নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর শাহজাহানপুরে যুবলীগ কর্মী অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার একজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন মোশারফ হোসেনের কাছে তিনি জবানবন্দি দেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার অপর ৯ জনের মধ্যে সাতজনকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি হলেন হাবিব আহসান। যাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন মো. শাহজালাল, রফিকুল ইসলাম, নুর আলম, সুমন মীর, আলিফ হোসেন, রবিউল সানি ও মেহেদী হাসান। যে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন আদনান আসিফ ও মো. শাকিল।
দুপুরের পর ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই মো. স্বপন মিয়া আসামি হাবিব আহসানের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী তাঁকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের খাস কামরায় নেওয়ার পর তিনি জবানবন্দি দেন।
সাত আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। এই সাতজনকে আদালতে হাজির করলে তাঁদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাঁদের চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার ওপর দুই আসামি আদনান আসিফ ও মো. শাকিলকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, হাবিব আহসান স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে নিজে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মূলত এলাকায় ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শাহজালালের সঙ্গে নিহত রুবেলের শত্রুতা ছিল। শাহজালালের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে হাবিব আহসান আদালতকে জানিয়েছেন।
হাবিব আদালতকে আরও জানান, শাহজালাল ও নিবির নামের একজন হাবিবকে তাদের শত্রু রুবেলকে হত্যার দায়িত্ব দেন। হাবিবকে চাপাতি কেনার টাকাও দেন তাঁরা। হাবিব বাজার থেকে চাপাতি কেনেন। দুইটা চাপাতি কিনে একটি নিজে নেন এবং অপরটি আলিফকে দেন।
ঘটনার রাতে হাবিব ও আলিফ চাপাতি নিয়ে ওত পেতে থাকেন রুবেলের বাসার আশপাশে। রুবেল বাসায় ফেরার পথে তাঁরা ধাওয়া করে রুবেলকে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যান। চাপাতিও রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান। এরপর জানতে পারেন রুবেল মারা গেছেন।
জানা গেছে, এই মামলার ঘটনার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিলেন বলে গ্রেপ্তার আসামিরা প্রকাশ করেছেন। কেউ পরিকল্পনা করেছেন, কেউ পাহারা দিয়েছেন। এভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন সবাই।
সাতজনের রিমান্ডের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা প্রত্যেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাঁদের গ্রেপ্তার করতে এবং ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলবাগের জোয়ারদার লেন এলাকায় রাত ১টার দিকে অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন তাঁর স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রুবেলের নিজের বাড়ি রাজারবাগের জোয়ারদার লেন এলাকায়। রাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে নিজের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছেই তিন-চারজন তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যান। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর শাহজাহানপুরে যুবলীগ কর্মী অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার একজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন মোশারফ হোসেনের কাছে তিনি জবানবন্দি দেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার অপর ৯ জনের মধ্যে সাতজনকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামি হলেন হাবিব আহসান। যাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন মো. শাহজালাল, রফিকুল ইসলাম, নুর আলম, সুমন মীর, আলিফ হোসেন, রবিউল সানি ও মেহেদী হাসান। যে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন আদনান আসিফ ও মো. শাকিল।
দুপুরের পর ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই মো. স্বপন মিয়া আসামি হাবিব আহসানের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী তাঁকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেনের খাস কামরায় নেওয়ার পর তিনি জবানবন্দি দেন।
সাত আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। এই সাতজনকে আদালতে হাজির করলে তাঁদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাঁদের চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার ওপর দুই আসামি আদনান আসিফ ও মো. শাকিলকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, হাবিব আহসান স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে নিজে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মূলত এলাকায় ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শাহজালালের সঙ্গে নিহত রুবেলের শত্রুতা ছিল। শাহজালালের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে হাবিব আহসান আদালতকে জানিয়েছেন।
হাবিব আদালতকে আরও জানান, শাহজালাল ও নিবির নামের একজন হাবিবকে তাদের শত্রু রুবেলকে হত্যার দায়িত্ব দেন। হাবিবকে চাপাতি কেনার টাকাও দেন তাঁরা। হাবিব বাজার থেকে চাপাতি কেনেন। দুইটা চাপাতি কিনে একটি নিজে নেন এবং অপরটি আলিফকে দেন।
ঘটনার রাতে হাবিব ও আলিফ চাপাতি নিয়ে ওত পেতে থাকেন রুবেলের বাসার আশপাশে। রুবেল বাসায় ফেরার পথে তাঁরা ধাওয়া করে রুবেলকে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যান। চাপাতিও রাস্তার পাশে ফেলে চলে যান। এরপর জানতে পারেন রুবেল মারা গেছেন।
জানা গেছে, এই মামলার ঘটনার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিলেন বলে গ্রেপ্তার আসামিরা প্রকাশ করেছেন। কেউ পরিকল্পনা করেছেন, কেউ পাহারা দিয়েছেন। এভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন সবাই।
সাতজনের রিমান্ডের আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা প্রত্যেকেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এবং আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাঁদের গ্রেপ্তার করতে এবং ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করতে রিমান্ডে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলবাগের জোয়ারদার লেন এলাকায় রাত ১টার দিকে অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন তাঁর স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান শাহজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রুবেলের নিজের বাড়ি রাজারবাগের জোয়ারদার লেন এলাকায়। রাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে নিজের ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছেই তিন-চারজন তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যান। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাঁকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে