সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ও স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নানা অবৈধ সুবিধা দেওয়ার চর্চা আবার শুরু হয়েছে। জামিনে মুক্ত আসামি ও বন্দীদের পার্সেল জমা, মোবাইল ফোনে কথা বলা, বন্দী বেচাকেনা, মোবাইল ব্যবহারসহ টাকার বিনিময়ে নানা অবৈধ সুবিধা দেওয়ার মতো অপরাধে জড়াচ্ছেন কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীরা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই উৎকোচের ভাগ পান ঊর্ধ্বতনরাও কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাশাপাশি দপ্তরের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরাও এই অনিয়মে জড়িত।
এর আগে সাবেক জেলার সোহেল রানার বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন, কারাগারের ভেতর অমিত মুহুরি হত্যা, আসামি পলায়নসহ নানা আলোচিত ঘটনার পর চট্টগ্রাম কারাগারের ভেতরে বেশ কয়েক মাস কড়াকড়ি ছিল। তবে আবার সেই আগের মতো ঢিলেঢালা অবস্থা। অনিয়মই নিয়ম হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে।
গত ৩ মার্চ পূর্ব মাদাবাড়ী ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হানিফের জামিন আদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এ সময় সিটিএসবির ক্লিয়ারেন্সের কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে তবেই মুক্তি দেন ডেপুটি জেলার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।
গত ১৩ এপ্রিল জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি (হাজতি নং-৮৩৫৯ / ২১) পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সবুজও ওই কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
একইভাবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মো. আরমান নামে এক হাজতি (নং-৮৬৮৭ / ২১) জামিন আদেশ থাকা সত্ত্বেও উৎকোচ দিয়ে তবেই মুক্তি পেয়েছেন।
কারাগারে থাকা বন্দীদের জন্য স্বজনদের দেওয়া কাপড়-চোপড়, শুকনো খাবার জমা রাখা হয় একটি শাখায়। সেখান থেকে পরে স্বজনদের পাঠানো পার্সেল বন্দীদের দেওয়া হয়। এ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণে উৎকোচ নেওয়া হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়মানুযায়ী বন্দীরা সপ্তাহে একদিন স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারেন। সেই কথোপকথনের রেকর্ড কারা কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরে পিসি কার্ড বা প্রিজনার ক্যাশ কেনার মাধ্যমেও ৫ মিনিট কথা যায়। কিন্তু প্রতি ৫ মিনিটের জন্য অসাধু কারারক্ষীরা নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। সেখানে নিয়োজিত কারা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরাও এই বাণিজ্যে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কারা অভ্যন্তরে সরকারি মোবাইল ফোন ব্যবহার সুযোগ থাকলেও কিছু আসামি ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার করছেন। মূলত চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব মোবাইল। এই বন্দীরা আবার টাকার বিনিময়ে অন্য বন্দীদের কথা বলার সুযোগ দেন। এর মধ্যে ০১৮২৪২৮৮৮২৭ নম্বরটি কারাগারের ভেতরে চাঁদাবাজি ও হুমকি প্রদানের কাজে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছিল বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সিমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ ওয়ার্ডগুলোতে বিশেষ অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শেখ রাসেল ওয়ার্ডের বাথরুমের ছাদ, সাংগু ওয়ার্ড ও ৩২ নম্বর সেল থেকে তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিল্লুর ভান্ডারিসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম খোকন, বখতিয়ার, এরশাদ, আলমগীর ওরফে ডাকাত আলমগীরসহ দাগি সন্ত্রাসীদের শেখ রাসেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ওয়ার্ডটিতে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলাকেও রাখা হয়েছিল। এই ওয়ার্ডে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী শহীদুল ইসলাম খোকন অন্য বন্দীদের মোবাইলে কথা বলার সুযোগ করেন দেন। এর জন্য কারারক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজশে বিকাশে টাকা লেনদেন করতেন তিনি।
আরেকটি অভিনব বাণিজ্য চলে চট্টগ্রাম কারাগারে। অবস্থাপন্ন নতুন বন্দীদের ভাগাভাগি নিয়ে দর-কষাকষি চলে কারাগারের মেট ও রাইটারদের মধ্যে। ভালো ওয়ার্ডে নেওয়া ও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে তাঁরা সেই বন্দীদের স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। টাকা আদায়ের জন্য বন্দীদের নির্যাতন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেকের মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিকে দলিল, দস্তাবেজ, ওকালতনামায় ডিসি অফিসের অনুমতির প্রয়োজন হয়। টাকা না দিলে কারা কর্তৃপক্ষ এর জন্য সময়ক্ষেপণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কারা সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি সাবেক বেসরকারি কারা পরিদর্শক, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষও বন্দী এবং স্বজনদের অর্থের বিনিময়ে সুবিধা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক একেএম ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতীতে চট্টগ্রাম কারাগার নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে ছিল। এটা আপনারা সবাই দেখেছেন। এরপর আমরা চেষ্টা করেছি কারাগার একটা স্বচ্ছতা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে নিয়ে আসতে। এ ক্ষেত্রে সফলতাও অর্জিত হয়েছে।’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নবনিযুক্ত জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের পর প্রতিদিনই কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিজিট করছি। সবকিছুর খবর নিচ্ছি। কিন্তু আমার কাছে এখনো মোবাইলে কথা বলা কিংবা উৎকোচ গ্রহণসহ অন্যান্য অনিয়মের বিষয়টি চোখে পড়েনি। এ ধরনের অনিয়মে কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আমি শক্ত হাতে দমন করব। এ বিষয়ে আরও খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ও স্বজনদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে নানা অবৈধ সুবিধা দেওয়ার চর্চা আবার শুরু হয়েছে। জামিনে মুক্ত আসামি ও বন্দীদের পার্সেল জমা, মোবাইল ফোনে কথা বলা, বন্দী বেচাকেনা, মোবাইল ব্যবহারসহ টাকার বিনিময়ে নানা অবৈধ সুবিধা দেওয়ার মতো অপরাধে জড়াচ্ছেন কারা কর্মকর্তা ও রক্ষীরা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই উৎকোচের ভাগ পান ঊর্ধ্বতনরাও কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাশাপাশি দপ্তরের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরাও এই অনিয়মে জড়িত।
এর আগে সাবেক জেলার সোহেল রানার বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন, কারাগারের ভেতর অমিত মুহুরি হত্যা, আসামি পলায়নসহ নানা আলোচিত ঘটনার পর চট্টগ্রাম কারাগারের ভেতরে বেশ কয়েক মাস কড়াকড়ি ছিল। তবে আবার সেই আগের মতো ঢিলেঢালা অবস্থা। অনিয়মই নিয়ম হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি অনুসন্ধানে বেশ কয়েকটি ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে।
গত ৩ মার্চ পূর্ব মাদাবাড়ী ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হানিফের জামিন আদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এ সময় সিটিএসবির ক্লিয়ারেন্সের কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে তবেই মুক্তি দেন ডেপুটি জেলার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা।
গত ১৩ এপ্রিল জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি (হাজতি নং-৮৩৫৯ / ২১) পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সবুজও ওই কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান।
একইভাবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মো. আরমান নামে এক হাজতি (নং-৮৬৮৭ / ২১) জামিন আদেশ থাকা সত্ত্বেও উৎকোচ দিয়ে তবেই মুক্তি পেয়েছেন।
কারাগারে থাকা বন্দীদের জন্য স্বজনদের দেওয়া কাপড়-চোপড়, শুকনো খাবার জমা রাখা হয় একটি শাখায়। সেখান থেকে পরে স্বজনদের পাঠানো পার্সেল বন্দীদের দেওয়া হয়। এ বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণে উৎকোচ নেওয়া হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম কারাগারে নিয়মানুযায়ী বন্দীরা সপ্তাহে একদিন স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারেন। সেই কথোপকথনের রেকর্ড কারা কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরে পিসি কার্ড বা প্রিজনার ক্যাশ কেনার মাধ্যমেও ৫ মিনিট কথা যায়। কিন্তু প্রতি ৫ মিনিটের জন্য অসাধু কারারক্ষীরা নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। সেখানে নিয়োজিত কারা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরাও এই বাণিজ্যে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কারা অভ্যন্তরে সরকারি মোবাইল ফোন ব্যবহার সুযোগ থাকলেও কিছু আসামি ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যবহার করছেন। মূলত চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে এসব মোবাইল। এই বন্দীরা আবার টাকার বিনিময়ে অন্য বন্দীদের কথা বলার সুযোগ দেন। এর মধ্যে ০১৮২৪২৮৮৮২৭ নম্বরটি কারাগারের ভেতরে চাঁদাবাজি ও হুমকি প্রদানের কাজে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছিল বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সিমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কারাগারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ ওয়ার্ডগুলোতে বিশেষ অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শেখ রাসেল ওয়ার্ডের বাথরুমের ছাদ, সাংগু ওয়ার্ড ও ৩২ নম্বর সেল থেকে তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিল্লুর ভান্ডারিসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি রাঙ্গুনিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম খোকন, বখতিয়ার, এরশাদ, আলমগীর ওরফে ডাকাত আলমগীরসহ দাগি সন্ত্রাসীদের শেখ রাসেল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ওয়ার্ডটিতে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলাকেও রাখা হয়েছিল। এই ওয়ার্ডে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসী শহীদুল ইসলাম খোকন অন্য বন্দীদের মোবাইলে কথা বলার সুযোগ করেন দেন। এর জন্য কারারক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজশে বিকাশে টাকা লেনদেন করতেন তিনি।
আরেকটি অভিনব বাণিজ্য চলে চট্টগ্রাম কারাগারে। অবস্থাপন্ন নতুন বন্দীদের ভাগাভাগি নিয়ে দর-কষাকষি চলে কারাগারের মেট ও রাইটারদের মধ্যে। ভালো ওয়ার্ডে নেওয়া ও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে তাঁরা সেই বন্দীদের স্বজনদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন। টাকা আদায়ের জন্য বন্দীদের নির্যাতন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চেকের মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিকে দলিল, দস্তাবেজ, ওকালতনামায় ডিসি অফিসের অনুমতির প্রয়োজন হয়। টাকা না দিলে কারা কর্তৃপক্ষ এর জন্য সময়ক্ষেপণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কারা সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি সাবেক বেসরকারি কারা পরিদর্শক, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষও বন্দী এবং স্বজনদের অর্থের বিনিময়ে সুবিধা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শক একেএম ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতীতে চট্টগ্রাম কারাগার নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে ছিল। এটা আপনারা সবাই দেখেছেন। এরপর আমরা চেষ্টা করেছি কারাগার একটা স্বচ্ছতা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে নিয়ে আসতে। এ ক্ষেত্রে সফলতাও অর্জিত হয়েছে।’
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের নবনিযুক্ত জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের পর প্রতিদিনই কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিজিট করছি। সবকিছুর খবর নিচ্ছি। কিন্তু আমার কাছে এখনো মোবাইলে কথা বলা কিংবা উৎকোচ গ্রহণসহ অন্যান্য অনিয়মের বিষয়টি চোখে পড়েনি। এ ধরনের অনিয়মে কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে আমি শক্ত হাতে দমন করব। এ বিষয়ে আরও খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৪ দিন আগে