সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আলোচিত বিভিন্ন অনিয়ম-অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগ ইতিমধ্যে আমাদের কানে এসেছে। বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে আমরা খতিয়ে দেখব। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠানে গুরুতর অনিয়ম আমরা হতে দিতে পারি না। তবে, আপনারা জানেন বিএসএমএমইউ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিয়ে থাকে। আমাদের সংশ্লিষ্টতা খুব বেশি থাকে না। হাসপাতালটিতে সরকার অর্থায়ন করে থাকে। সে হিসেবে আমরা অবশ্যই অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আমরা চাই না এখানে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হোক।’
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, ‘গত কয়েক বছরে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ২০০ আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেলে আসন বাড়ানো হয়, কিন্তু সরকারি মেডিকেলে তেমন হয় না। পর্যায়ক্রমে আমরা আসন বৃদ্ধি করেছি। এতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আরও বেশি করে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বিনা মূল্যে শিক্ষা লাভ করতে পারবে। এখন দেশে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ। গত সাড়ে চার বছরে আটটি মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি, এর মধ্যে চারটির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আর বাকি চারটির নির্মাণ এখনো চলমান রয়েছে। প্রতিটি মেডিকেল কলেজের ডায়ালাইসিসের যে ইউনিট ছিল, তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে ১০টি ছিল, সেখানে ২০টি করা হয়েছে, যেখানে ২০টি ছিল, সেখানে ৪০টি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতকে আমরা ডি-সেন্ট্রালাইজ করতে চাচ্ছি। সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আট বিভাগে আটটি হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে, যেখানে ক্যানসার, কিডনি ও হার্টের চিকিৎসা হবে। এই হাসপাতালেগুলো চার হাজার শয্যার হবে। তাতে ঢাকার ওপর চাপ কমবে। জনগণের কষ্ট লাঘব হবে। বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে। কারণ এই চিকিৎসাগুলো নিতেই মানুষ বেশি বিদেশ যায়, এটাও কমে আসবে।’