অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের পুলিশ এক অভিজাত নারী ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে জানুয়ারিতে নিখোঁজ হওয়া এই জুটির শিশুসন্তানকে এখনো পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্য পুলিশ শিশুটিকে খুঁজছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্য পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ব্রাইটনের এক অধিবাসী কনস্ট্যান্স মার্টেন (৩৫) ও মার্ক গর্ডনকে (৪৮) চিহ্নিত করে পুলিশে খবর দেয়। নিজেদের সন্তানকে কোথাও ফেলে দিয়েছেন সন্দেহে তাঁদের ব্রাইটন থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
কনস্ট্যান্স মার্টেন সম্প্রতি পরিবার ও বন্ধু–বান্ধবদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের ডরসেট কাউন্টির ক্রিশেল হাউসে। তাঁর পরিবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তাঁর দাদি ছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের খেলার সাথি।
যুক্তরাজ্য পুলিশের ধারণা, এই যুগল সন্তান জন্মের এক থেকে দুই দিন আগে (গত ৫ জানুয়ারি) নিখোঁজ হন। তাঁরা সন্তান জন্মের আগে কোনো স্বাস্থ্যসেবাও নেননি। বর্তমানে জরুরি ভিত্তিতে নবজাতক অনুসন্ধান অভিযান চলছে।
যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিসের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিএনএনকে বলেন, ‘শিশুটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। যার কাছে তথ্য আছে আমরা তাঁকে বলব পুলিশকে জানাতে। যদি কেউ এমন কিছু পেয়ে থাকেন যেটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে— আমাদের জানাতে পারেন।’
এই যুগল এবং নবজাতকের জন্য অনুসন্ধান অভিযান জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। পুলিশ বেশ কয়েকটি উন্মুক্ত আবেদন করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ১০ হাজার ইউরো পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে তথ্যের জন্য নতুন এক আহ্বানে মেটের ইস্ট এরিয়া কমান্ডের গোয়েন্দা সুপারিনটেনডেন্ট লুইস বাসফোর্ড বলেন, ‘৬৩০ ঘণ্টার বেশি নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে। পুলিশ মানুষের কাছ থেকে ৩৫০টিরও বেশি ফোন কল পেয়েছে।’
বাসফোর্ড বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমরা এই অভিযান পরিবারটিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য করছি না। বরং শিশুটিকে খুঁজে পেতে ও তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য করছি। শিশুটির বাবা–মা কনস্ট্যান্স এবং মার্কের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার প্রতিও আমাদের সমান দৃষ্টি রয়েছে। যা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
কনস্ট্যান্স মার্টেনের বাবা নেপিয়ার মার্টেন একজন চলচ্চিত্র এবং সংগীত প্রযোজক। গত মাসে যুক্তরাজ্যর নিউজ আউটলেট ইন্ডিপেনডেন্টে নেপিয়ার মার্টেন তাঁর মেয়ের কাছে একটি অডিওতে আবেদন জানান। যেখানে নেপিয়ার মার্টেন বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কনস্ট্যান্স আমার কাছে অনেক, অনেক প্রিয়। আমি তার পরিবার এবং সন্তানের কল্যাণের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
নেপিয়ার মার্টেন মেয়েকে আরও বলেন, ‘ডার্লিং কনস্ট্যান্স, যদিও আমরা এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন রয়েছি, তবুও আমি তোমার পাশেই থাকব যেমনটা আমি সব সময় থেকেছি। তোমার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করতে প্রস্তুত।’
নেপিয়ার মার্টেন মেয়েকে আরও বলেন, ‘আমি তোমাকে অনুরোধ করছি যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে এবং পুঁচকেকে (তাঁর শিশুসন্তান) নিয়ে পুলিশের কাছে যাও। একটি উপায় খুঁজে বের করো যাতে তুমি ও শিশু সুরক্ষিত থাকো। পুলিশে নিজেকে সোপর্দের পরই নিরাময় এবং চিকিৎসা হওয়া সম্ভব।’
গত ৫ জানুয়ারি পুলিশের তদন্তে মার্টেন এবং গর্ডনকে ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোল্টনের একটি হাইওয়েতে আগুন ধরে যাওয়া একটি গাড়ির যাত্রী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ তাঁদের পায়নি। তাদের বেশির ভাগ জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। এরপর ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই যুগল এবং তাঁদের সন্তানের সন্ধান পেতে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য চেয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
গত ৭ জানুয়ারি এই জুটিকে লন্ডনে দেখা যায়। মুখ ঢেকে একটি হলুদ ক্যারিয়ার ব্যাগ এবং একটি প্র্যামসহ ট্যাক্সি থেকে নেমে যেতে দেখা যায় তাদের। তাঁবু, দুটি স্লিপিং ব্যাগ এবং দুটি বালিশসহ তাদের দেখে পুলিশ ধারণা করে, এই যুগল প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে ক্যাম্পিং করেছেন বা বাইরে ঘুমিয়েছেন। পরে তাঁরা ব্যবহৃত সব জিনিস ফেলে গেছেন।
যুক্তরাজ্যের পুলিশ এক অভিজাত নারী ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে জানুয়ারিতে নিখোঁজ হওয়া এই জুটির শিশুসন্তানকে এখনো পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্য পুলিশ শিশুটিকে খুঁজছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্য পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছে, দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ব্রাইটনের এক অধিবাসী কনস্ট্যান্স মার্টেন (৩৫) ও মার্ক গর্ডনকে (৪৮) চিহ্নিত করে পুলিশে খবর দেয়। নিজেদের সন্তানকে কোথাও ফেলে দিয়েছেন সন্দেহে তাঁদের ব্রাইটন থেকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশের হেফাজতে আছেন।
কনস্ট্যান্স মার্টেন সম্প্রতি পরিবার ও বন্ধু–বান্ধবদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের ডরসেট কাউন্টির ক্রিশেল হাউসে। তাঁর পরিবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তাঁর দাদি ছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের খেলার সাথি।
যুক্তরাজ্য পুলিশের ধারণা, এই যুগল সন্তান জন্মের এক থেকে দুই দিন আগে (গত ৫ জানুয়ারি) নিখোঁজ হন। তাঁরা সন্তান জন্মের আগে কোনো স্বাস্থ্যসেবাও নেননি। বর্তমানে জরুরি ভিত্তিতে নবজাতক অনুসন্ধান অভিযান চলছে।
যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিসের একজন মুখপাত্র মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিএনএনকে বলেন, ‘শিশুটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। যার কাছে তথ্য আছে আমরা তাঁকে বলব পুলিশকে জানাতে। যদি কেউ এমন কিছু পেয়ে থাকেন যেটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে— আমাদের জানাতে পারেন।’
এই যুগল এবং নবজাতকের জন্য অনুসন্ধান অভিযান জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল। পুলিশ বেশ কয়েকটি উন্মুক্ত আবেদন করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য ১০ হাজার ইউরো পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে তথ্যের জন্য নতুন এক আহ্বানে মেটের ইস্ট এরিয়া কমান্ডের গোয়েন্দা সুপারিনটেনডেন্ট লুইস বাসফোর্ড বলেন, ‘৬৩০ ঘণ্টার বেশি নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়েছে। পুলিশ মানুষের কাছ থেকে ৩৫০টিরও বেশি ফোন কল পেয়েছে।’
বাসফোর্ড বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমরা এই অভিযান পরিবারটিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য করছি না। বরং শিশুটিকে খুঁজে পেতে ও তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য করছি। শিশুটির বাবা–মা কনস্ট্যান্স এবং মার্কের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার প্রতিও আমাদের সমান দৃষ্টি রয়েছে। যা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।’
কনস্ট্যান্স মার্টেনের বাবা নেপিয়ার মার্টেন একজন চলচ্চিত্র এবং সংগীত প্রযোজক। গত মাসে যুক্তরাজ্যর নিউজ আউটলেট ইন্ডিপেনডেন্টে নেপিয়ার মার্টেন তাঁর মেয়ের কাছে একটি অডিওতে আবেদন জানান। যেখানে নেপিয়ার মার্টেন বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কনস্ট্যান্স আমার কাছে অনেক, অনেক প্রিয়। আমি তার পরিবার এবং সন্তানের কল্যাণের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
নেপিয়ার মার্টেন মেয়েকে আরও বলেন, ‘ডার্লিং কনস্ট্যান্স, যদিও আমরা এই মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন রয়েছি, তবুও আমি তোমার পাশেই থাকব যেমনটা আমি সব সময় থেকেছি। তোমার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করতে প্রস্তুত।’
নেপিয়ার মার্টেন মেয়েকে আরও বলেন, ‘আমি তোমাকে অনুরোধ করছি যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেকে এবং পুঁচকেকে (তাঁর শিশুসন্তান) নিয়ে পুলিশের কাছে যাও। একটি উপায় খুঁজে বের করো যাতে তুমি ও শিশু সুরক্ষিত থাকো। পুলিশে নিজেকে সোপর্দের পরই নিরাময় এবং চিকিৎসা হওয়া সম্ভব।’
গত ৫ জানুয়ারি পুলিশের তদন্তে মার্টেন এবং গর্ডনকে ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোল্টনের একটি হাইওয়েতে আগুন ধরে যাওয়া একটি গাড়ির যাত্রী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ তাঁদের পায়নি। তাদের বেশির ভাগ জিনিসপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। এরপর ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই যুগল এবং তাঁদের সন্তানের সন্ধান পেতে পুলিশ সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য চেয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
গত ৭ জানুয়ারি এই জুটিকে লন্ডনে দেখা যায়। মুখ ঢেকে একটি হলুদ ক্যারিয়ার ব্যাগ এবং একটি প্র্যামসহ ট্যাক্সি থেকে নেমে যেতে দেখা যায় তাদের। তাঁবু, দুটি স্লিপিং ব্যাগ এবং দুটি বালিশসহ তাদের দেখে পুলিশ ধারণা করে, এই যুগল প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে ক্যাম্পিং করেছেন বা বাইরে ঘুমিয়েছেন। পরে তাঁরা ব্যবহৃত সব জিনিস ফেলে গেছেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১১ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৪ দিন আগে