মেহেরপুর সংবাদদাতা
মেহেরপুরে ছাগল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল বিশ্বাসকে তাঁর সৎমেয়ের স্বামী লিটন আলী (৩৬) পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার বিষয়টি জানান। এর আগে সোমবার রাতে হরিরামপুর গ্রামের বিলপাড়া থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিটন সদর উপজেলার তেরঘোরিয়া গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার বলেন, রোববার দুপুরে মহিষ চরিয়ে বাড়ি ফেরেন তোফাজ্জেল। রাতে কাজ শেষে হরিরামপুর গ্রামের শরিফ উদ্দীনের বাড়িতে যান। শরিফের মেয়ের বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন তোফাজ্জেল। তাঁদের সংসারে ঝামেলা হওয়ায় তা মেটাতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন। এদিকে তোফাজ্জেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর প্রথম পক্ষের মেয়ের স্বামী গ্রেপ্তার লিটন অবস্থান করছিলেন। যৌথভাবে ছাগলের ব্যবসার করায় দুজনে বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে থাকতেন। লিটন ছিলেন নেশাগ্রস্ত। তিনি হেরোইন ও ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন।
অপু সরোয়ার আরও বলেন, নেশার কারণে তোফাজ্জেলের ব্যবসার বেশ কিছু টাকাও নষ্ট করেছিলেন লিটন। পরে তোফাজ্জেলের ভাইয়ের থেকেও ২৭ হাজার টাকা ধার করে নষ্ট করেন তিনি। নেশার কোনো টাকা ছিল না লিটনের কাছে। শরিফের বাড়িতে অবস্থানের সময় পাশের দোকান থেকে চায়ের ভেতর বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তোফাজ্জেলকে পান করতে দেন লিটন। পরে সেখান থেকে তিনি চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসেন ওই বাড়ি। শ্বশুরের শরীর খারাপ হওয়ায় তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসার দায়িত্ব নেন। পরে বাড়িতে না নিয়ে, তাঁকে নিয়ে যান গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠে। সেখানে থাকা একটি গাছের শিকড় দিয়ে তোফাজ্জেলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন লিটন। একপর্যায়ে তোফাজ্জেল জ্ঞান হারালে তাঁর সঙ্গে থাকা ২১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, মূলত নেশার টাকা জোগাড় করতে তোফাজ্জেলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন লিটন। রক্তমাখা সেই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা জানান, লিটন একাই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠ থেকে তোফাজ্জেলের (৪৮) লাশ উদ্ধার করা হয়।
মেহেরপুরে ছাগল ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল বিশ্বাসকে তাঁর সৎমেয়ের স্বামী লিটন আলী (৩৬) পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার বিষয়টি জানান। এর আগে সোমবার রাতে হরিরামপুর গ্রামের বিলপাড়া থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিটন সদর উপজেলার তেরঘোরিয়া গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার বলেন, রোববার দুপুরে মহিষ চরিয়ে বাড়ি ফেরেন তোফাজ্জেল। রাতে কাজ শেষে হরিরামপুর গ্রামের শরিফ উদ্দীনের বাড়িতে যান। শরিফের মেয়ের বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন তোফাজ্জেল। তাঁদের সংসারে ঝামেলা হওয়ায় তা মেটাতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অনেক রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন। এদিকে তোফাজ্জেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর প্রথম পক্ষের মেয়ের স্বামী গ্রেপ্তার লিটন অবস্থান করছিলেন। যৌথভাবে ছাগলের ব্যবসার করায় দুজনে বেশির ভাগ সময় একসঙ্গে থাকতেন। লিটন ছিলেন নেশাগ্রস্ত। তিনি হেরোইন ও ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন।
অপু সরোয়ার আরও বলেন, নেশার কারণে তোফাজ্জেলের ব্যবসার বেশ কিছু টাকাও নষ্ট করেছিলেন লিটন। পরে তোফাজ্জেলের ভাইয়ের থেকেও ২৭ হাজার টাকা ধার করে নষ্ট করেন তিনি। নেশার কোনো টাকা ছিল না লিটনের কাছে। শরিফের বাড়িতে অবস্থানের সময় পাশের দোকান থেকে চায়ের ভেতর বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তোফাজ্জেলকে পান করতে দেন লিটন। পরে সেখান থেকে তিনি চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসেন ওই বাড়ি। শ্বশুরের শরীর খারাপ হওয়ায় তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসার দায়িত্ব নেন। পরে বাড়িতে না নিয়ে, তাঁকে নিয়ে যান গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠে। সেখানে থাকা একটি গাছের শিকড় দিয়ে তোফাজ্জেলের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকেন লিটন। একপর্যায়ে তোফাজ্জেল জ্ঞান হারালে তাঁর সঙ্গে থাকা ২১ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, মূলত নেশার টাকা জোগাড় করতে তোফাজ্জেলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন লিটন। রক্তমাখা সেই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা জানান, লিটন একাই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠ থেকে তোফাজ্জেলের (৪৮) লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৪ দিন আগে