রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতন ও বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী আতিফা হক শেফা। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, অর্ধসত্য তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
আবেদনপত্রে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কুরুচিপূর্ণ ফেসবুক পোস্টের জন্য অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলি। তাঁর ভুল বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি আমার কথা গ্রাহ্য করেননি। পরদিন সকাল ১০টার দিকে শেখ রাসেল মাঠের পুকুর পাড়ে তাঁকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডাকা হয়। সেখানে সিনিয়র আপু হিসেবে আমি তাঁকে বোঝাই; এসব কাজ করা তাঁর ঠিক হয়নি। একপর্যায়ে একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাতিন নওয়াল নেহাল আমাদের সামনেই সিনিয়রদের অকথ্য ভাষায় গালি দেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এ ছাড়া নেহালকে বোঝাতে গেলে তিনি ঔদ্ধত্য হয়ে আমার গায়ে অশালীনভাবে হাত দেন। বারবার তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে “ব্যাড টাচ” করে। আমার অজান্তেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা রেকর্ড এডিট করে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেন নেহাল ও অভিযোগকারী শিক্ষার্থী।’
ছাত্রলীগ নেত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘সারা দেশে আমার ছবি ব্যবহার করে অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে রেপিস্ট সাজিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। মনে হচ্ছে আমার আর বেঁচে থাকার কোনো মানে নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। এখনো এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেত্রী আতিফা হক শেফার বিরুদ্ধে বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ করেন ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী। ইনস্টিটিউটের অভিযোগ তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আক্তার বানুর কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি লাবণ্য তার ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, ইতি মণ্ডল, শাহবাজ তন্ময়, আতিফা হক শেফা ছিলেন। তাঁরা সেখানে অশালীন কথা ও অপ্রত্যাশিত অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন। নানাভাবে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন।
অভিযোগে ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘পরদিন আমাকে কল দিয়ে দেখা করার জন্য আতিকুর ও আতিফা চাপ দেন। বাধ্য হয়ে কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে ইনস্টিটিউটের সামনের চায়ের দোকানে যাই। সেখানে আমার চরিত্র নিয়ে গালি ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকা অন্য সহপাঠীদেরও হেনস্তা করা হয়। এ সময় আমাকে “চরিত্রহীন” বলেও মন্তব্য করেন আতিফা। এ ছাড়া হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আক্তার বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তের চলছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমার বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি তাৎক্ষণিক কমিটি গঠন করা হয়, তাহলে নির্দিষ্ট কার্যদিবস উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আমাদের এ কমিটি ২০২০ সালে করা হয়েছিল। তাই আমাদের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে আমরা খুব দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দেব।’
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের তদন্ত কমিটি আছে। সেখানে ইনস্টিটিউটকেন্দ্রিক কোনো অভিযোগ আসলে তারা তদন্ত করে। সেই কমিটি এই অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে। কমিটি যখন প্রতিবেদন দেবে, সেটা দেখে আমি উপাচার্যের কাছে জমা দেব। তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শারীরিক নির্যাতন ও বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী আতিফা হক শেফা। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন করেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, অর্ধসত্য তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
আবেদনপত্রে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কুরুচিপূর্ণ ফেসবুক পোস্টের জন্য অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলি। তাঁর ভুল বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি আমার কথা গ্রাহ্য করেননি। পরদিন সকাল ১০টার দিকে শেখ রাসেল মাঠের পুকুর পাড়ে তাঁকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডাকা হয়। সেখানে সিনিয়র আপু হিসেবে আমি তাঁকে বোঝাই; এসব কাজ করা তাঁর ঠিক হয়নি। একপর্যায়ে একই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাতিন নওয়াল নেহাল আমাদের সামনেই সিনিয়রদের অকথ্য ভাষায় গালি দেন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এ ছাড়া নেহালকে বোঝাতে গেলে তিনি ঔদ্ধত্য হয়ে আমার গায়ে অশালীনভাবে হাত দেন। বারবার তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে “ব্যাড টাচ” করে। আমার অজান্তেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা রেকর্ড এডিট করে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেন নেহাল ও অভিযোগকারী শিক্ষার্থী।’
ছাত্রলীগ নেত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘সারা দেশে আমার ছবি ব্যবহার করে অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে রেপিস্ট সাজিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। মনে হচ্ছে আমার আর বেঁচে থাকার কোনো মানে নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। এখনো এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেত্রী আতিফা হক শেফার বিরুদ্ধে বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ করেন ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী। ইনস্টিটিউটের অভিযোগ তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আক্তার বানুর কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি লাবণ্য তার ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক সিনিয়র ভাইয়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখানে ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান, ইতি মণ্ডল, শাহবাজ তন্ময়, আতিফা হক শেফা ছিলেন। তাঁরা সেখানে অশালীন কথা ও অপ্রত্যাশিত অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন। নানাভাবে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন।
অভিযোগে ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘পরদিন আমাকে কল দিয়ে দেখা করার জন্য আতিকুর ও আতিফা চাপ দেন। বাধ্য হয়ে কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে ইনস্টিটিউটের সামনের চায়ের দোকানে যাই। সেখানে আমার চরিত্র নিয়ে গালি ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকা অন্য সহপাঠীদেরও হেনস্তা করা হয়। এ সময় আমাকে “চরিত্রহীন” বলেও মন্তব্য করেন আতিফা। এ ছাড়া হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আক্তার বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তের চলছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমার বিষয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘কোনো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যদি তাৎক্ষণিক কমিটি গঠন করা হয়, তাহলে নির্দিষ্ট কার্যদিবস উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আমাদের এ কমিটি ২০২০ সালে করা হয়েছিল। তাই আমাদের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে আমরা খুব দ্রুতই প্রতিবেদন জমা দেব।’
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের তদন্ত কমিটি আছে। সেখানে ইনস্টিটিউটকেন্দ্রিক কোনো অভিযোগ আসলে তারা তদন্ত করে। সেই কমিটি এই অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে। কমিটি যখন প্রতিবেদন দেবে, সেটা দেখে আমি উপাচার্যের কাছে জমা দেব। তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১২ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১২ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১৩ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৬ দিন আগে