অরূপ রায়, সাভার
কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
শুধু সোলায়মান ব্যাপারী নন, ওই এলাকার অর্ধশতাধিক একর খাসজমির কয়েক হাজার দখলদারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসন একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে তথ্য প্রদান থেকে বিরত রয়েছে।
১৭ এপ্রিল ‘খাসজমির দখল বিক্রি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক আবেদন করা হয়। আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ধামরাই উপজেলার ইউএনও কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্যে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে দাবি করেন সাভার উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরএস রেকর্ড ও নকশা মোতাবেক দখলদারদের অবস্থান সাভারের খঞ্জনকাঠি ও ঘোরাদিয়া মৌজায় বলে দাবি করা হয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সরেজমিনে তদন্ত করে এ মতামত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বড়কুশিয়ারা মৌজায় কোনো অবৈধ দখলদার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ধামরাই থেকে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে দখলদারদের পক্ষ থেকে তাঁদের দখলে থাকা জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় দাবি করা হলেও তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে সোলায়মান ব্যাপারী বলেন, সাভারের পোড়াবাড়ী এলাকার সোলায়মান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি খাসজমির দখল কিনে নিয়েছেন। সোলায়মান ওই জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় বলে জানালেও তিনি তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
অন্য এক দখলদার আব্দুল আলিম বলেন, তিনি যুবকের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন শতাংশ জমির দখল বুঝে নিয়েছেন। দখল বুঝে নেওয়ার সময় তাঁকে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে জমির অবস্থান বড়কুশিয়ারা মৌজায় দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে রয়েছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। ওই জমি এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের দখলে ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু শ ফুটের মধ্যেই সোলায়মান ব্যাপারীর বাড়ি। বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে আরও কয়েক হাজার বাড়ি চোখে পড়ে, যাদের সবাই খাসজমির অবৈধ দখলদার বলে জানা গেছে।
দখলদারদের অনেকে বলেন, ‘তাঁরা কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সাভার আসেন। এরপর বংশী নদীর তীরে খাসজমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেয়ে দখল কিনে নেন। তাঁদের অনেকে সাভার ও ধামরাইয়ের ভোটারও হয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সাভারের সীমানা আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা শুরু। তাই ওই এলাকায় সরকারি খাসজমিতে দখলদার থেকে থাকলে তা ধামরাইয়ে রয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রশাসন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করেই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাভারের ভূমি কার্যালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করা হলে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে দেখতে হবে।’
কাজের সন্ধানে এসে সাভার ও ধামরাইয়ের সীমানা দিয়ে প্রবহমান বংশী নদীর তীরে প্রায় ৮ শতাংশ খাসজমিতে বসতি স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সোলায়মান ব্যাপারী। বছরখানেক আগে এই দখলের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় ভূমি কার্যালয় থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি কোনো তথ্যও নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
শুধু সোলায়মান ব্যাপারী নন, ওই এলাকার অর্ধশতাধিক একর খাসজমির কয়েক হাজার দখলদারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে এ বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে সাভার ও ধামরাই উপজেলা প্রশাসন একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে তথ্য প্রদান থেকে বিরত রয়েছে।
১৭ এপ্রিল ‘খাসজমির দখল বিক্রি’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দখলদারদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ সাভার ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় এবং দুই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পৃথক আবেদন করা হয়। আবেদনের পেরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ধামরাই উপজেলার ইউএনও কার্যালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্যে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয় বলে দাবি করেন সাভার উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুর রহমান, যা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদকে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্যে আরএস রেকর্ড ও নকশা মোতাবেক দখলদারদের অবস্থান সাভারের খঞ্জনকাঠি ও ঘোরাদিয়া মৌজায় বলে দাবি করা হয়। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে সরেজমিনে তদন্ত করে এ মতামত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বড়কুশিয়ারা মৌজায় কোনো অবৈধ দখলদার নেই বলেও উল্লেখ করা হয় ধামরাই থেকে সরবরাহ করা প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে দখলদারদের পক্ষ থেকে তাঁদের দখলে থাকা জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় দাবি করা হলেও তাঁরা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে সোলায়মান ব্যাপারী বলেন, সাভারের পোড়াবাড়ী এলাকার সোলায়মান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি খাসজমির দখল কিনে নিয়েছেন। সোলায়মান ওই জমির অবস্থান ধামরাইয়ের বড়কুশিয়ারা মৌজায় বলে জানালেও তিনি তা নিশ্চিত হতে পারেননি।
অন্য এক দখলদার আব্দুল আলিম বলেন, তিনি যুবকের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে তিন শতাংশ জমির দখল বুঝে নিয়েছেন। দখল বুঝে নেওয়ার সময় তাঁকে একটি স্ট্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে জমির অবস্থান বড়কুশিয়ারা মৌজায় দেখানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বংশী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে রয়েছে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। ওই জমি এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের দখলে ছিল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু শ ফুটের মধ্যেই সোলায়মান ব্যাপারীর বাড়ি। বাড়িটির উত্তর ও দক্ষিণ পাশে নদীর তীরে আরও কয়েক হাজার বাড়ি চোখে পড়ে, যাদের সবাই খাসজমির অবৈধ দখলদার বলে জানা গেছে।
দখলদারদের অনেকে বলেন, ‘তাঁরা কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সাভার আসেন। এরপর বংশী নদীর তীরে খাসজমিতে বাড়ি করার সুযোগ পেয়ে দখল কিনে নেন। তাঁদের অনেকে সাভার ও ধামরাইয়ের ভোটারও হয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নকশা অনুযায়ী সাভারের সীমানা আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত। এরপর থেকে ধামরাই উপজেলা শুরু। তাই ওই এলাকায় সরকারি খাসজমিতে দখলদার থেকে থাকলে তা ধামরাইয়ে রয়েছে। ধামরাই উপজেলা প্রশাসন থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।’
ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করেই তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সাভারের ভূমি কার্যালয় থেকে দ্বিমত পোষণ করা হলে বিষয়টি পুনরায় তদন্ত করে দেখতে হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৪ দিন আগে