জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তাবাহিনীর (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর চালকের মাসিক বেতনের প্রায় ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি চালক মো. ওয়াকার হোসেন রেল প্রশাসনকে এমন একটি অভিযোগ দেন। প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ওই চালকের টাকা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের বরাবর দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে ওয়াকার উল্লেখ করেন, অস্থায়ী ভিত্তিতে তিনি ২০২২ সালের ১৭ মে কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের চালক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর দিনে বেতন ধরা হয় ৫৭৫ টাকা। মাসিক হিসেবে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রতি মাসের বেতন চালক ওয়াকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেত।
পরের দুই মাস ১৮ দিনের বেতনের টাকা না পাওয়া তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরি ছাড়ার আগে মো. রেজওয়ান-উর রহমানকে বিষয়টি জানান। ৪ মাস পর আরএনবির অফিস থেকে মোবাইলে কল করে বলা হয়, তাঁর বেতনের টাকা জমা হয়েছে। তখন চালক ওয়াকার জানতে চান, তার বেতনের টাকা-তো অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। উত্তরে অফিস থেকে কল করা ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আপনার টাকা কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমান নগদে নিয়ে ফেলছে।’
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি চালক ওয়াকার আরএনবি চট্টগ্রাম অফিসে গেলে বেতন শিটে তাঁর থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে টাকা কমান্ড্যান্ট দেবেন বলে তাঁকে জানানো হয়। টাকার জন্য কমান্ড্যান্ট রেজওয়ান-উর রহমানর কাছে গেলে তিনি কোনো টাকা পাবেন না বলে চালককে জানান।
চালক ওয়াকার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি স্যারের কাছে গেলে স্যার আমাকে বলে—কিসের টাকা পাও তুমি। তখন আমি ২ মাস ১৮ দিনের টাকা পাওনার কথা জানাই। তারপর তিনি ৫ হাজার টাকা দেন। পুরো টাকা না দেওয়ায়, নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আরও ৫ হাজার টাকাসহ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার পাওনা ৪৪ হাজার ৮৫০ টাকা না দেওয়ায় টাকা না নিয়ে, চলে যাই। পরে তিনি এক কর্মচারীর মাধ্যমে ১৮ হাজার দেবেন বলে অফার করেন।’
ওয়াকার বলেন, ‘এই টাকাও আমি নেইনি। পরে বাধ্য হয়ে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক, বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ও আরএনবির প্রধানকে অভিযোগ দেই।’ আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্তও কোনো টাকা পাননি বলে দাবি করেন ওয়াকার।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার রেলওয়ের চট্টগ্রামের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের চালক ২ মাস ১৮ দিনের টাকা পাবেন বলে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। চালকের টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখনো চালক টাকা না পাওয়ার বিষয়টি খোঁজ নেব। মাঝখানে একুশে ফেব্রুয়ারি বন্ধের কারণে খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয়নি। টাকা না দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের অফিসে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তাবাহিনীর (আরএনবি) কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর চালকের মাসিক বেতনের প্রায় ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি চালক মো. ওয়াকার হোসেন রেল প্রশাসনকে এমন একটি অভিযোগ দেন। প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ওই চালকের টাকা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের বরাবর দেওয়া ওই অভিযোগপত্রে ওয়াকার উল্লেখ করেন, অস্থায়ী ভিত্তিতে তিনি ২০২২ সালের ১৭ মে কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের চালক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর দিনে বেতন ধরা হয় ৫৭৫ টাকা। মাসিক হিসেবে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ২৫০ টাকা। মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রতি মাসের বেতন চালক ওয়াকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেত।
পরের দুই মাস ১৮ দিনের বেতনের টাকা না পাওয়া তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। চাকরি ছাড়ার আগে মো. রেজওয়ান-উর রহমানকে বিষয়টি জানান। ৪ মাস পর আরএনবির অফিস থেকে মোবাইলে কল করে বলা হয়, তাঁর বেতনের টাকা জমা হয়েছে। তখন চালক ওয়াকার জানতে চান, তার বেতনের টাকা-তো অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা। উত্তরে অফিস থেকে কল করা ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আপনার টাকা কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমান নগদে নিয়ে ফেলছে।’
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি চালক ওয়াকার আরএনবি চট্টগ্রাম অফিসে গেলে বেতন শিটে তাঁর থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে টাকা কমান্ড্যান্ট দেবেন বলে তাঁকে জানানো হয়। টাকার জন্য কমান্ড্যান্ট রেজওয়ান-উর রহমানর কাছে গেলে তিনি কোনো টাকা পাবেন না বলে চালককে জানান।
চালক ওয়াকার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি স্যারের কাছে গেলে স্যার আমাকে বলে—কিসের টাকা পাও তুমি। তখন আমি ২ মাস ১৮ দিনের টাকা পাওনার কথা জানাই। তারপর তিনি ৫ হাজার টাকা দেন। পুরো টাকা না দেওয়ায়, নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আরও ৫ হাজার টাকাসহ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার পাওনা ৪৪ হাজার ৮৫০ টাকা না দেওয়ায় টাকা না নিয়ে, চলে যাই। পরে তিনি এক কর্মচারীর মাধ্যমে ১৮ হাজার দেবেন বলে অফার করেন।’
ওয়াকার বলেন, ‘এই টাকাও আমি নেইনি। পরে বাধ্য হয়ে রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক, বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ও আরএনবির প্রধানকে অভিযোগ দেই।’ আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্তও কোনো টাকা পাননি বলে দাবি করেন ওয়াকার।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার রেলওয়ের চট্টগ্রামের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের চালক ২ মাস ১৮ দিনের টাকা পাবেন বলে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। চালকের টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখনো চালক টাকা না পাওয়ার বিষয়টি খোঁজ নেব। মাঝখানে একুশে ফেব্রুয়ারি বন্ধের কারণে খোঁজ নেওয়া সম্ভব হয়নি। টাকা না দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কমান্ড্যান্ট মো. রেজওয়ান-উর রহমানের অফিসে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে