নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ৩টায় আদালতে হাজি সেলিম সশরীরে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ৩টা ২০ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। পরে শুনানি হয়। শুনানির সময় হাজি সেলিম আসামির কাঠগড়ায় ওঠেন।
এর আগে দুপুরের আগেই আবেদন করেন হাজি সেলিম। আত্মসমর্পণসহ জামিন চান তিনি। একই সঙ্গে আরও দুটি আবেদন করা হয়। একটি হচ্ছে উন্নত চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া এবং হাজি সেলিমের কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন।
শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্য দুটি আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করেন কারাবিধি অনুযায়ী হাজি সেলিমকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৭। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। আপিল শুনানি শেষে গত বছর ৯ মার্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালতে তাঁর যে তিন বছরের সাজা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়।
জেলখানায় উন্নত চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চাইলেন হাজি সেলিম। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। ওই দিন রায়ে বলা হয় রায় প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তবে আত্মসমর্পণ না করেই বিদেশ ঘুরে এসেছেন হাজি সেলিম, যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দুদক আইনজীবী বলেন, আদালতের অনুমতি না নিয়ে দণ্ডিত আসামির বিদেশ যাওয়া বেআইনি।
গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্টের ওই রায়ে বিচারকের স্বাক্ষরের পর তা এ বছর ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। এরপর হাজি সেলিম আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার আবেদন করলে গত ২৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ তা আবেদন খারিজ করেন। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই হিসেবে ২৫ মের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকার অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ৮ কোটি ৭০ লাখ ৯ হাজার ৭৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তাঁর সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
হাজি সেলিম সম্পর্কিত পড়ুন:
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম আত্মসমর্পণ করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ৩টায় আদালতে হাজি সেলিম সশরীরে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ৩টা ২০ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। পরে শুনানি হয়। শুনানির সময় হাজি সেলিম আসামির কাঠগড়ায় ওঠেন।
এর আগে দুপুরের আগেই আবেদন করেন হাজি সেলিম। আত্মসমর্পণসহ জামিন চান তিনি। একই সঙ্গে আরও দুটি আবেদন করা হয়। একটি হচ্ছে উন্নত চিকিৎসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া এবং হাজি সেলিমের কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন।
শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্য দুটি আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ করেন কারাবিধি অনুযায়ী হাজি সেলিমকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৭। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। আপিল শুনানি শেষে গত বছর ৯ মার্চ বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে ১০ বছর বহাল রেখে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে তথ্য গোপনের অভিযোগে বিচারিক আদালতে তাঁর যে তিন বছরের সাজা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়।
জেলখানায় উন্নত চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির মর্যাদা চাইলেন হাজি সেলিম। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। ওই দিন রায়ে বলা হয় রায় প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজি সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তবে আত্মসমর্পণ না করেই বিদেশ ঘুরে এসেছেন হাজি সেলিম, যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দুদক আইনজীবী বলেন, আদালতের অনুমতি না নিয়ে দণ্ডিত আসামির বিদেশ যাওয়া বেআইনি।
গত বছরের ৯ মার্চ হাইকোর্টের ওই রায়ে বিচারকের স্বাক্ষরের পর তা এ বছর ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। এরপর হাজি সেলিম আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করার আবেদন করলে গত ২৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ তা আবেদন খারিজ করেন। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই হিসেবে ২৫ মের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকার অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ৮ কোটি ৭০ লাখ ৯ হাজার ৭৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাঁকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তাঁর সাজা বাতিল করেন। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
হাজি সেলিম সম্পর্কিত পড়ুন:
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে