ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তের শূন্য রেখায় এক বাংলাদেশিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাংলাদেশ পুলিশ ও ভারতীয় মাদক কারবারিদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও চশমা কেড়ে নিয়ে যায় ভারতীয় মাদক কারবারিরা। তবে ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর বিএসএফের সহযোগিতায় বিজিবি খোয়া যাওয়া মোবাইল ও চশমা উদ্ধার করেছে। তবে এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্ৰামের নাখারজান সীমান্তের শূন্য রেখায় মাদক বেচাকেনার দরদাম নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা গোলাম রব্বানী ও আব্দুস ছালাম জানান, উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি গ্ৰামের জকুরটল মোড়ের সাবেক ইউপি সদস্য জোবেদ আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫০) মাদক কেনার জন্য সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৪১–এর সাব পিলার ৩–এর কাছে শূন্য রেখায় যান। এর (ওই সীমান্তের নীলকোমল নদীর) বিপরীতে কাঁটাতারের বাইরে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার সেউটি-২–এর শুকারুরকুটি গ্রামে সহিদুল ইসলাম (৪৫) ও রশিদুল ইসলামের (৪০) বাড়ি। তাঁরা মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে শুকুর আলীর কাছে আসেন। লেনদেনের সময় দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় তাঁরা শুকুর আলীকে টেনেহিঁচড়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মামলা তদন্ত করে সাদা পোশাকে এ পথেই উপজেলা সদরে ফিরছিলেন ফুলবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ রায় ও কনস্টেবল সুকুমার রায়। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি আসার পর, মারামারি ও টানাহেঁচড়া দৃশ্য দেখে তাঁরাও ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান। এ সময় ভারতীয় মাদক কারবারিরা তাঁদের মারতে উদ্যত হন। তাঁরা পুলিশের লোক বলে সতর্ক করায় ভারতীয় কারবারিরা চিৎকার ও চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁদের চিৎকারে ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ ঘটনায় ফুলবাড়ী থানার উপপরিদর্শক পলাশ রায় ও সিপাহি সুকুমার রায় এবং বাংলাদেশি নাগরিক ওই এলাকার মৃত আব্দুর গফুর আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৭), নজরুল ইসলামের ছেলে সহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং শুকুর আলী আহত হন। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে এসআই পলাশ চন্দ্র রায় ও সিপাহি সুকুমার চন্দ্র রায়কে উদ্ধার করেন। এ সময় শুকুর আলী সটকে পড়েন।
জানতে চাইলে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির গংগারহাট ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু হানিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। বিষয়টি ভারতের সেউটি ১৩১ বিএসএফ ক্যাম্পকে জানানো হয়। ঘটনার এক ঘণ্টা পর পুলিশের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, ‘মামলা তদন্ত করে ফেরার সময় বাংলাদেশি আর ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা দেখে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় বাংলাদেশিকে ছাড়িয়ে নিতে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তবে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন আর চশমা এখনো পাওয়া যায়নি।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তের শূন্য রেখায় এক বাংলাদেশিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাংলাদেশ পুলিশ ও ভারতীয় মাদক কারবারিদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও চশমা কেড়ে নিয়ে যায় ভারতীয় মাদক কারবারিরা। তবে ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর বিএসএফের সহযোগিতায় বিজিবি খোয়া যাওয়া মোবাইল ও চশমা উদ্ধার করেছে। তবে এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা গ্ৰামের নাখারজান সীমান্তের শূন্য রেখায় মাদক বেচাকেনার দরদাম নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা গোলাম রব্বানী ও আব্দুস ছালাম জানান, উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি গ্ৰামের জকুরটল মোড়ের সাবেক ইউপি সদস্য জোবেদ আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫০) মাদক কেনার জন্য সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৪১–এর সাব পিলার ৩–এর কাছে শূন্য রেখায় যান। এর (ওই সীমান্তের নীলকোমল নদীর) বিপরীতে কাঁটাতারের বাইরে ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার সেউটি-২–এর শুকারুরকুটি গ্রামে সহিদুল ইসলাম (৪৫) ও রশিদুল ইসলামের (৪০) বাড়ি। তাঁরা মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে শুকুর আলীর কাছে আসেন। লেনদেনের সময় দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় তাঁরা শুকুর আলীকে টেনেহিঁচড়ে ভারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মামলা তদন্ত করে সাদা পোশাকে এ পথেই উপজেলা সদরে ফিরছিলেন ফুলবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ রায় ও কনস্টেবল সুকুমার রায়। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি আসার পর, মারামারি ও টানাহেঁচড়া দৃশ্য দেখে তাঁরাও ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান। এ সময় ভারতীয় মাদক কারবারিরা তাঁদের মারতে উদ্যত হন। তাঁরা পুলিশের লোক বলে সতর্ক করায় ভারতীয় কারবারিরা চিৎকার ও চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁদের চিৎকারে ভারত ও বাংলাদেশের স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ ঘটনায় ফুলবাড়ী থানার উপপরিদর্শক পলাশ রায় ও সিপাহি সুকুমার রায় এবং বাংলাদেশি নাগরিক ওই এলাকার মৃত আব্দুর গফুর আলীর ছেলে আলী হোসেন (৪৭), নজরুল ইসলামের ছেলে সহিদুল ইসলাম (৩৮) এবং শুকুর আলী আহত হন। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে এসআই পলাশ চন্দ্র রায় ও সিপাহি সুকুমার চন্দ্র রায়কে উদ্ধার করেন। এ সময় শুকুর আলী সটকে পড়েন।
জানতে চাইলে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির গংগারহাট ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু হানিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। বিষয়টি ভারতের সেউটি ১৩১ বিএসএফ ক্যাম্পকে জানানো হয়। ঘটনার এক ঘণ্টা পর পুলিশের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন ও চশমা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিয়েছে বিএসএফ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, ‘মামলা তদন্ত করে ফেরার সময় বাংলাদেশি আর ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা দেখে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। এ সময় বাংলাদেশিকে ছাড়িয়ে নিতে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তবে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন আর চশমা এখনো পাওয়া যায়নি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে