রিমন রহমান, রাজশাহী
বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নেওয়া চীনা অ্যাপ ই-মুভি প্ল্যানের রাজশাহীর এজেন্ট আজমল হুদা মানিকের খোঁজ নেই। গ্রাহকদের বেশি বিনিয়োগ করলে তিনি হংকং ভ্রমণের লোভ দেখাতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনির সাড়ে ৩ নম্বর গলিতে আজমল হুদা মানিকের কার্যালয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই তালা ঝুলছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ। তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিলউথরাইয়ে। রাজশাহীর অনেক গ্রাহক সেখানে গিয়েও মানিকের খোঁজ পাননি।
মানিকের মাধ্যমে ই-মুভি প্ল্যানে ঢুকেছিলেন রাজশাহী নগরীর কয়েরদাঁড়ার বাসিন্দা রাশিদুল হক। বিনিয়োগ বেশি থাকায় তাঁকে ই-মুভির সিটি পার্টনার পদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মানিক আমাদের বলেছিল, বেশি টাকা ঢোকাও, তোমাদের হংকং বেড়াতে নিয়ে যাব। সে জন্য বেশি টাকা ঢুকিয়ে পথের ফকির হয়ে গেছি।’
রাশিদুল জানান, তিনি ধার করে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তাঁর ছোট ভাই নিলয় মোটরসাইকেল বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছিলেন ১
লাখ ১৫ হাজার টাকা। আরেক ছোট ভাই রাব্বি ধার করে বিনিয়োগ করেছিলেন ৩০ হাজার টাকা। সব খুইয়ে তাঁরা দিশেহারা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গুগল প্লে স্টোরে ই-মুভি প্ল্যানের অ্যাপ দেওয়া হয়। এই অ্যাপে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকায় একটি হিসাব খোলা যেত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দিলেই তা হিসাবে ডলারে দেখাত। সেই ডলার দিয়ে অ্যাপে বিভিন্ন দেশের সিনেমার টিকিট কিনলেই লভ্যাংশ দেওয়া হতো। বিনিয়োগ করা টাকা উঠে যেত এক মাসেই।
একসঙ্গে তিন হাজার ডলার বিনিয়োগে এক মাসে লাভ দেখানো হতো ৩৬০ গুণ বেশি। কম সময়ে ধনী হওয়ার এই ফাঁদে পড়ে রাজশাহীসহ সারা দেশের কয়েক হাজার মানুষ টাকা হারিয়েছেন।
গ্রাহকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১২ ফেব্রুয়ারি ই-মুভি প্ল্যান বন্ধ হয়ে যায়। এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন চীনা নাগরিক।
ই-মুভি প্ল্যান বন্ধ হওয়ার পর এর মালিক পরিচয় দিয়ে এলিস নামের এক নারী টেলিগ্রাম গ্রুপে গ্রাহকদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘টাকা কেলেঙ্কারির জন্য আমরা কমই দুঃখিত! নতুন কোম্পানি করে আবার ফিরব। দয়া করে পরেরবার এত বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবেন না। আমরা ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কেলেঙ্কারি করি। সবাইকে বিদায়।’ এই বার্তা দেখে গ্রাহকেরা বুঝেছেন, এক টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা খুঁজছেন এজেন্টদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ই-মুভির প্রতারক চক্রের সঙ্গে স্থানীয় এজেন্টদেরও যোগসূত্র আছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ই-মুভির নারায়ণগঞ্জের এজেন্ট এমিলা ফাইজা, খাগড়াছড়ির এজেন্ট রোমেন চাকমা, জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ইসমাইল হোসেন, ময়মনসিংহের সায়াফ আহমেদ ও নওগাঁর সাপাহারের ইসরাত জাহান লিজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে সিরাজগঞ্জের এজেন্ট শেখ আরফান আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, ই-মুভি এজেন্টদেরও বোকা বানিয়েছে। তিনি বলেন, গত অক্টোবরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিংক দিয়ে ই-মুভিতে হিসাব খোলার আমন্ত্রণ জানানো হয়। চীন থেকে বার্তাটি এসেছিল। পরে তিনি ওই চীনা নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন। তখন দেড় হাজার টাকায় একটা হিসাব খুলে তিনি লাভ পেতে থাকেন। এতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করেন। তিনি কাউকে রেফার করলে ডলার পেতেন। তাঁর দল বড় হলে তাঁকে অফিস করতে বলা হয়। অফিস খুললে তাঁকে এজেন্ট বানানো হয়।
আরফান মনে করেন, চীনা প্রতারক চক্রটির সঙ্গে ঢাকার কয়েকজনের যোগসাজশ ছিল। গত ৭ জানুয়ারি ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চীনাদের সঙ্গে তাঁদের ব্যস্ততাও ছিল বেশি। তবে ই-মুভির অফিশিয়াল টেলিগ্রাম গ্রুপে তাঁরা ছিলেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রায় সব জেলায় ই-মুভির গ্রাহক থাকলেও কোনো কোনো এলাকায় এটি ছড়িয়েছিল সংক্রামক ব্যাধির মতো। এর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এবং আরেকটি হলো পবা উপজেলার খড়খড়ি। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছিল গ্রাহক। রিকশা-অটোরিকশা, বাড়ির গরু-ছাগল বিক্রি করে অনেকে বিনিয়োগ করেন।
তানোর উপজেলা সদরের আমশো মহল্লার ফয়সাল সরকার খুইয়েছেন তিন লাখ টাকা। তিনি জানান, গোদাগাড়ী থেকে পরিচিত একজন গিয়ে তাঁকে হিসাব খুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। ফয়সাল বলেন, চীনা অ্যাপ বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেল। হাজার হাজার মানুষ পথে বসে গেল। তাই সরকারের এসব নজরদারি করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ই-মুভি প্ল্যান আমাদের অথরাইজড সাইট নয়। তাই এ বিষয়ে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুটে নেওয়া চীনা অ্যাপ ই-মুভি প্ল্যানের রাজশাহীর এজেন্ট আজমল হুদা মানিকের খোঁজ নেই। গ্রাহকদের বেশি বিনিয়োগ করলে তিনি হংকং ভ্রমণের লোভ দেখাতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনির সাড়ে ৩ নম্বর গলিতে আজমল হুদা মানিকের কার্যালয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই তালা ঝুলছে। মোবাইল ফোনও বন্ধ। তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিলউথরাইয়ে। রাজশাহীর অনেক গ্রাহক সেখানে গিয়েও মানিকের খোঁজ পাননি।
মানিকের মাধ্যমে ই-মুভি প্ল্যানে ঢুকেছিলেন রাজশাহী নগরীর কয়েরদাঁড়ার বাসিন্দা রাশিদুল হক। বিনিয়োগ বেশি থাকায় তাঁকে ই-মুভির সিটি পার্টনার পদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মানিক আমাদের বলেছিল, বেশি টাকা ঢোকাও, তোমাদের হংকং বেড়াতে নিয়ে যাব। সে জন্য বেশি টাকা ঢুকিয়ে পথের ফকির হয়ে গেছি।’
রাশিদুল জানান, তিনি ধার করে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তাঁর ছোট ভাই নিলয় মোটরসাইকেল বিক্রি করে বিনিয়োগ করেছিলেন ১
লাখ ১৫ হাজার টাকা। আরেক ছোট ভাই রাব্বি ধার করে বিনিয়োগ করেছিলেন ৩০ হাজার টাকা। সব খুইয়ে তাঁরা দিশেহারা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে গুগল প্লে স্টোরে ই-মুভি প্ল্যানের অ্যাপ দেওয়া হয়। এই অ্যাপে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকায় একটি হিসাব খোলা যেত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা দিলেই তা হিসাবে ডলারে দেখাত। সেই ডলার দিয়ে অ্যাপে বিভিন্ন দেশের সিনেমার টিকিট কিনলেই লভ্যাংশ দেওয়া হতো। বিনিয়োগ করা টাকা উঠে যেত এক মাসেই।
একসঙ্গে তিন হাজার ডলার বিনিয়োগে এক মাসে লাভ দেখানো হতো ৩৬০ গুণ বেশি। কম সময়ে ধনী হওয়ার এই ফাঁদে পড়ে রাজশাহীসহ সারা দেশের কয়েক হাজার মানুষ টাকা হারিয়েছেন।
গ্রাহকেরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১২ ফেব্রুয়ারি ই-মুভি প্ল্যান বন্ধ হয়ে যায়। এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন চীনা নাগরিক।
ই-মুভি প্ল্যান বন্ধ হওয়ার পর এর মালিক পরিচয় দিয়ে এলিস নামের এক নারী টেলিগ্রাম গ্রুপে গ্রাহকদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘টাকা কেলেঙ্কারির জন্য আমরা কমই দুঃখিত! নতুন কোম্পানি করে আবার ফিরব। দয়া করে পরেরবার এত বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবেন না। আমরা ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কেলেঙ্কারি করি। সবাইকে বিদায়।’ এই বার্তা দেখে গ্রাহকেরা বুঝেছেন, এক টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। তাই তাঁরা খুঁজছেন এজেন্টদের।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ই-মুভির প্রতারক চক্রের সঙ্গে স্থানীয় এজেন্টদেরও যোগসূত্র আছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ই-মুভির নারায়ণগঞ্জের এজেন্ট এমিলা ফাইজা, খাগড়াছড়ির এজেন্ট রোমেন চাকমা, জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ইসমাইল হোসেন, ময়মনসিংহের সায়াফ আহমেদ ও নওগাঁর সাপাহারের ইসরাত জাহান লিজার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে সিরাজগঞ্জের এজেন্ট শেখ আরফান আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, ই-মুভি এজেন্টদেরও বোকা বানিয়েছে। তিনি বলেন, গত অক্টোবরে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিংক দিয়ে ই-মুভিতে হিসাব খোলার আমন্ত্রণ জানানো হয়। চীন থেকে বার্তাটি এসেছিল। পরে তিনি ওই চীনা নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেন। তখন দেড় হাজার টাকায় একটা হিসাব খুলে তিনি লাভ পেতে থাকেন। এতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করেন। তিনি কাউকে রেফার করলে ডলার পেতেন। তাঁর দল বড় হলে তাঁকে অফিস করতে বলা হয়। অফিস খুললে তাঁকে এজেন্ট বানানো হয়।
আরফান মনে করেন, চীনা প্রতারক চক্রটির সঙ্গে ঢাকার কয়েকজনের যোগসাজশ ছিল। গত ৭ জানুয়ারি ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চীনাদের সঙ্গে তাঁদের ব্যস্ততাও ছিল বেশি। তবে ই-মুভির অফিশিয়াল টেলিগ্রাম গ্রুপে তাঁরা ছিলেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রায় সব জেলায় ই-মুভির গ্রাহক থাকলেও কোনো কোনো এলাকায় এটি ছড়িয়েছিল সংক্রামক ব্যাধির মতো। এর একটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী এবং আরেকটি হলো পবা উপজেলার খড়খড়ি। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ছিল গ্রাহক। রিকশা-অটোরিকশা, বাড়ির গরু-ছাগল বিক্রি করে অনেকে বিনিয়োগ করেন।
তানোর উপজেলা সদরের আমশো মহল্লার ফয়সাল সরকার খুইয়েছেন তিন লাখ টাকা। তিনি জানান, গোদাগাড়ী থেকে পরিচিত একজন গিয়ে তাঁকে হিসাব খুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। ফয়সাল বলেন, চীনা অ্যাপ বাংলাদেশের কোটি কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে গেল। হাজার হাজার মানুষ পথে বসে গেল। তাই সরকারের এসব নজরদারি করা প্রয়োজন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ই-মুভি প্ল্যান আমাদের অথরাইজড সাইট নয়। তাই এ বিষয়ে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে