মনজুর রহমান, লালমোহন (ভোলা)
ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নে মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় কামারের খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে ধলিগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মো. আলমগীরসহ ১১ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তবুও বন্ধ হয়নি মাছ চাষ।
উপজেলা মৎস্য অফিস বলছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অনুমতি দিয়েছেন। এ কারণে মৎস্য অফিসের কিছুই করার নেই বলে দাবি তাঁদের।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস কামারের খালে মাছ চাষ প্রকল্পের কাজ জরিপ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। এ সময় মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে স্থানীয়দের বাগ্বিতণ্ডা হয়। স্থানীয়দের বাধার মুখেও মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিকভাবে খালে মাছ চাষের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করেন। বাধ্য হয়ে ৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনার পর ভেকু দিয়ে মাটি কেটে দ্রুত খালে বাঁধ দেওয়ার কাজ শেষ করে চেয়ারম্যানের ভাই ও তাঁদের গং। এতে সহযোগিতা করে উপজেলা মৎস্য অফিস। কাজ বন্ধ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ২৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। তাতেও খালে বাঁধ দেওয়া বন্ধ হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, খালে অনেক আগ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু লোহার জাল দিয়ে মাছ চাষ করেন। তবে এ বছর খালে ভেকু মেশিনে মাটি কেটে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
মৎস্য অফিস অনৈতিকভাবে চেয়ারম্যানের ভাই মো. আলমগীর, সফিউল্যাহসহ মোট ১১ জনকে মাছ চাষ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। তবে এ প্রকল্পের অনেক সদস্য জানেন না, তাঁরা প্রকল্পের সুবিধাভোগী। নিয়ম অনুযায়ী বদ্ধ খালের দুপাড়ের বাসিন্দাদেরও নিয়ে সমিতি করার কথা। তবে এখানে সে নিয়ম না মেনে প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
খালে মাছ চাষের ব্যাপারে প্রকল্পের প্রধান মো. আলমগীর বলেন, ‘৩০ বছর ধরে এ খালে মাছ চাষ করছি। এটা বৈধ না অবৈধ তা জানি না। এটা নিয়ে লিখলেও আমাদের কিছু হবে না। অনেকেই লেখেন, আপনারাও লেখিবেন। বাকি কথা সামনাসামনি বলব।’
প্রবহমান খালে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এখানে মাছ চাষ প্রকল্পের জন্য অনাপত্তি দিয়েছেন ইউএনও এবং এসিল্যান্ড। এখানে আমার কিছু করার নেই।’
তবে কিছু করার না থাকলে এ প্রকল্পের জন্য মৎস্য অফিস কীভাবে টাকা দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য অফিস এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে নিয়ম না মেনে যদি এমন কোনো প্রকল্প উপজেলা মৎস্য অফিস প্রবহমান খালে বাস্তবায়ন করে, তাহলে আমরা কখনো এ প্রকল্পের অনুমোদন দেব না। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘এলাকাবাসী প্রকল্পের বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’
এদিকে খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশঙ্ক্ষা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, ‘কামারের খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে বর্ষার সময় এ এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে। খেতের ফসল নষ্ট হবে। আর বরি মৌসুমে পানির অভাবে কৃষিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হবে। আমরা প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
ওই এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে শুকনোর মৌসুমে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে বোরো ও ইরি চাষ সম্ভব হয়নি। তাই দ্রুত খাল দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নে মৎস্য অফিসের সহযোগিতায় কামারের খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে ধলিগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই মো. আলমগীরসহ ১১ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তবুও বন্ধ হয়নি মাছ চাষ।
উপজেলা মৎস্য অফিস বলছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের অনুমতি দিয়েছেন। এ কারণে মৎস্য অফিসের কিছুই করার নেই বলে দাবি তাঁদের।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস কামারের খালে মাছ চাষ প্রকল্পের কাজ জরিপ করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। এ সময় মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে স্থানীয়দের বাগ্বিতণ্ডা হয়। স্থানীয়দের বাধার মুখেও মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিকভাবে খালে মাছ চাষের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করেন। বাধ্য হয়ে ৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনার পর ভেকু দিয়ে মাটি কেটে দ্রুত খালে বাঁধ দেওয়ার কাজ শেষ করে চেয়ারম্যানের ভাই ও তাঁদের গং। এতে সহযোগিতা করে উপজেলা মৎস্য অফিস। কাজ বন্ধ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে ২৪ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। তাতেও খালে বাঁধ দেওয়া বন্ধ হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, খালে অনেক আগ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু লোহার জাল দিয়ে মাছ চাষ করেন। তবে এ বছর খালে ভেকু মেশিনে মাটি কেটে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
মৎস্য অফিস অনৈতিকভাবে চেয়ারম্যানের ভাই মো. আলমগীর, সফিউল্যাহসহ মোট ১১ জনকে মাছ চাষ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। তবে এ প্রকল্পের অনেক সদস্য জানেন না, তাঁরা প্রকল্পের সুবিধাভোগী। নিয়ম অনুযায়ী বদ্ধ খালের দুপাড়ের বাসিন্দাদেরও নিয়ে সমিতি করার কথা। তবে এখানে সে নিয়ম না মেনে প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
খালে মাছ চাষের ব্যাপারে প্রকল্পের প্রধান মো. আলমগীর বলেন, ‘৩০ বছর ধরে এ খালে মাছ চাষ করছি। এটা বৈধ না অবৈধ তা জানি না। এটা নিয়ে লিখলেও আমাদের কিছু হবে না। অনেকেই লেখেন, আপনারাও লেখিবেন। বাকি কথা সামনাসামনি বলব।’
প্রবহমান খালে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এখানে মাছ চাষ প্রকল্পের জন্য অনাপত্তি দিয়েছেন ইউএনও এবং এসিল্যান্ড। এখানে আমার কিছু করার নেই।’
তবে কিছু করার না থাকলে এ প্রকল্পের জন্য মৎস্য অফিস কীভাবে টাকা দিচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য অফিস এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে নিয়ম না মেনে যদি এমন কোনো প্রকল্প উপজেলা মৎস্য অফিস প্রবহমান খালে বাস্তবায়ন করে, তাহলে আমরা কখনো এ প্রকল্পের অনুমোদন দেব না। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘এলাকাবাসী প্রকল্পের বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’
এদিকে খালে পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশঙ্ক্ষা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, ‘কামারের খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে বর্ষার সময় এ এলাকায় জলাবদ্ধতা হবে। খেতের ফসল নষ্ট হবে। আর বরি মৌসুমে পানির অভাবে কৃষিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে কৃষিকাজ ব্যাহত হবে। আমরা প্রশাসনকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
ওই এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে শুকনোর মৌসুমে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে বোরো ও ইরি চাষ সম্ভব হয়নি। তাই দ্রুত খাল দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে