২৮ বছর পর প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় বিয়ে, ইউএনওর কাছে প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৫১

রাজশাহীর দুর্গাপুরের নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন করে দুই সন্তানকে বাড়ি ছাড়া ও গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক তার দুই সন্তানের পরীক্ষার মার্কসীট, জন্ম সনদ ও প্রত্যয়নপত্র নিজের কাছে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী। 

আজ সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষকের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৩৭) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম সোহরাব হোসেন শেখ (৪৯)। তিনি উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জফির উদ্দিনের ছেলে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে উপজেলার নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় ফরিদার। বিয়ের পর থেকে তাঁকে নানা কারণেই মারধর ও মানসিক নির্যাতন করতেন শিক্ষক সোহরাব। ফরিদার বাবার বাড়ি থেকে দফায় দফায় যৌতুকের টাকা নিতেন প্রধান শিক্ষক। গত বছরের ২৭ জুন ফরিদার নামে বাবার রেখে যাওয়া বাড়ি লিখে চান প্রধান শিক্ষক সোহরাব। এতে বাড়ি তাঁর নামে লিখে দিতে অস্বীকৃতি জানান ফরিদা। এতে শিক্ষক সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছরের ২৭ জুন ফরিদাকে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং দুই শিশু সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে তিনি দুই সন্তান (১১ ও ৮ বছর বয়সী) নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। 

আরও জানা যায়, চার মাস আগে প্রধান শিক্ষক সোহরাব প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে তাঁর স্কুলের একজন সহকর্মীর স্ত্রীকে বিয়ে করেন। গত ৮ মাস থেকে প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কোনো খরচও দেননি তিনি। সম্প্রতি এক স্কুল থেকে তাঁর দুই সন্তানের পরীক্ষার মার্কসীট, জন্ম সনদ ও প্রত্যয়নপত্র তিনি কেড়ে নিয়ে গেছেন। স্কুলের মার্কসীট, জন্ম সনদ ও প্রত্যয়নপত্র ছাড়া কোথাও ভর্তি হতে পারছেন ওই দুই সন্তান। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর আর আমার ২৮ বছরের সংসার ছিল। এখন তাঁর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত বড় ঘটনা আমার জানা ছিল না। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওপরে জানানো হবে।’ 

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

ভারত-বাংলাদেশ আলোচনায় হাসিনা প্রসঙ্গে উত্তপ্ত মুহূর্ত

বাংলাদেশ শিগগিরই বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরবে, আশা যুক্তরাজ্যের

কেশবপুরে ২ প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের লুটপাট-অগ্নিসংযোগ, এলাকায় আতঙ্ক

২৫ টাকায় মাটি পরীক্ষা, ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগার যাচ্ছে ৫৬ উপজেলায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত