আনিসুর রহমান খান, দাউদকান্দি (কুমিল্লা)
স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গড়ে উঠেছে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ার। বৈধভাবে যেসব হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে, তাতেও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে অনভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন বছরে চার থেকে পাঁচবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। তবে পরে তদারকি না থাকায় চলতে থাকে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। এদের হাতে এক ধরনের জিম্মি হয়ে রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; কিন্তু তা বাস্তবায়নে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। চার-পাঁচটি অভিযান চললেও প্রায় অর্ধশত অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ারে কোনো অভিযান হয়নি। যারা বৈধভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, তাঁরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উপজেলায় প্রায় ৯০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তালিকায় আছে ৬৭টি। তালিকা অনুযায়ী ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে। এর মধ্যে হালনাগাদ করা লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ২১টি। কোনো কাগজপত্র নেই ১৯টি প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া তালিকার বাইরে ২৩টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো তথ্য নেই। এ বছর দুবারের অভিযানে দাউদকান্দিতে আটটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ইতিমধ্যে এর কয়েকটি আবার সক্রিয় হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গৌরীপুর বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে অর্ধশতাধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। দাউদকান্দি বাজার, গৌরীপুর বাজার, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ বাজার, মলয় বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, গোয়ালমারী বাজারসহ পুরো উপজেলায় এ রকম অজস্র প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ সার্জারি, গাইনি, অ্যানেসথেটিস্ট চিকিৎসক না থাকায় ভুল চিকিৎসার কারণে প্রায়ই মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খাদিজা বেগম নামের এক প্রসূতির যমজ শিশু হলেও একটি সন্তান পেটে রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসকেরা। এ ঘটনা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়, আবার প্রসূতি ভর্তি হয়ে আট ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে মৃত সন্তান প্রসবের অভিযোগ রয়েছে দাউদকান্দি পৌরসভা বাজারে এলহাম হাসপাতালের নামে। গৌরীপুর বাজারে মা ও নবজাতকের, রংধনু হসপিটালে প্রসূতির এবং দাউদকান্দি পৌরসভা বাজারে এলহাম ও ফ্যামিলি হাসপাতালে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা নিরাপদ চিকিৎসাসেবার আহ্বায়ক কবি ও কলামিস্ট আলী আশরাফ খান বলেন, অর্থলোভীরা এসব ক্লিনিকে অপচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ক্লিনিকগুলোতে স্থায়ী চিকিৎসক ও নার্স নেই। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন এসব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও তা মানসম্মত নয়। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা নেই জেনেও টাকার লোভে ভর্তি করা হয়।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে তাদেরই সমিতির সদস্য করা হয়েছে। এখানে সর্বাধিক ২৫-৩০টির মতো বৈধ (প্রতিষ্ঠান), বাকিগুলো কীভাবে চলে তা আমার জানা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন নেওয়ার সময় কাগজে-কলমে চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজিস্ট দেখায়। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে আবেদনের সময় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘কাগজপত্র না থাকায় আমরা (প্রতিষ্ঠানগুলো) বন্ধ করে দিয়ে এসেছি, এখন চলছে কি না আমার জানা নেই।’
স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গড়ে উঠেছে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ার। বৈধভাবে যেসব হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে, তাতেও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সেবা দেওয়া হচ্ছে অনভিজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন বছরে চার থেকে পাঁচবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। তবে পরে তদারকি না থাকায় চলতে থাকে এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান। এদের হাতে এক ধরনের জিম্মি হয়ে রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; কিন্তু তা বাস্তবায়নে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। চার-পাঁচটি অভিযান চললেও প্রায় অর্ধশত অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ারে কোনো অভিযান হয়নি। যারা বৈধভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন, তাঁরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উপজেলায় প্রায় ৯০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক, ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তালিকায় আছে ৬৭টি। তালিকা অনুযায়ী ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আছে। এর মধ্যে হালনাগাদ করা লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ২১টি। কোনো কাগজপত্র নেই ১৯টি প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া তালিকার বাইরে ২৩টি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে কোনো তথ্য নেই। এ বছর দুবারের অভিযানে দাউদকান্দিতে আটটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ইতিমধ্যে এর কয়েকটি আবার সক্রিয় হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে গৌরীপুর বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কের উভয় পাশে অর্ধশতাধিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। দাউদকান্দি বাজার, গৌরীপুর বাজার, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ বাজার, মলয় বাজার, ইলিয়টগঞ্জ বাজার, গোয়ালমারী বাজারসহ পুরো উপজেলায় এ রকম অজস্র প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে বিস্তর। এসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অভিজ্ঞ সার্জারি, গাইনি, অ্যানেসথেটিস্ট চিকিৎসক না থাকায় ভুল চিকিৎসার কারণে প্রায়ই মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে, গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খাদিজা বেগম নামের এক প্রসূতির যমজ শিশু হলেও একটি সন্তান পেটে রেখেই সেলাই করে দেন চিকিৎসকেরা। এ ঘটনা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়, আবার প্রসূতি ভর্তি হয়ে আট ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে মৃত সন্তান প্রসবের অভিযোগ রয়েছে দাউদকান্দি পৌরসভা বাজারে এলহাম হাসপাতালের নামে। গৌরীপুর বাজারে মা ও নবজাতকের, রংধনু হসপিটালে প্রসূতির এবং দাউদকান্দি পৌরসভা বাজারে এলহাম ও ফ্যামিলি হাসপাতালে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা নিরাপদ চিকিৎসাসেবার আহ্বায়ক কবি ও কলামিস্ট আলী আশরাফ খান বলেন, অর্থলোভীরা এসব ক্লিনিকে অপচিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ক্লিনিকগুলোতে স্থায়ী চিকিৎসক ও নার্স নেই। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন এসব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও তা মানসম্মত নয়। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা নেই জেনেও টাকার লোভে ভর্তি করা হয়।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে তাদেরই সমিতির সদস্য করা হয়েছে। এখানে সর্বাধিক ২৫-৩০টির মতো বৈধ (প্রতিষ্ঠান), বাকিগুলো কীভাবে চলে তা আমার জানা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন নেওয়ার সময় কাগজে-কলমে চিকিৎসক, ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজিস্ট দেখায়। অনুমোদন পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে আবেদনের সময় দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান বলেন, ‘কাগজপত্র না থাকায় আমরা (প্রতিষ্ঠানগুলো) বন্ধ করে দিয়ে এসেছি, এখন চলছে কি না আমার জানা নেই।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১১ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১১ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১১ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৫ দিন আগে