শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে খাবারের বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে খাবার হোটেল ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। হামলাকারীরা হোটেলের টেবিল, গ্লাস, প্লেট ভাঙচুর করে। বেশ কয়েকজন কর্মচারীকেও মারধর করে।
ঘটনার পরপর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা এলাকার বরমী মিষ্টি ঘর অ্যান্ড হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
হোটেল মালিকের অভিযোগ অনুযায়ী হামলাকারীরা হলেন—শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আজিজুল রহমান জন (২৭)। তাঁর বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামে, তাঁর বাবার নাম মাহবুবুর রহমান (মৃদ)। অপর হামলাকারীরা হলেন—আল আমিন (২৬), বাপ্পী (২৫), সঞ্জয় (২৫) ও আকবর (২৬) ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন।
আহতরা হলেন—হোটেল কর্মচারী মফিজ উদ্দিন (৩৪), শফিকুল ইসলাম (২২) ও রাকিব (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৩), কাজল মিয়া (২৯) ও জামাল উদ্দিন (২৩)।
বরমী মিষ্টি ঘর অ্যান্ড হোটেলের ম্যানেজার সারফুল ইসলাম বলেন, ‘চারজন ছেলে এসে হোটেলে পাঁচটি চাপ-পরোটা অর্ডার করে। তৈরি হলে পার্সেল হাতে নিয়ে “যুবলীগ নেতা জন ভাই বিল পরিশোধ করবে” বলে যেতে চায় তারা। এ সময় তাঁকে বিল পরিশোধ করে দিয়ে যেতে বলি। এর আগেও অনেক টাকা বাকি পড়ে আছে, সেগুলো দিচ্ছে না। এ সময় আল আমিনের হাত থেকে খাবার রেখে দিতে উদ্যত হয় কর্মচারী মফিজ। আল আমিন তখন হোটেল কর্মচারীর কলার ধরে বাইরে নিয়ে মারধর করে চলে যায়। ঘটনার এক থেকে দুই মিনিট পর যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জন দলবল নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে হোটেলের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হোটেলের কর্মচারীরা বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরমী মিষ্টি ঘর অ্যান্ড হোটেলের মালিক বদরুল ইসলাম বলেন, ‘হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধরের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এরপর আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিই। হামলাকারী যুবলীগ নেতা জনের কাছে এর আগেও অনেক টাকা বাকি পড়ে আছে। সেগুলো চাইতে সাহস পাই না। আজ টাকা চাইতে গিয়ে ওরা আমার হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমার কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করে আহত করে। এ বিষয়ে রাতে পুলিশ এসেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের ওপর খেপলেন কেন? এটা একটা ছোট্ট ঘটনা ভাই। আমার নেতৃত্বে হামলা হয়নি। আমি খবর পেয়ে বিষয়টি সমাধান করতে ওখানে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে হোটেল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি।’
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আপনার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আপনার লোকজন হোটেলে প্রবেশ করে দুই দফা মারধর হামলা চালিয়েছে। এর প্রমাণ সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে।—এ প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ নেতা জন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখতে বলেন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আজিজুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ভাঙচুরের আলামত পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে খাবারের বিল চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে খাবার হোটেল ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। হামলাকারীরা হোটেলের টেবিল, গ্লাস, প্লেট ভাঙচুর করে। বেশ কয়েকজন কর্মচারীকেও মারধর করে।
ঘটনার পরপর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ সময় হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা এলাকার বরমী মিষ্টি ঘর অ্যান্ড হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
হোটেল মালিকের অভিযোগ অনুযায়ী হামলাকারীরা হলেন—শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আজিজুল রহমান জন (২৭)। তাঁর বাড়ি শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামে, তাঁর বাবার নাম মাহবুবুর রহমান (মৃদ)। অপর হামলাকারীরা হলেন—আল আমিন (২৬), বাপ্পী (২৫), সঞ্জয় (২৫) ও আকবর (২৬) ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন।
আহতরা হলেন—হোটেল কর্মচারী মফিজ উদ্দিন (৩৪), শফিকুল ইসলাম (২২) ও রাকিব (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৩), কাজল মিয়া (২৯) ও জামাল উদ্দিন (২৩)।
বরমী মিষ্টি ঘর অ্যান্ড হোটেলের ম্যানেজার সারফুল ইসলাম বলেন, ‘চারজন ছেলে এসে হোটেলে পাঁচটি চাপ-পরোটা অর্ডার করে। তৈরি হলে পার্সেল হাতে নিয়ে “যুবলীগ নেতা জন ভাই বিল পরিশোধ করবে” বলে যেতে চায় তারা। এ সময় তাঁকে বিল পরিশোধ করে দিয়ে যেতে বলি। এর আগেও অনেক টাকা বাকি পড়ে আছে, সেগুলো দিচ্ছে না। এ সময় আল আমিনের হাত থেকে খাবার রেখে দিতে উদ্যত হয় কর্মচারী মফিজ। আল আমিন তখন হোটেল কর্মচারীর কলার ধরে বাইরে নিয়ে মারধর করে চলে যায়। ঘটনার এক থেকে দুই মিনিট পর যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জন দলবল নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে হোটেলের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হোটেলের কর্মচারীরা বাধা দিলে তাদেরও মারধর করে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরমী মিষ্টি ঘর অ্যান্ড হোটেলের মালিক বদরুল ইসলাম বলেন, ‘হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধরের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এরপর আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিই। হামলাকারী যুবলীগ নেতা জনের কাছে এর আগেও অনেক টাকা বাকি পড়ে আছে। সেগুলো চাইতে সাহস পাই না। আজ টাকা চাইতে গিয়ে ওরা আমার হোটেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমার কয়েকজন কর্মচারীকে মারধর করে আহত করে। এ বিষয়ে রাতে পুলিশ এসেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ছোট ভাইয়ের ওপর খেপলেন কেন? এটা একটা ছোট্ট ঘটনা ভাই। আমার নেতৃত্বে হামলা হয়নি। আমি খবর পেয়ে বিষয়টি সমাধান করতে ওখানে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে হোটেল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি।’
হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে, আপনার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। আপনার লোকজন হোটেলে প্রবেশ করে দুই দফা মারধর হামলা চালিয়েছে। এর প্রমাণ সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে।—এ প্রশ্নের জবাবে যুবলীগ নেতা জন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখতে বলেন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আজিজুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে ভাঙচুরের আলামত পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১১ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৫ দিন আগে