উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় কর্তব্যরত পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে সিমা ওরফে প্রিয়া (২৫) ও মোছা. মনি (২৩) নামের দুই তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গোলচত্বর থেকে গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই তরুণীর মধ্যে সিমা ওরফে প্রিয়া দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ চুয়ারিরটেক এলাকার শাওন প্রধানের স্ত্রী এবং মনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মৃত আলমের মেয়ে। দুজনেই ফায়দাবাদ চুয়ারিরটেক এলাকায় থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ উদ্দিন মণ্ডল দুই তরুণীকে আদালতে পাঠান। নন–এফআইআরে তিনি উল্লেখ করেছেন, থানা এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে রাত আনুমানিক পৌনে ১টার দিকে ১৩ নং সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনের রাস্তায় ওপর জনসাধারণের গতিরোধ করে হৈ হল্লা ও চিল্লাচিল্লি করে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছিলেন ওই দুই তরুণী। ওই সময় জনগণের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে রাস্তায় পড়ে গিয়ে সিমা ওরফে প্রিয়া আঘাত পান। পরে তাঁকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, জমজম টাওয়ারের সামনের রাস্তায় পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করে আছেন দুই তরুণী। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দুইজন আনসার সদস্য এবং একজন পুলিশ কনস্টেবল। পাশেই রয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই হানিফ উদ্দিন মণ্ডল। চারপাশে ভিড় করে আছেন উৎসুক জনতা। এক তরুণীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে ভিডিও করে কোনো লাভ নাই। ওনারা বিনা কারণে আমাদের পেটাচ্ছে। যদি আমাদের ফ্যামিলি কোনো কারণে জেনে যায়, তাহলে আমাদের মানসম্মান কিছুই থাকবে না।’
এ সময় এক তরুণী রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়ির বনেটে কিল, ঘুষি মারতে থাকেন। পরে পুলিশের একজন নারী সদস্য তাঁকে সরিয়ে দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার বারগুলোতে সারা রাত উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা মাতলামি করে। কখনো কখনো রাস্তায় নেমে আসেন তাঁরা। নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টার মধ্যে এসব বার বন্ধ করার কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিউটি অফিসার বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দুই তরুণী বিরুদ্ধে ডিএমপির ৭৭ ধারার অপরাধে ১০০ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের কিংফিশার বারে গত ২১ মে রাত ২টার দিকে বারের স্টাফ ও খদ্দেরের মধ্যে মারামারি হয়। পরে ৯৯৯–এর মাধ্যমে কল পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাফিন ইসতিয়াক রুবেল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। জানা যায়, সাভারের ব্যবসায়ী ফরহাদ ও বারের বাউন্সার শাহরিয়ার রহমান এবং তাঁর সহযোগীদের মধ্যে মারামারি হয়।
এ ছাড়া গত ২ জুন মধ্যরাতে উত্তরা ১৪ নং সেক্টরের গাউসুল আযম অ্যাভিনিউয়ের ‘ক্যাম্পফায়ার’ বারে বারের স্টাফ ও কাস্টমারদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ধ্বস্তাধ্বস্তি চলে। পরে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশের এসআই রিজুয়ান ফকিরের নেতৃত্বাধীন একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয়। পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ঘটনার পরের দিন ৩ জুন রাতে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির নির্দেশে পুলিশ বারটির মালিক জুয়েল, ম্যানেজার ও কয়েকজন স্টাফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে ওসির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শেষে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটকের পর ক্যাম্পফায়ার বারের মালিক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এক সাংবাদিক বারের মারামারি ও পুলিশের গাড়িতে হামলা নিয়ে নিউজ করছে। পরে ওসি স্যার আমাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর আমরা মুচলেকা দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর থানা থেকে ছাড়া পেয়েছি।’
রাজধানীর উত্তরায় কর্তব্যরত পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ করে সিমা ওরফে প্রিয়া (২৫) ও মোছা. মনি (২৩) নামের দুই তরুণী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের গোলচত্বর থেকে গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুই তরুণীর মধ্যে সিমা ওরফে প্রিয়া দক্ষিণখানের ফায়দাবাদ চুয়ারিরটেক এলাকার শাওন প্রধানের স্ত্রী এবং মনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের মৃত আলমের মেয়ে। দুজনেই ফায়দাবাদ চুয়ারিরটেক এলাকায় থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ উদ্দিন মণ্ডল দুই তরুণীকে আদালতে পাঠান। নন–এফআইআরে তিনি উল্লেখ করেছেন, থানা এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে রাত আনুমানিক পৌনে ১টার দিকে ১৩ নং সেক্টরের জমজম টাওয়ারের সামনের রাস্তায় ওপর জনসাধারণের গতিরোধ করে হৈ হল্লা ও চিল্লাচিল্লি করে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছিলেন ওই দুই তরুণী। ওই সময় জনগণের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে রাস্তায় পড়ে গিয়ে সিমা ওরফে প্রিয়া আঘাত পান। পরে তাঁকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, জমজম টাওয়ারের সামনের রাস্তায় পুলিশের গাড়ির গতিরোধ করে আছেন দুই তরুণী। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দুইজন আনসার সদস্য এবং একজন পুলিশ কনস্টেবল। পাশেই রয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই হানিফ উদ্দিন মণ্ডল। চারপাশে ভিড় করে আছেন উৎসুক জনতা। এক তরুণীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে ভিডিও করে কোনো লাভ নাই। ওনারা বিনা কারণে আমাদের পেটাচ্ছে। যদি আমাদের ফ্যামিলি কোনো কারণে জেনে যায়, তাহলে আমাদের মানসম্মান কিছুই থাকবে না।’
এ সময় এক তরুণী রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়ির বনেটে কিল, ঘুষি মারতে থাকেন। পরে পুলিশের একজন নারী সদস্য তাঁকে সরিয়ে দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার বারগুলোতে সারা রাত উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা মাতলামি করে। কখনো কখনো রাস্তায় নেমে আসেন তাঁরা। নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টার মধ্যে এসব বার বন্ধ করার কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বি এম ফরমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিউটি অফিসার বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দুই তরুণী বিরুদ্ধে ডিএমপির ৭৭ ধারার অপরাধে ১০০ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের কিংফিশার বারে গত ২১ মে রাত ২টার দিকে বারের স্টাফ ও খদ্দেরের মধ্যে মারামারি হয়। পরে ৯৯৯–এর মাধ্যমে কল পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাফিন ইসতিয়াক রুবেল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। জানা যায়, সাভারের ব্যবসায়ী ফরহাদ ও বারের বাউন্সার শাহরিয়ার রহমান এবং তাঁর সহযোগীদের মধ্যে মারামারি হয়।
এ ছাড়া গত ২ জুন মধ্যরাতে উত্তরা ১৪ নং সেক্টরের গাউসুল আযম অ্যাভিনিউয়ের ‘ক্যাম্পফায়ার’ বারে বারের স্টাফ ও কাস্টমারদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী ধ্বস্তাধ্বস্তি চলে। পরে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশের এসআই রিজুয়ান ফকিরের নেতৃত্বাধীন একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয়। পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ঘটনার পরের দিন ৩ জুন রাতে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির নির্দেশে পুলিশ বারটির মালিক জুয়েল, ম্যানেজার ও কয়েকজন স্টাফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে ওসির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক শেষে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আটকের পর ক্যাম্পফায়ার বারের মালিক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘এক সাংবাদিক বারের মারামারি ও পুলিশের গাড়িতে হামলা নিয়ে নিউজ করছে। পরে ওসি স্যার আমাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর আমরা মুচলেকা দিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর থানা থেকে ছাড়া পেয়েছি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে