লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলায় দীঘলি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মিলন হোসেন (৬০)। তাঁকে হত্যাকারী তাঁরই স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫১)। মিলনের আচার-আচরণ ও পারিবারিক বিরোধে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহানারা বেগম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত জাহানারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার বাদী ছিলেন তাঁদের ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন ওরফে মাহবুব।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারিগাছের সঙ্গে হাত বাঁধা অবস্থায় মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামী মিলনের সঙ্গে তাঁর ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাঁদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই মিলন অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। খিটখিটে স্বভাবের স্বামী মিলন বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করতেন তাঁকে। এ ছাড়া সংসারে মনোযোগী না হয়ে তিনি তাঁর মনমতো চলতেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল তাঁদের মধ্যে। ঘটনার সময় রমজান মাস ছিল। রমজানের শেষ ১০ দিন স্ত্রী জাহানারা তাঁর স্বামীকে মসজিদে ইতিকাফে বসতে বলেন। এতে তিনি স্ত্রীকে গালমন্দ করেন। ঘটনার রাতে জাহানারা বেগম তাঁর স্বামীকে পেছনের একটি বাগানে নিয়ে কৌশলে সুপারিগাছের সঙ্গে গরুর দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ফেলেন। পরে একটি লাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখেন।
পরদিন সকালে জাহানারা নিজেই পরিবারের সদস্যদের স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানান এবং দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন। পরে পুলিশের কাছে তাঁর আচরণবিধি সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন জাহানারা বেগমকে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেন চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আউয়াল সরকার। আদালত সাক্ষ্প্র-মাণের ভিত্তিতে ঘটনার ১৩ মাসের মাথায় জাহানারা বেগমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন।
নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলায় দীঘলি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মিলন হোসেন (৬০)। তাঁকে হত্যাকারী তাঁরই স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫১)। মিলনের আচার-আচরণ ও পারিবারিক বিরোধে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহানারা বেগম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত জাহানারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার বাদী ছিলেন তাঁদের ছেলে মো. সাফায়েত হোসেন ওরফে মাহবুব।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারিগাছের সঙ্গে হাত বাঁধা অবস্থায় মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, স্বামী মিলনের সঙ্গে তাঁর ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাঁদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই মিলন অস্বাভাবিক আচরণ করে আসছিলেন। খিটখিটে স্বভাবের স্বামী মিলন বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করতেন তাঁকে। এ ছাড়া সংসারে মনোযোগী না হয়ে তিনি তাঁর মনমতো চলতেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল তাঁদের মধ্যে। ঘটনার সময় রমজান মাস ছিল। রমজানের শেষ ১০ দিন স্ত্রী জাহানারা তাঁর স্বামীকে মসজিদে ইতিকাফে বসতে বলেন। এতে তিনি স্ত্রীকে গালমন্দ করেন। ঘটনার রাতে জাহানারা বেগম তাঁর স্বামীকে পেছনের একটি বাগানে নিয়ে কৌশলে সুপারিগাছের সঙ্গে গরুর দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে ফেলেন। পরে একটি লাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখেন।
পরদিন সকালে জাহানারা নিজেই পরিবারের সদস্যদের স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ জানান এবং দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন। পরে পুলিশের কাছে তাঁর আচরণবিধি সন্দেহজনক হলে জিজ্ঞাসাবাদে পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ২০২২ সালের ১৫ জুন জাহানারা বেগমকে স্বামী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেন চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আউয়াল সরকার। আদালত সাক্ষ্প্র-মাণের ভিত্তিতে ঘটনার ১৩ মাসের মাথায় জাহানারা বেগমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে