মারুফ কিবরিয়া, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বড় রকমের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং বিএসএমএমইউর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক গত মাসেই সংস্থার সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে।
ইউজার ফি (রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ নেওয়া অর্থ) তহবিলে জমা না দেওয়া, বিল-ভাউচার ছাড়া ব্যয়, যন্ত্রপাতি না কেনা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অর্থ পরিশোধসহ বিভিন্ন খাতে এসব অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অন্তত ৩০টি খাতে ২৪৬ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে।
দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে দুদক গত ২৬ জুন বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছে। চিঠির জবাব পেলে অনুসন্ধানের পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুসন্ধান শুরু হলেই তো কিছু বলা যায় না। কর্মকর্তাকে কেবল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করবেন তিনি।’
অনুসন্ধানী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বিএসএমএমইউর বিভিন্ন বিভাগে ইউজার ফি বাবদ আদায় করা ৮৩ কোটি টাকারও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে স্থানান্তর না করা; ব্যয় না হওয়া পৌনে ২৪ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া; বিধি না মেনে ইউজার ফির ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বেশি কমিশন, পারিতোষিক দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ আছে। এমন ৩০টি খাতে ২৪৬ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৮ টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক থেকে অনুসন্ধানের বিষয়ে কিছু তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমি সেসব চিঠি অর্থ দপ্তরে পাঠিয়েছি। তারা জবাব দেবে। সে সময়ের দায়িত্ব পালনকারীদের কেউ দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাবেন।’ কোনো নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। আমি তো তখন দায়িত্বে ছিলাম না।’ ডা. শারফুদ্দিন তখন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য ছিলেন।
বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘আমি তো ২০১৮ সালের মার্চে জয়েন করি। আমার জানা নেই। তবে যত দূর শুনেছি, কিছু আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে।’
আয়ের ১২৮ কোটি টাকা জমাই হয়নি
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ইউজার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা করার বিধান আছে। কিন্তু কয়েকটি বিভাগের ৮২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং এফডিআর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ১ কোটি টাকাসহ মোট ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়নি। এ ছাড়া ৭টি বিভাগের মোট আয়ের চেয়ে ৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা কম জমা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৪ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
৪২ কোটি টাকার বিল-ভাউচার নেই
ওই প্রতিবেদনমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা অর্থের মধ্যে ৪২ কোটি ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার বিল-ভাউচার পাওয়া যায়নি। অর্থ ব্যয়ও করা হয়েছে বিধি লঙ্ঘন করে। প্রশিক্ষণ ও হেলথ ক্যাম্প পরিচালনা খাতে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার ৪২৯ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও এর কোনো বিল, ভাউচার ও ক্যাশ মেমো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিএসএমএমইউ প্রশাসন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ১৮০ টাকা বিল দিয়েছে, যার কোনো প্রমাণপত্র নেই।
ব্যয় না হওয়া ২৫ কোটি টাকা কোথায়
বিএসএমএমইউর হিসাব শাখার বাজেট বরাদ্দ এবং বিভাজিত খাতভিত্তিক খরচের বিল রেজিস্ট্রার নিরীক্ষায় দেখা যায়, ১০টি খাতের ২৩ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৬২ টাকা ব্যয় হয়নি। কিন্তু ওই টাকা সমর্পণ করারও প্রমাণ মেলেনি। এ ছাড়া বিনা অপারেশনে শিশুদের জন্মগত হৃদ্রোগ চিকিৎসায় সরকার থেকে দেওয়া ৮ কোটি টাকার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৭০০ টাকা অব্যয়িত ছিল। কিন্তু সেই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুটি খাতের ব্যয় না হওয়া অর্থ কোষাগারে জমা না দেওয়ায় ২৫ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ৫৬২ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কমিশনের নামে লোপাট ১১ কোটি
জানা যায়, বিএসএমএমইউর কয়েকটি বিভাগ থেকে আয় হয় ৬৭ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তা থেকে বিভাগীয় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমিশন ও পারিতোষিক হিসেবে দেওয়া হয় ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ২ লাখ টাকা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে। কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ ও কার্ডিওলজি মেডিসিন বিভাগের ৮ কোটি ৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা আয় থেকে বিভাগীয় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কমিশন-পারিতোষিক হিসেবে ২ কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯ টাকা বণ্টন করা হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ছাড়া। ওই দুটি খাতে বিধি অমান্য করে কমিশন ও পারিতোষিকের নামে ১১ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কাজ না করেই বিল
নিরীক্ষা প্রতিবেদনমতে, একটি প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট কেনা বাবদ ৩ কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই ক্রয়ের কার্যাদেশ, বিল ও সরবরাহ চালানের সঙ্গে মডেল নম্বর, উৎস দেশ, আমদানি-সংক্রান্ত কাগজপত্র ও বিবরণী না থাকায় দরপত্র শিডিউলে দাখিল করা স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যন্ত্র কেনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া প্ল্যান্টটি স্থায়ী জায়গায় স্থাপন না করেই ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর তখনকার কোষাধ্যক্ষ ডা. আলী আসগর মোড়ল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিট আপত্তি তো প্রতিবছরই হয়।এগুলোর জবাবও দেওয়া হয়। আমার আমলে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। আমার জানাও নেই বিষয়টি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বড় রকমের আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন এবং বিএসএমএমইউর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক গত মাসেই সংস্থার সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে।
ইউজার ফি (রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ নেওয়া অর্থ) তহবিলে জমা না দেওয়া, বিল-ভাউচার ছাড়া ব্যয়, যন্ত্রপাতি না কেনা সত্ত্বেও ঠিকাদারকে অর্থ পরিশোধসহ বিভিন্ন খাতে এসব অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অন্তত ৩০টি খাতে ২৪৬ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে।
দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু তথ্য চেয়ে দুদক গত ২৬ জুন বিএসএমএমইউকে চিঠি দিয়েছে। চিঠির জবাব পেলে অনুসন্ধানের পরবর্তী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুসন্ধান শুরু হলেই তো কিছু বলা যায় না। কর্মকর্তাকে কেবল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করবেন তিনি।’
অনুসন্ধানী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বিএসএমএমইউর বিভিন্ন বিভাগে ইউজার ফি বাবদ আদায় করা ৮৩ কোটি টাকারও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে স্থানান্তর না করা; ব্যয় না হওয়া পৌনে ২৪ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া; বিধি না মেনে ইউজার ফির ১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বেশি কমিশন, পারিতোষিক দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগ আছে। এমন ৩০টি খাতে ২৪৬ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৮ টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদক থেকে অনুসন্ধানের বিষয়ে কিছু তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমি সেসব চিঠি অর্থ দপ্তরে পাঠিয়েছি। তারা জবাব দেবে। সে সময়ের দায়িত্ব পালনকারীদের কেউ দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাবেন।’ কোনো নিরীক্ষা আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জানা নেই। আমি তো তখন দায়িত্বে ছিলাম না।’ ডা. শারফুদ্দিন তখন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য ছিলেন।
বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘আমি তো ২০১৮ সালের মার্চে জয়েন করি। আমার জানা নেই। তবে যত দূর শুনেছি, কিছু আপত্তি নিষ্পত্তি হয়েছে।’
আয়ের ১২৮ কোটি টাকা জমাই হয়নি
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ইউজার ফি বাবদ আদায় করা অর্থ কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা করার বিধান আছে। কিন্তু কয়েকটি বিভাগের ৮২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং এফডিআর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ১ কোটি টাকাসহ মোট ৮৩ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৭৩৪ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়নি। এ ছাড়া ৭টি বিভাগের মোট আয়ের চেয়ে ৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা কম জমা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ১২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৩৪ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
৪২ কোটি টাকার বিল-ভাউচার নেই
ওই প্রতিবেদনমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যয় করা অর্থের মধ্যে ৪২ কোটি ২১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার বিল-ভাউচার পাওয়া যায়নি। অর্থ ব্যয়ও করা হয়েছে বিধি লঙ্ঘন করে। প্রশিক্ষণ ও হেলথ ক্যাম্প পরিচালনা খাতে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার ৪২৯ টাকা ব্যয় দেখানো হলেও এর কোনো বিল, ভাউচার ও ক্যাশ মেমো পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া বিএসএমএমইউ প্রশাসন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ১৮০ টাকা বিল দিয়েছে, যার কোনো প্রমাণপত্র নেই।
ব্যয় না হওয়া ২৫ কোটি টাকা কোথায়
বিএসএমএমইউর হিসাব শাখার বাজেট বরাদ্দ এবং বিভাজিত খাতভিত্তিক খরচের বিল রেজিস্ট্রার নিরীক্ষায় দেখা যায়, ১০টি খাতের ২৩ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮৬২ টাকা ব্যয় হয়নি। কিন্তু ওই টাকা সমর্পণ করারও প্রমাণ মেলেনি। এ ছাড়া বিনা অপারেশনে শিশুদের জন্মগত হৃদ্রোগ চিকিৎসায় সরকার থেকে দেওয়া ৮ কোটি টাকার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ ৭১ হাজার ৭০০ টাকা অব্যয়িত ছিল। কিন্তু সেই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হয়নি। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুটি খাতের ব্যয় না হওয়া অর্থ কোষাগারে জমা না দেওয়ায় ২৫ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার ৫৬২ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কমিশনের নামে লোপাট ১১ কোটি
জানা যায়, বিএসএমএমইউর কয়েকটি বিভাগ থেকে আয় হয় ৬৭ কোটি ১৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তা থেকে বিভাগীয় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমিশন ও পারিতোষিক হিসেবে দেওয়া হয় ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটি ২ লাখ টাকা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে। কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ ও কার্ডিওলজি মেডিসিন বিভাগের ৮ কোটি ৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা আয় থেকে বিভাগীয় চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কমিশন-পারিতোষিক হিসেবে ২ কোটি ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯ টাকা বণ্টন করা হয়। এর মধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ছাড়া। ওই দুটি খাতে বিধি অমান্য করে কমিশন ও পারিতোষিকের নামে ১১ কোটি ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কাজ না করেই বিল
নিরীক্ষা প্রতিবেদনমতে, একটি প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট কেনা বাবদ ৩ কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই ক্রয়ের কার্যাদেশ, বিল ও সরবরাহ চালানের সঙ্গে মডেল নম্বর, উৎস দেশ, আমদানি-সংক্রান্ত কাগজপত্র ও বিবরণী না থাকায় দরপত্র শিডিউলে দাখিল করা স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যন্ত্র কেনা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া প্ল্যান্টটি স্থায়ী জায়গায় স্থাপন না করেই ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর তখনকার কোষাধ্যক্ষ ডা. আলী আসগর মোড়ল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অডিট আপত্তি তো প্রতিবছরই হয়।এগুলোর জবাবও দেওয়া হয়। আমার আমলে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। আমার জানাও নেই বিষয়টি।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে