নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী শহরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মন্টি দত্ত (৩৪) নামের এক যুবককে চার দফায় উপর্যুপরি পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পৃথক দুইটি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে শহরের বাজির মোড় ও পাতিলবাড়ি রোড এলাকায়। চার দফা মারধরের অভিযোগ উঠছে ওই এলাকার ফকরুল ইসলাম ওরফে হৃদয়ের (৩৫) বিরুদ্ধে। মন্টি ও ফকরুল সব সময়ই একসঙ্গে চলাফেরা করতেন এবং ঘটনার সময় তাঁরা দুজনেই মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিলেন। মারধরে সরাসরি অংশ নিয়েছেন ফকরুলের সহযোগী স্থানীয় ১৫-২০ জন যুবক।
নিহত মন্টি দত্ত নরসিংদী শহরের উত্তর কান্দা পাড়ার পাতিলবাড়ি রোড এলাকার নিরঞ্জন দত্তের ছেলে। এক সময় ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করলেও সম্প্রতি তিনি বেকার জীবনযাপন করছিলেন। সমবয়সী একদল বখাটে ছেলেদের সঙ্গে মিশে তিনি নিয়মিতভাবে মাদক সেবন করতেন। এ নিয়ে স্ত্রী তৃণা দত্ত ও দশ বছরের মেয়ে শ্রেয়া দত্তকে নিয়ে তাঁর সংসারে অশান্তি ছিল। সংসার চলত স্ত্রীর উপার্জনের টাকায়।
নিহত মন্টির পরিবারের সদস্য ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে মন্টির কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শাকিল তাঁকে ওই সময় কয়েকটি চড় মারেন। এতে কষ্ট পেয়ে মন্টি বাজিরমোড় এলাকার পাট্টা (বাংলা মদ বিক্রয় কেন্দ্র) থেকে দিনভর কয়েক দফা মদ পান করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি স্ট্রিট ফুডের দোকান থেকে কাবাব খাওয়ার সময় এই বিষয় নিয়েই ফকরুল নামের ওই বন্ধুর সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সময় দুজনই মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিলেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নিলে ফকরুল মন্টির পড়নের শার্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এতে মন্টি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ফকরুলকে গালিগালাজ শুরু করেন।
এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোকজন তাঁদের দুজনকে সেখান থেকে দুই দিকে সরিয়ে দিলে তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ফকরুলকে মারার হুমকি দিতে দিতে মন্টি আবার ওই পাট্টার ভেতরে যান। এর পরপরই ফকরুল তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে মন্টিকে মারধর করেন। এ সময় তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। পরে তাঁকে আবার ধরে নিয়ে গিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। পরে এলাকায় ফিরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টের সামনে বসে ছিলেন মন্টি। কাকতালীয়ভাবে ওই রেস্টুরেন্টেই কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে খেতে যান ফকরুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ওই রেস্টুরেন্টে ফকরুলকে দেখতে পেয়ে মন্টি পুনরায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া শুরু করলে তাঁরা মন্টির চুল ধরে টেনে আবার ওই পাট্টার সামনে নিয়ে যান। সেখানে ফকরুলের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী বানিয়াছল এলাকার ১৫-২০ জন লাঠি ও রড দিয়ে তাঁকে তৃতীয় দফা উপর্যুপরি মারধর করেন। এবারও সেখান থেকে পালিয়ে মন্টি নিজের এলাকা পাতিলবাড়ি রোডে চলে যান। প্রতিশোধ নিতে মন্টি লোক জড়ো করছেন, এমন খবর পেয়ে ফকরুল ও তাঁর সহযোগীরা পাতিলবাড়ি রোডের একটি বালুর মাঠে তাঁকে একা পেয়ে চতুর্থ দফায় পেটান। তাঁদের হাত থেকে কোনোরকমে ছাড়া পেয়ে দুই মিনিটের পথ হেঁটে মধ্য কান্দাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি।
নিহতের স্ত্রী তৃণা দত্ত বলেন, ‘রাত পৌনে ৮টার দিকে খবর পেয়ে আমরা মধ্য কান্দাপাড়া এলাকার অনুকূল ঠাকুরের মন্দির সংলগ্ন স্থান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ৮টার দিকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই মাদকাসক্তিই আমাদের পরিবারটাকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে।’
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী বলেন, ‘ওই যুবককে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে তাঁর মরদেহ রাতেই এই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক মারধরের চিহ্ন পেয়েছি আমরা। ময়নাতদন্ত করা হবে, পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
জানতে চাইলে নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া নামের তালিকা ধরে রোববার রাতভর আমরা অভিযান চালিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুতই তাঁরা আইনের আওতায় আসবেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।’
নরসিংদী শহরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মন্টি দত্ত (৩৪) নামের এক যুবককে চার দফায় উপর্যুপরি পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পৃথক দুইটি এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে শহরের বাজির মোড় ও পাতিলবাড়ি রোড এলাকায়। চার দফা মারধরের অভিযোগ উঠছে ওই এলাকার ফকরুল ইসলাম ওরফে হৃদয়ের (৩৫) বিরুদ্ধে। মন্টি ও ফকরুল সব সময়ই একসঙ্গে চলাফেরা করতেন এবং ঘটনার সময় তাঁরা দুজনেই মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিলেন। মারধরে সরাসরি অংশ নিয়েছেন ফকরুলের সহযোগী স্থানীয় ১৫-২০ জন যুবক।
নিহত মন্টি দত্ত নরসিংদী শহরের উত্তর কান্দা পাড়ার পাতিলবাড়ি রোড এলাকার নিরঞ্জন দত্তের ছেলে। এক সময় ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করলেও সম্প্রতি তিনি বেকার জীবনযাপন করছিলেন। সমবয়সী একদল বখাটে ছেলেদের সঙ্গে মিশে তিনি নিয়মিতভাবে মাদক সেবন করতেন। এ নিয়ে স্ত্রী তৃণা দত্ত ও দশ বছরের মেয়ে শ্রেয়া দত্তকে নিয়ে তাঁর সংসারে অশান্তি ছিল। সংসার চলত স্ত্রীর উপার্জনের টাকায়।
নিহত মন্টির পরিবারের সদস্য ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাকিল নামের এক যুবকের সঙ্গে মন্টির কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে শাকিল তাঁকে ওই সময় কয়েকটি চড় মারেন। এতে কষ্ট পেয়ে মন্টি বাজিরমোড় এলাকার পাট্টা (বাংলা মদ বিক্রয় কেন্দ্র) থেকে দিনভর কয়েক দফা মদ পান করেন। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি স্ট্রিট ফুডের দোকান থেকে কাবাব খাওয়ার সময় এই বিষয় নিয়েই ফকরুল নামের ওই বন্ধুর সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সময় দুজনই মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিলেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নিলে ফকরুল মন্টির পড়নের শার্ট টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এতে মন্টি প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে ফকরুলকে গালিগালাজ শুরু করেন।
এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোকজন তাঁদের দুজনকে সেখান থেকে দুই দিকে সরিয়ে দিলে তাঁরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ফকরুলকে মারার হুমকি দিতে দিতে মন্টি আবার ওই পাট্টার ভেতরে যান। এর পরপরই ফকরুল তাঁর এক সহযোগীকে নিয়ে মন্টিকে মারধর করেন। এ সময় তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। পরে তাঁকে আবার ধরে নিয়ে গিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। পরে এলাকায় ফিরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টের সামনে বসে ছিলেন মন্টি। কাকতালীয়ভাবে ওই রেস্টুরেন্টেই কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে খেতে যান ফকরুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ওই রেস্টুরেন্টে ফকরুলকে দেখতে পেয়ে মন্টি পুনরায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া শুরু করলে তাঁরা মন্টির চুল ধরে টেনে আবার ওই পাট্টার সামনে নিয়ে যান। সেখানে ফকরুলের নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী বানিয়াছল এলাকার ১৫-২০ জন লাঠি ও রড দিয়ে তাঁকে তৃতীয় দফা উপর্যুপরি মারধর করেন। এবারও সেখান থেকে পালিয়ে মন্টি নিজের এলাকা পাতিলবাড়ি রোডে চলে যান। প্রতিশোধ নিতে মন্টি লোক জড়ো করছেন, এমন খবর পেয়ে ফকরুল ও তাঁর সহযোগীরা পাতিলবাড়ি রোডের একটি বালুর মাঠে তাঁকে একা পেয়ে চতুর্থ দফায় পেটান। তাঁদের হাত থেকে কোনোরকমে ছাড়া পেয়ে দুই মিনিটের পথ হেঁটে মধ্য কান্দাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি।
নিহতের স্ত্রী তৃণা দত্ত বলেন, ‘রাত পৌনে ৮টার দিকে খবর পেয়ে আমরা মধ্য কান্দাপাড়া এলাকার অনুকূল ঠাকুরের মন্দির সংলগ্ন স্থান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ৮টার দিকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই মাদকাসক্তিই আমাদের পরিবারটাকে একেবারে শেষ করে দিয়েছে।’
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী বলেন, ‘ওই যুবককে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে তাঁর মরদেহ রাতেই এই হাসপাতালেরই মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক মারধরের চিহ্ন পেয়েছি আমরা। ময়নাতদন্ত করা হবে, পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
জানতে চাইলে নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া নামের তালিকা ধরে রোববার রাতভর আমরা অভিযান চালিয়েছি। আশা করছি খুব দ্রুতই তাঁরা আইনের আওতায় আসবেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১২ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১২ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৬ দিন আগে