জবি প্রতিনিধি
দীর্ঘ পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আকবর হোসাইন খান রাব্বি হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা হয়নি। পরিবার ও সহপাঠীদের অভিযোগ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ার পেছনে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা ভাব রয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জবি সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আকবর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও আকবরের বড় বোন লাবণী খানম আঁখি।
সংবাদ সম্মেলনে আকবরে বড় বোন বলেন, ‘গত ২৭ আগস্ট ২০২১ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন খান রাব্বি পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর সহপাঠীরা বিভিন্ন সময়ে ফোনে যোগাযোগ করলে আশপাশে রয়েছেন বলে জানান। সর্বশেষ রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে যখন আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন একটু পর বাসায় ফিরবেন বলে আমাকে জানান। এরপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায় আকবরকে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন একটি ফ্লাইওভার থেকে কে বা কারা নিচে ফেলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় তাঁর কোমরের বাঁ পাশে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা গভীর ক্ষত ছিল। ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেওয়ায় তার ব্রেইন অনেকাংশে থেঁতলে যায়। ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে টানা পাঁচ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবর মারা যান।’
লাবণী খানম আঁখি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ এখনো সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। কে বা কারা গত ২৭ আগস্ট রাতে পরিকল্পনা মাফিক ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আকবরকে হত্যা করেছে, তা এখনো এক রহস্য রয়ে গেছে। আকবরের মোবাইল ফোনটি ঘটনার এক-দুই দিনের মধ্যেই থানা থেকে লক খুলতে গিয়ে হার্ড রিসেট দেওয়া হয়, ফলে তার ফোন থেকে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানায়। তবে প্রাথমিক তদন্তে চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশ এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে নিশ্চিত করে।’
সংবাদ সম্মেলনে আকবরের সহপাঠীরা বলেন, ‘আমাদের সহপাঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের একজন সহপাঠীর এমন রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
আকবরের সহপাঠী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক মেধা, শ্রম দিয়ে এই পর্যায়ে আসে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে এতগুলো বছর পড়াশোনা, কত স্বপ্ন, কত আশা ছিল তার! আকবরের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি হওয়ার, সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছিল। ঠিক ফাইনাল পরীক্ষার আগে তার এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড, এটা মেনে নেওয়া তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সবার জন্য কষ্টকর।’
মামলার তদন্তে এত সময় কেন লাগছে জানতে চাইলে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজ বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে, আকবরের ল্যাপটপ সিআইডির ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে পারব।’
আকবরের মামলা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো খোঁজখবর রাখা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে জবির প্রোক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সিআইডি ও পিবিআইয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কোনো আপডেট এলেই আমাদের জানানো হবে, সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আকবর হত্যাকাণ্ডের মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় রয়েছে। তাঁর পরিবার থেকে মামলায় উল্লেখিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের এখন অবধি জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেয়নি পুলিশ। দীর্ঘ সময়েও তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এখন আকবরের পরিবার চায় মামলাটির তদন্তভার পিবিআই বা সিআইডিকে দেওয়া হোক। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।
দীর্ঘ পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আকবর হোসাইন খান রাব্বি হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা হয়নি। পরিবার ও সহপাঠীদের অভিযোগ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ার পেছনে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা ভাব রয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জবি সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আকবর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও আকবরের বড় বোন লাবণী খানম আঁখি।
সংবাদ সম্মেলনে আকবরে বড় বোন বলেন, ‘গত ২৭ আগস্ট ২০২১ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন খান রাব্বি পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর সহপাঠীরা বিভিন্ন সময়ে ফোনে যোগাযোগ করলে আশপাশে রয়েছেন বলে জানান। সর্বশেষ রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে যখন আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন একটু পর বাসায় ফিরবেন বলে আমাকে জানান। এরপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায় আকবরকে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন একটি ফ্লাইওভার থেকে কে বা কারা নিচে ফেলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় তাঁর কোমরের বাঁ পাশে ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা গভীর ক্ষত ছিল। ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেওয়ায় তার ব্রেইন অনেকাংশে থেঁতলে যায়। ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে টানা পাঁচ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবর মারা যান।’
লাবণী খানম আঁখি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ এখনো সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। কে বা কারা গত ২৭ আগস্ট রাতে পরিকল্পনা মাফিক ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আকবরকে হত্যা করেছে, তা এখনো এক রহস্য রয়ে গেছে। আকবরের মোবাইল ফোনটি ঘটনার এক-দুই দিনের মধ্যেই থানা থেকে লক খুলতে গিয়ে হার্ড রিসেট দেওয়া হয়, ফলে তার ফোন থেকে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখনো সন্তোষজনক কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি বলে জানায়। তবে প্রাথমিক তদন্তে চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশ এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে নিশ্চিত করে।’
সংবাদ সম্মেলনে আকবরের সহপাঠীরা বলেন, ‘আমাদের সহপাঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের একজন সহপাঠীর এমন রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
আকবরের সহপাঠী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক মেধা, শ্রম দিয়ে এই পর্যায়ে আসে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে এতগুলো বছর পড়াশোনা, কত স্বপ্ন, কত আশা ছিল তার! আকবরের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি হওয়ার, সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করছিল। ঠিক ফাইনাল পরীক্ষার আগে তার এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড, এটা মেনে নেওয়া তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সবার জন্য কষ্টকর।’
মামলার তদন্তে এত সময় কেন লাগছে জানতে চাইলে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজ বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে, আকবরের ল্যাপটপ সিআইডির ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে পারব।’
আকবরের মামলা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো খোঁজখবর রাখা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে জবির প্রোক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সিআইডি ও পিবিআইয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। কোনো আপডেট এলেই আমাদের জানানো হবে, সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আকবর হত্যাকাণ্ডের মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় রয়েছে। তাঁর পরিবার থেকে মামলায় উল্লেখিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের এখন অবধি জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নেয়নি পুলিশ। দীর্ঘ সময়েও তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এখন আকবরের পরিবার চায় মামলাটির তদন্তভার পিবিআই বা সিআইডিকে দেওয়া হোক। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৪ দিন আগে