জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩৫) নামের এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে জীবননগর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে এই হত্যাকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাফিজার স্বামী কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাফিজা জীবননগরের সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে। তাঁর স্বামী কবির হোসেনের বাড়ি উপজেলার বালিহুদা গ্রামে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন হাফিজা খাতুন। সেখানে কোনো রোগী ছিল না। এ সময় কেউ ছুরি দিয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গলাকাটা অবস্থায় ওই নার্স সিঁড়ি বয়ে নিচে নেমে এসে রিসেপশনের সামনে পড়ে যান। পরে এক সহকর্মী তাঁকে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে হাফিজাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, হাসপাতালে রাত ৯টার পর গলার শ্বাসনালি কাটা অবস্থায় হাফিজা নামের একজনকে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের ম্যানেজার কেয়া খাতুন জানান, তাঁর ডিউটি বিকেলে ৫টা পর্যন্ত। এ কারণে সন্ধ্যার দিকে তিনি ক্লিনিক থেকে বাড়ি চলে যান। রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা শোনেন।
হাফিজার সহকর্মী নার্স বিউটি খাতুন বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে ক্লিনিকের রিসেপশনের সামনে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। আজ সকালে স্বামীর সঙ্গে হাফিজার ঝগড়া হয় বলে শুনেছি।’
জীবননগর থানার ওসি জাবীদ হাসান বলেন, ‘হাফিজা খাতুন ১০ বছর ধরে ওই ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করেন বলে জেনেছি। মেয়েটার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সেই স্বামী মাঝেমধ্যে ক্লিনিকে আসত। আমরা ক্লিনিকের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সেখানে রোগী খুব কম থাকে। তাদের কার্যক্রমও সীমিত। বিকেল ৪-৫টার দিকে ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ সবাই চলে যান। যদি কোনো রোগী থাকে, সে ক্ষেত্রে নার্সরা সেখানে থাকেন। এই সুযোগে হয়তো কোনো একটা কারণে কেউ তাকে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফিজাকে যে ছুরি দিয়ে গলা কাটা হয়েছে, সেই ছুরির কভার দেখেছি ঘটনাস্থলে। সিআইডি আলামত সংগ্রহ করছে। প্রাথমিকভাবে আমরা দুজনকে সন্দেহ করেছি, আমাদের হেফাজতে হাফিজার স্বামীসহ দু-একজন আছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমাদের কাছে অনেক তথ্য চলে এসেছে। যে ছুরি দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সে ছুরি আমরা অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার করেছি। শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে আশা করছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩৫) নামের এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে জীবননগর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে এই হত্যাকাণ্ড হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাফিজার স্বামী কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাফিজা জীবননগরের সন্তোষপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে। তাঁর স্বামী কবির হোসেনের বাড়ি উপজেলার বালিহুদা গ্রামে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন হাফিজা খাতুন। সেখানে কোনো রোগী ছিল না। এ সময় কেউ ছুরি দিয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গলাকাটা অবস্থায় ওই নার্স সিঁড়ি বয়ে নিচে নেমে এসে রিসেপশনের সামনে পড়ে যান। পরে এক সহকর্মী তাঁকে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এসে হাফিজাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, হাসপাতালে রাত ৯টার পর গলার শ্বাসনালি কাটা অবস্থায় হাফিজা নামের একজনকে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।
মা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমের ম্যানেজার কেয়া খাতুন জানান, তাঁর ডিউটি বিকেলে ৫টা পর্যন্ত। এ কারণে সন্ধ্যার দিকে তিনি ক্লিনিক থেকে বাড়ি চলে যান। রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা শোনেন।
হাফিজার সহকর্মী নার্স বিউটি খাতুন বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে ক্লিনিকের রিসেপশনের সামনে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। আজ সকালে স্বামীর সঙ্গে হাফিজার ঝগড়া হয় বলে শুনেছি।’
জীবননগর থানার ওসি জাবীদ হাসান বলেন, ‘হাফিজা খাতুন ১০ বছর ধরে ওই ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করেন বলে জেনেছি। মেয়েটার প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সেই স্বামী মাঝেমধ্যে ক্লিনিকে আসত। আমরা ক্লিনিকের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সেখানে রোগী খুব কম থাকে। তাদের কার্যক্রমও সীমিত। বিকেল ৪-৫টার দিকে ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ সবাই চলে যান। যদি কোনো রোগী থাকে, সে ক্ষেত্রে নার্সরা সেখানে থাকেন। এই সুযোগে হয়তো কোনো একটা কারণে কেউ তাকে হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফিজাকে যে ছুরি দিয়ে গলা কাটা হয়েছে, সেই ছুরির কভার দেখেছি ঘটনাস্থলে। সিআইডি আলামত সংগ্রহ করছে। প্রাথমিকভাবে আমরা দুজনকে সন্দেহ করেছি, আমাদের হেফাজতে হাফিজার স্বামীসহ দু-একজন আছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমাদের কাছে অনেক তথ্য চলে এসেছে। যে ছুরি দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সে ছুরি আমরা অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার করেছি। শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে আশা করছি। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১২ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৫ দিন আগে