পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ৮টায় পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাঁকে রিমান্ডের আবেদনসহ লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন—পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ গ্রামের নিউ পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহ (২৮)। তাঁর বাবার নাম মৃত আব্দুল মতিন।
নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার, পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) ও ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ছিলেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার সময় পাটগ্রাম পৌরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ পূর্বপাড়ার নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় এম ওয়াজেদ আলীর মাথায়, গলায় ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যান। ওয়াজেদ আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন শনিবার দিবাগত রাতে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ওয়াজেদ আলীর ছেলে রিফাত হাসান। মামলায় ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও প্রতিবেশী নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর (২৫) নাম উল্লেখসহ এবং অজ্ঞাতনামা পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। ওয়াজেদ আলীকে ছুরিকাঘাতের পর থেকে নাহিদুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেন বলছে, নাহিদুজ্জামান বাবু ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনে ১ বছর আগে খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ৮-৯ মাস আগে কিন্ডারগার্টেনের একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য বাড়িতে নিয়ে কিন্ডারগার্টেনে আসা বন্ধ করে দেন। একাধিকবার খাতা চেয়ে না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে পরিচালক (ওয়াজেদ আলী) তাঁর বাড়িতে গিয়ে সেগুলো নিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে—খাতা জমা না দেওয়া বা আনতে গিয়ে পরিচালকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নাহিদুজ্জামানের তর্ক-বিতর্কের ঘটনার ক্ষোভে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন নাহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামানের মা নুরজাহান বলেন, ‘আমার ছেলে ছুরি মেরেছে কি না আমরা তো দেখিনি। আমার ছেলে একা এ কাজ করতে পারবে না। শুক্রবার (ঘটনার দিন) সন্ধ্যায় নাহিদুজ্জামানের সাথে অপরিচিত দুজন ছেলে আমাদের বাড়ি এসেছিল। প্রিন্সিপালকে ছুরি মারার পর অনেকে বাবুকে (নাহিদুজ্জামান) খুঁজতেছিল। তখন ওর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে জানায়—আমি মুন্সিরহাট এলাকায়। ঘটনার সময় ওইখানে উপস্থিত ছিলাম, বলে লাইন কেটে দেয়। এরপর থেকে আর যোগাযোগ নাই।’
গ্রেপ্তার যুবক আব্দুল্লাহর চাচা রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আব্দুল্লাহর বাবা-মা মৃত। সে আমার বুড়িমারী বাজারের দোকানে সারা দিন থাকে। রাত ৮-৯টায় বাড়িতে আসে। রাতে খাওয়ার পর আধা ঘণ্টা থেকে ঘণ্টাখানেক বন্ধু–বান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি করে তারপর বাসায় এসে শুয়ে থাকে। শুক্রবার দোকান বন্ধ থাকে। ওতো এ রকম করতে পারে না।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ পলাতক আসামি নাহিদুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ঘটনার দিন সে পুরো সময় নাহিদুজ্জামানের সাথে ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড আবেদনসহ লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ৮টায় পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাঁকে রিমান্ডের আবেদনসহ লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন—পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ গ্রামের নিউ পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আব্দুল্লাহ (২৮)। তাঁর বাবার নাম মৃত আব্দুল মতিন।
নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক জেলা ডেপুটি কমান্ডার, পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ (অবসরপ্রাপ্ত) ও ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক ছিলেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার সময় পাটগ্রাম পৌরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ পূর্বপাড়ার নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় এম ওয়াজেদ আলীর মাথায়, গলায় ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যান। ওয়াজেদ আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন শনিবার দিবাগত রাতে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ওয়াজেদ আলীর ছেলে রিফাত হাসান। মামলায় ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও প্রতিবেশী নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুর (২৫) নাম উল্লেখসহ এবং অজ্ঞাতনামা পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। ওয়াজেদ আলীকে ছুরিকাঘাতের পর থেকে নাহিদুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেন বলছে, নাহিদুজ্জামান বাবু ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডারগার্টেনে ১ বছর আগে খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ৮-৯ মাস আগে কিন্ডারগার্টেনের একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের জন্য বাড়িতে নিয়ে কিন্ডারগার্টেনে আসা বন্ধ করে দেন। একাধিকবার খাতা চেয়ে না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে পরিচালক (ওয়াজেদ আলী) তাঁর বাড়িতে গিয়ে সেগুলো নিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে—খাতা জমা না দেওয়া বা আনতে গিয়ে পরিচালকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নাহিদুজ্জামানের তর্ক-বিতর্কের ঘটনার ক্ষোভে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন নাহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামানের মা নুরজাহান বলেন, ‘আমার ছেলে ছুরি মেরেছে কি না আমরা তো দেখিনি। আমার ছেলে একা এ কাজ করতে পারবে না। শুক্রবার (ঘটনার দিন) সন্ধ্যায় নাহিদুজ্জামানের সাথে অপরিচিত দুজন ছেলে আমাদের বাড়ি এসেছিল। প্রিন্সিপালকে ছুরি মারার পর অনেকে বাবুকে (নাহিদুজ্জামান) খুঁজতেছিল। তখন ওর সাথে মোবাইলে কথা বললে সে জানায়—আমি মুন্সিরহাট এলাকায়। ঘটনার সময় ওইখানে উপস্থিত ছিলাম, বলে লাইন কেটে দেয়। এরপর থেকে আর যোগাযোগ নাই।’
গ্রেপ্তার যুবক আব্দুল্লাহর চাচা রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আব্দুল্লাহর বাবা-মা মৃত। সে আমার বুড়িমারী বাজারের দোকানে সারা দিন থাকে। রাত ৮-৯টায় বাড়িতে আসে। রাতে খাওয়ার পর আধা ঘণ্টা থেকে ঘণ্টাখানেক বন্ধু–বান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি করে তারপর বাসায় এসে শুয়ে থাকে। শুক্রবার দোকান বন্ধ থাকে। ওতো এ রকম করতে পারে না।’
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ পলাতক আসামি নাহিদুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ঘটনার দিন সে পুরো সময় নাহিদুজ্জামানের সাথে ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড আবেদনসহ লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে