নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
রাজধানীর মাতুয়াইলের গ্রিন মডেল টাউন এলাকার পাশের শণখেতে হাত–পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক তরুণের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ। পেশায় রিকশাচালক মো. নয়ন নামের এই তরুণ তিন ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন। পুলিশ বলছে, রিকশা ছিনতাইয়ের সময় নয়নকে হত্যা করেন দীন ইসলাম, নিজাম ও মমিনুল হক ওরফে মকবুল।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার আগেই অভিযুক্ত দিন ইসলাম ও নিজাম আটক হন যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশের টহল দলের হাতে। এরপর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দীন ইসলাম, মকবুল ও চোরাই রিকশার যন্ত্রাংশ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত আজিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিজাম পলাতক।
গত ২৪ মে যাত্রাবাড়ী থানার রাতের টহল দল একটি রিকশার ভাঙা বডি ও হুডসহ দুই আরোহীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। আরোহীরা হলেন—দীন ইসলাম ও নিজাম। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দাবি করেন, ময়লার ভাগাড় থেকে এসব কুড়িয়ে পেয়েছেন। বিক্রি করার জন্য যাচ্ছেন। এ সময় রিকশার বডি ও হুডে লেখা মোবাইল নম্বরে ফোনকল করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। রিসিভ করেন রিকশার গ্যারেজের মালিক। মালিকের ধারণা হয়, চালকই বডি, হুড ও ব্যাটারি আলাদা বিক্রি করে পালিয়েছেন। তাই মামলা না করে চালককে খুঁজে বের করতে পুলিশকে অনুরোধ জানিয়ে রিকশার অবশিষ্টাংশ নিয়ে চলে যান।
এ সময় আটক দীন ইসলাম নিজেকে মুগদা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পরিচয় দেন এবং পরিচয়পত্র দেখান। তখন পুলিশ দীন ইসলামসহ নিজামের নাম, ঠিকানা নিয়ে তাঁদের ছবি তুলে সেদিনের মতো ছেড়ে দেয়।
এর চার দিন পর নয়নের লাশ উদ্ধার হয় শণখেত থেকে। লাশ উদ্ধারের একদিন পর যাত্রাবাড়ী থানায় তাঁর মা রিনা বেগম মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় স্বপন মৃধা সড়কের টুটুলের রিকশা গ্যারেজ থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি নয়ন।
মামলায় নয়নের নিখোঁজ হওয়ার দিন তারিখ এবং জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য মিলে যাওয়ায় থানা–পুলিশ সেদিনের দুই আরোহীর একজন দীন ইসলামকে আবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দীন ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে মকবুলকে আটক করা হয়। ঢাকার মুগদা থেকে গ্রেপ্তার হন ভাঙারি ব্যবসায়ী আজিজুল। পলাতক আছেন আরেক অভিযুক্ত নিজাম। দীন ইসলাম ও মকবুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই খুনের মূল হোতা দীন ইসলাম। ঘটনার দিনই আমাদের রাতের টহলপার্টিতে দায়িত্বে থাকা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক হোসেন জায়েদের হাতে তাঁরা একবার আটক হন। তখনো খুন সম্পর্কে পুলিশ কিছু জানত না। সেদিনের টহল পার্টিতে দায়িত্বপালন করা এই পুলিশ সদস্যের দূরদর্শিতায় এমন একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক হোসেন জায়েদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা তিন–চার দিন দিন–রাত পরিশ্রম করে এমন একটি ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। এ জন্য ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ আমাকে টিম নিয়ে ছুটতে হয়েছে। সেদিন রাতে সন্দেহের বশে তাঁদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ না করলে এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন সহজ হতো না।’
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মূল হোতা দীন ইসলাম। তাঁর বাবা মুগদা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সেই সুবাদে তিনিও মাঝে মাঝে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। ঘটনার দিন দীন ইসলাম, মকবুল ও নিজাম কোমলপানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাদক হিসেবে সেবন করেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁরা সন্ধ্যায় গ্রিন মডেল টাউন ঘুরতে যাবেন বলে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে ৯০ টাকায় একটি অটোরিকশা ভাড়া করেন। রিকশাটি গ্রিন মডেল টাউনে পৌঁছালে মিজান রিকশাচালক নয়নের গলায় গামছা পেঁচিয়ে নিচে ফেলে দেন। তখন দীন ইসলাম রশি দিয়ে নয়নের দুই পা বাঁধেন এবং মকবুল দুই হাত বাঁধেন। এরপর শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে শণখেতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে ধলপুরে চলে যান। ছিনতাই অটোরিকশার চারটি ব্যাটারি ভাঙারির দোকানদার আজিজুল হকের কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। এর মধ্যে নগদ পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা।
উপপরিদর্শক হোসেন জায়েদ জানিয়েছেন, দীন ইসলাম ও নিজামের নামে এর আগেও রিকশা ছিনতাইয়ের দুটি মামলা আছে। ভাঙারি ব্যবসায়ী আজিজুল তাঁদের চোরাই মাল বিক্রির বিশ্বস্ত সহযোগী।
রাজধানীর মাতুয়াইলের গ্রিন মডেল টাউন এলাকার পাশের শণখেতে হাত–পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক তরুণের পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ। পেশায় রিকশাচালক মো. নয়ন নামের এই তরুণ তিন ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন। পুলিশ বলছে, রিকশা ছিনতাইয়ের সময় নয়নকে হত্যা করেন দীন ইসলাম, নিজাম ও মমিনুল হক ওরফে মকবুল।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার আগেই অভিযুক্ত দিন ইসলাম ও নিজাম আটক হন যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশের টহল দলের হাতে। এরপর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দীন ইসলাম, মকবুল ও চোরাই রিকশার যন্ত্রাংশ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত আজিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিজাম পলাতক।
গত ২৪ মে যাত্রাবাড়ী থানার রাতের টহল দল একটি রিকশার ভাঙা বডি ও হুডসহ দুই আরোহীকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। আরোহীরা হলেন—দীন ইসলাম ও নিজাম। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দাবি করেন, ময়লার ভাগাড় থেকে এসব কুড়িয়ে পেয়েছেন। বিক্রি করার জন্য যাচ্ছেন। এ সময় রিকশার বডি ও হুডে লেখা মোবাইল নম্বরে ফোনকল করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। রিসিভ করেন রিকশার গ্যারেজের মালিক। মালিকের ধারণা হয়, চালকই বডি, হুড ও ব্যাটারি আলাদা বিক্রি করে পালিয়েছেন। তাই মামলা না করে চালককে খুঁজে বের করতে পুলিশকে অনুরোধ জানিয়ে রিকশার অবশিষ্টাংশ নিয়ে চলে যান।
এ সময় আটক দীন ইসলাম নিজেকে মুগদা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পরিচয় দেন এবং পরিচয়পত্র দেখান। তখন পুলিশ দীন ইসলামসহ নিজামের নাম, ঠিকানা নিয়ে তাঁদের ছবি তুলে সেদিনের মতো ছেড়ে দেয়।
এর চার দিন পর নয়নের লাশ উদ্ধার হয় শণখেত থেকে। লাশ উদ্ধারের একদিন পর যাত্রাবাড়ী থানায় তাঁর মা রিনা বেগম মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৪ তারিখ সন্ধ্যায় স্বপন মৃধা সড়কের টুটুলের রিকশা গ্যারেজ থেকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি নয়ন।
মামলায় নয়নের নিখোঁজ হওয়ার দিন তারিখ এবং জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য মিলে যাওয়ায় থানা–পুলিশ সেদিনের দুই আরোহীর একজন দীন ইসলামকে আবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। দীন ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের সীমান্ত এলাকা থেকে মকবুলকে আটক করা হয়। ঢাকার মুগদা থেকে গ্রেপ্তার হন ভাঙারি ব্যবসায়ী আজিজুল। পলাতক আছেন আরেক অভিযুক্ত নিজাম। দীন ইসলাম ও মকবুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই খুনের মূল হোতা দীন ইসলাম। ঘটনার দিনই আমাদের রাতের টহলপার্টিতে দায়িত্বে থাকা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক হোসেন জায়েদের হাতে তাঁরা একবার আটক হন। তখনো খুন সম্পর্কে পুলিশ কিছু জানত না। সেদিনের টহল পার্টিতে দায়িত্বপালন করা এই পুলিশ সদস্যের দূরদর্শিতায় এমন একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়েছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক হোসেন জায়েদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা তিন–চার দিন দিন–রাত পরিশ্রম করে এমন একটি ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছি। এ জন্য ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ আমাকে টিম নিয়ে ছুটতে হয়েছে। সেদিন রাতে সন্দেহের বশে তাঁদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ না করলে এই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন সহজ হতো না।’
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মূল হোতা দীন ইসলাম। তাঁর বাবা মুগদা হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সেই সুবাদে তিনিও মাঝে মাঝে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। ঘটনার দিন দীন ইসলাম, মকবুল ও নিজাম কোমলপানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাদক হিসেবে সেবন করেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাঁরা সন্ধ্যায় গ্রিন মডেল টাউন ঘুরতে যাবেন বলে যাত্রাবাড়ীর কাজলা থেকে ৯০ টাকায় একটি অটোরিকশা ভাড়া করেন। রিকশাটি গ্রিন মডেল টাউনে পৌঁছালে মিজান রিকশাচালক নয়নের গলায় গামছা পেঁচিয়ে নিচে ফেলে দেন। তখন দীন ইসলাম রশি দিয়ে নয়নের দুই পা বাঁধেন এবং মকবুল দুই হাত বাঁধেন। এরপর শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে শণখেতে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা নিয়ে ধলপুরে চলে যান। ছিনতাই অটোরিকশার চারটি ব্যাটারি ভাঙারির দোকানদার আজিজুল হকের কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। এর মধ্যে নগদ পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা।
উপপরিদর্শক হোসেন জায়েদ জানিয়েছেন, দীন ইসলাম ও নিজামের নামে এর আগেও রিকশা ছিনতাইয়ের দুটি মামলা আছে। ভাঙারি ব্যবসায়ী আজিজুল তাঁদের চোরাই মাল বিক্রির বিশ্বস্ত সহযোগী।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে