শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে খাসজমি দখল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাজীপুর জেলার মূল্যবান খাসজমি অবৈধ দখল করছে এবং দখলে সহায়তায় লিপ্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি শুনেছি। এটা অনেক পুরোনো বিষয়। তবে আমি সেই চিঠি এখনো দেখিনি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ টঙ্গী মৌজায় টঙ্গী হাট বা বাজারের আওতাভুক্ত শূন্য দশমিক ১৮ একর খাসজমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট বানিয়েছে। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল দপ্তরের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ দখল করা জমির একাংশে একটি নামাজঘর এবং বাকি অংশে ৬০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলছে পুলিশ। সেই অবৈধ মার্কেট এখন জমজমাট। ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ‘সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবরদখলের অশুভ দৃষ্টান্ত’।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো সেই চিঠির সঙ্গে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আরেকটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাশিমপুর মৌজার খাল শ্রেণিভুক্ত প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ একর জমি বালু ভরাট করে অবৈধ দখল করা হয়। কাশিমপুরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভরাট করা জমি পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে জানতে পারেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের জবরদখলের নিমিত্তে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই খাসজমির তিন দিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করে অপদখল করেছেন। ওই অবৈধ দখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা দেখতে পান।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা দেশের বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি সংস্থার আইন অমান্য করার একটি বাজে দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অপকর্ম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ভূমিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলকে উৎসাহিত করে।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে জানান, দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হলেও নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত হননি।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে খাসজমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি খাসজমিতে ইটভাটা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের আগে তিনি সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লিখিতভাবে নোটিশ দেন। উচ্ছেদের আগের দিনও নোটিশটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সিটিএসবির অতিরিক্ত উপকমিশনারকে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিনও কোনো পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
মহানগর কমিশনারের বিরুদ্ধে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীতে জেলা পরিষদের বেশ কিছু জমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবার অনেকে দখল করেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দখল করা জমি উচ্ছেদে পুলিশ অসহযোগিতা করছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক বিগত এক বছর জেলার ৮ দশমিক ৯৭ একর খাসজমি পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। সদ্য সাবেক কমিশনারের আন্তরিকতা ও সক্রিয় সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করতে পারলেও বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বিভাগের মৌলিক দায়িত্ব হলেও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে খাসজমি জবরদখল করা হচ্ছে।
কমিশনারের জমি দখল নিয়ে জেলা প্রশাসকের করা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উন্নয়ন শাখার ডিআইজি রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বা মহানগর এলাকায় এ ধরনের মার্কেটের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদর দপ্তর নজরে রাখে না; কিন্তু বৈধভাবে এ রকম মার্কেট করা যায়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বা কমিশনার দেখভাল করেন। তবে সরকারি জমি বেদখল করে কেউ কোনো কাজ করলে সেটা তো বেআইনি।’
যে মার্কেট নিয়ে অভিযোগ, গতকাল বিকেলে সেই ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ ঘুরে দেখা যায়, এটি টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি বেশ পুরোনো। আগে এর নাম ছিল পুলিশ মার্কেট; পরে নাম বদলানো হয়। এখন মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট নামে সবাই চেনে।
এই মার্কেটে টিনশেডের ৫০-৬০টি ছোট-বড় দোকান আছে। দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের ভেতরেই গাজীপুর মেট্রোপলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে দোকানের ভাড়া তোলেন। দোকানগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ হাজার আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করেন। ভাড়া কম হলেও দোকান নেওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা জামানত দিয়েছেন। তাঁর মতো সব ব্যবসায়ী জামানত দিয়েই দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন।
সরকারি জমি দখল করে এভাবে পুলিশের দোকান করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক আইজি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে পুলিশ চাইলেই সরকারি খাসজমি জবরদখল করে মার্কেট করতে পারে না। যদি তদন্তে উঠে আসে, বেআইনিভাবে জবরদখল করেছে, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে এমন অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে খাসজমি দখল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গাজীপুর জেলার মূল্যবান খাসজমি অবৈধ দখল করছে এবং দখলে সহায়তায় লিপ্ত হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার (জিএমপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি শুনেছি। এটা অনেক পুরোনো বিষয়। তবে আমি সেই চিঠি এখনো দেখিনি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান অভিযোগ করেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ টঙ্গী মৌজায় টঙ্গী হাট বা বাজারের আওতাভুক্ত শূন্য দশমিক ১৮ একর খাসজমি বিভিন্ন সময়ে দখল করে ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ নামে একটি মার্কেট বানিয়েছে। তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি), টঙ্গী রাজস্ব সার্কেল দপ্তরের কানুনগো ও সার্ভেয়ারের সরেজমিন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে চিঠিতে বলেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশ দখল করা জমির একাংশে একটি নামাজঘর এবং বাকি অংশে ৬০টি দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়া তুলছে পুলিশ। সেই অবৈধ মার্কেট এখন জমজমাট। ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এ ঘটনা ‘সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী এবং প্রাতিষ্ঠানিক জবরদখলের অশুভ দৃষ্টান্ত’।
গত ১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো সেই চিঠির সঙ্গে টঙ্গী রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) আরেকটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে কাশিমপুর মৌজার খাল শ্রেণিভুক্ত প্রায় শূন্য দশমিক ৬০ একর জমি বালু ভরাট করে অবৈধ দখল করা হয়। কাশিমপুরের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ভরাট করা জমি পরিদর্শনকালে স্থানীয়ভাবে জানতে পারেন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের জবরদখলের নিমিত্তে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওই খাসজমির তিন দিকে টিনের বেড়া নির্মাণ করে অপদখল করেছেন। ওই অবৈধ দখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার পরিদর্শনকালে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাহারা দেখতে পান।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতা দেশের বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সরকারি সংস্থার আইন অমান্য করার একটি বাজে দৃষ্টান্ত। এ ধরনের অপকর্ম জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি ভূমিসংশ্লিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী মহলকে উৎসাহিত করে।
জেলা প্রশাসক চিঠিতে জানান, দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভূমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হলেও নির্ধারিত দিনে ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য উপস্থিত হননি।
আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে খাসজমির অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি খাসজমিতে ইটভাটা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। অভিযানের আগে তিনি সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লিখিতভাবে নোটিশ দেন। উচ্ছেদের আগের দিনও নোটিশটি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সিটিএসবির অতিরিক্ত উপকমিশনারকে এবং গাজীপুর মহানগর পুলিশের দাপ্তরিক মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। কিন্তু সেদিনও কোনো পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়।
মহানগর কমিশনারের বিরুদ্ধে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টঙ্গীতে জেলা পরিষদের বেশ কিছু জমি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। আবার অনেকে দখল করেছে। সেসব জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। দখল করা জমি উচ্ছেদে পুলিশ অসহযোগিতা করছে।’
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসক বিগত এক বছর জেলার ৮ দশমিক ৯৭ একর খাসজমি পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মূল্য ১০০ কোটি টাকার বেশি। সদ্য সাবেক কমিশনারের আন্তরিকতা ও সক্রিয় সহযোগিতায় ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করতে পারলেও বর্তমান কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশ বিভাগের মৌলিক দায়িত্ব হলেও গাজীপুর মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে খাসজমি জবরদখল করা হচ্ছে।
কমিশনারের জমি দখল নিয়ে জেলা প্রশাসকের করা অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের উন্নয়ন শাখার ডিআইজি রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা বা মহানগর এলাকায় এ ধরনের মার্কেটের বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদর দপ্তর নজরে রাখে না; কিন্তু বৈধভাবে এ রকম মার্কেট করা যায়। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি বা কমিশনার দেখভাল করেন। তবে সরকারি জমি বেদখল করে কেউ কোনো কাজ করলে সেটা তো বেআইনি।’
যে মার্কেট নিয়ে অভিযোগ, গতকাল বিকেলে সেই ‘গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট’ ঘুরে দেখা যায়, এটি টঙ্গী বাজার এলাকায় অবস্থিত। মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি বেশ পুরোনো। আগে এর নাম ছিল পুলিশ মার্কেট; পরে নাম বদলানো হয়। এখন মেট্রোপলিটন পুলিশ মার্কেট নামে সবাই চেনে।
এই মার্কেটে টিনশেডের ৫০-৬০টি ছোট-বড় দোকান আছে। দোকানগুলোতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটের ভেতরেই গাজীপুর মেট্রোপলিশের ট্রাফিক দক্ষিণের একটি কার্যালয় রয়েছে। সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে দোকানের ভাড়া তোলেন। দোকানগুলোর সর্বনিম্ন ভাড়া ৮ হাজার আর সর্বোচ্চ ভাড়া ২০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করেন। ভাড়া কম হলেও দোকান নেওয়ার সময় ৭ লাখ টাকা জামানত দিয়েছেন। তাঁর মতো সব ব্যবসায়ী জামানত দিয়েই দোকান নিয়ে ব্যবসা করছেন।
সরকারি জমি দখল করে এভাবে পুলিশের দোকান করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক আইজি মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে পুলিশ চাইলেই সরকারি খাসজমি জবরদখল করে মার্কেট করতে পারে না। যদি তদন্তে উঠে আসে, বেআইনিভাবে জবরদখল করেছে, তাহলে ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
৯ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
৯ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
৯ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৩ দিন আগে