের ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত দেন। এর মধ্যে শুধু বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন থেকে ফেরত পাঠানো হয় সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
তবে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য রাশেল আলীর মা, ভাতিজাসহ কয়েকজনের নাম কর্মসৃজনের তালিকায় ছিল। তাঁরা কেউ কাজ করতেন না। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাঁদেরকে আর টাকা দেওয়া হয়নি। ওই ইউপি সদস্য রাশেল আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পিআইও এসেছিলেন। নামগুলো কেটে গরিব মানুষের নাম তালিকায় অন্তভুক্ত করবেন পিআইও।’ তিনি বলেন, ‘এখানে চেয়ারম্যানের কোনো দোষ ছিল না। তিনি (চেয়ারম্যান) আমাদেরকে একটু সুবিধা দিতে গিয়ে আমরা বেশি নিয়ে ফেলেছিলাম।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউএনওর কার্যালয়ের এক কর্মচারী জানান, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে অনিয়মের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন আগে থেকেই জানতেন। কিন্তু ওই ইউপির চেয়ারম্যান শান্ত হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের চাচাতো ভাই এবং বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুলের আপন ভাই। এ কারণে সেখানে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি প্রশাসন। আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পিআইও বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, ‘ইউপির চেয়ারম্যান-সদস্যদের লোকজনের মাটি কাটার কাজ না করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এবার আমরা তাদেরকে টাকা দিইনি। ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা কাজে আসেননি, তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামীতে তাদের নাম কেটে নতুন লোক নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাইদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজে না আসা শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ১৪ লাখের বেশি টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত পাঠিয়েছি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে