কাউনিয়া প্রতিনিধি
কাউনিয়া উপজেলার ধুমেরকুঠি কবরস্থানের বেশির ভাগ জমি অবৈধভাবে দখলের পর দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। এদিকে, কবরস্থানে ফাঁকা জায়গা না থাকায় দাফন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সারাই ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার এলাকায় একটি সরকারি কবর স্থান রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ধুমেরকুটি, জয়বাংলা, ভিতুরকুঠি, একতাবাজার, দর্জিপাড়া. পরামানিক পাড়া, নাজিরটারী, বানিয়াটারী, চাদনীপাড়া, নওহাটী, জয়বাংলা নিবাসসহ আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের মৃতদের এ কবরস্থানেই দাফন করা হয়। প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি কবরস্থানের জমি অবৈধভাবে দখল করে আধা পাকা দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। দখলে থাকা জমি কেউ কেউ আবার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে লাশ দাফনের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধুমেরকুটি কবরস্থানের উত্তর দিকে জমিতে আধা পাকা ২৪টি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গোডাউন, হোটেল, টেইলার্স, কাঠের আসবাব, সেলুন ও চায়ের দোকান রয়েছে।
নওহাটি গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধুমেরকুটি কবরস্থানে বর্তমানে মরদেহ দাফনের জায়গা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে যেটুকু জায়গা ফাঁকা রয়েছে, সেটুকু জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।’
একতা গ্রামের শমশের আলী বলেন, ‘অবৈধভাবে দখল হওয়ায় কবরস্থানে ফাঁকা জায়গা নাই।’
ভিতুরকুঠি গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, ‘এখানকার বেশির ভাগ বিত্তবানদের পারিবারিক কবরস্থান আছে। কিন্তু দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষের শুধু বসতভিটা আছে। এসব পরিবারের কেউ মারা গেলে এই সরকারি কবরস্থানে শায়িত করা হয়। সেই কবরস্থানের জমি এখন বেদখল।’
ধুমেরকুটি গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, ‘কবরস্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানগুলোর পেছনে মাঝে মধ্যে মাদকের আসর বসে। এতে নষ্ট হচ্ছে কবরস্থানের পবিত্রতা।’
ধুমেরকুটি কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘আরএস রেকর্ডে এ কবরস্থানের ৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে। প্রায় ২৫ বছর ধরে রওশন আলম, মোস্তাক, গ্রাম পুলিশ আলতাব, স্কুলশিক্ষক রাজুসহ বেশ কয়েকজন কবরস্থানের প্রায় ৩৩ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জবর দখল করেছেন। কবরস্থানে এখন লাশ দাফনের জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।’
আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে বেশ কয়েকবার কবরস্থানের জমি উদ্ধারের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
কবরস্থানের জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে রওশন আলম জানান, অনেক দিন আগে তিনি ওই স্থানের ৬ শতাংশ জমি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে লিজ নিয়েছিলেন। পরে লিজটি বাতিল হয়ে যায়। কবরস্থানের জমিতে নির্মাণ করা দোকানঘর অন্যরা সরিয়ে ফেললে তিনি সরিয়ে ফেলবেন বলে জানান।
গ্রাম পুলিশ আলতাব হোসেন বলেন, ‘সেখানে তো আমার একার ঘর নির্মিত নয়। মোস্তাক ও হাকিমের দোকানঘর রয়েছে। তাঁরা সরিয়ে ফেললে আমিও দোকান ভেঙে ফেলব।’
সারাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ধুমেরকুটি কবরস্থানের জমি দখল করায় জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত মাসেও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে কবরস্থানের জমি উদ্ধারে আবেদন জানায়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ধুমেরকুটি কবরস্থানের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কবরস্থানের জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করে রাখতে পারবেন না। জমি উদ্ধারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, কবরস্থানের জমি দখলকারী ব্যক্তি এবং দোকান মালিকদের গত সোমবার নোটিশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে তাঁদের নির্মিত দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
কাউনিয়া উপজেলার ধুমেরকুঠি কবরস্থানের বেশির ভাগ জমি অবৈধভাবে দখলের পর দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। এদিকে, কবরস্থানে ফাঁকা জায়গা না থাকায় দাফন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সারাই ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার এলাকায় একটি সরকারি কবর স্থান রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে ধুমেরকুটি, জয়বাংলা, ভিতুরকুঠি, একতাবাজার, দর্জিপাড়া. পরামানিক পাড়া, নাজিরটারী, বানিয়াটারী, চাদনীপাড়া, নওহাটী, জয়বাংলা নিবাসসহ আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের মৃতদের এ কবরস্থানেই দাফন করা হয়। প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি কবরস্থানের জমি অবৈধভাবে দখল করে আধা পাকা দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। দখলে থাকা জমি কেউ কেউ আবার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে লাশ দাফনের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধুমেরকুটি কবরস্থানের উত্তর দিকে জমিতে আধা পাকা ২৪টি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গোডাউন, হোটেল, টেইলার্স, কাঠের আসবাব, সেলুন ও চায়ের দোকান রয়েছে।
নওহাটি গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধুমেরকুটি কবরস্থানে বর্তমানে মরদেহ দাফনের জায়গা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে যেটুকু জায়গা ফাঁকা রয়েছে, সেটুকু জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।’
একতা গ্রামের শমশের আলী বলেন, ‘অবৈধভাবে দখল হওয়ায় কবরস্থানে ফাঁকা জায়গা নাই।’
ভিতুরকুঠি গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, ‘এখানকার বেশির ভাগ বিত্তবানদের পারিবারিক কবরস্থান আছে। কিন্তু দিনমজুর ও দরিদ্র মানুষের শুধু বসতভিটা আছে। এসব পরিবারের কেউ মারা গেলে এই সরকারি কবরস্থানে শায়িত করা হয়। সেই কবরস্থানের জমি এখন বেদখল।’
ধুমেরকুটি গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, ‘কবরস্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানগুলোর পেছনে মাঝে মধ্যে মাদকের আসর বসে। এতে নষ্ট হচ্ছে কবরস্থানের পবিত্রতা।’
ধুমেরকুটি কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ‘আরএস রেকর্ডে এ কবরস্থানের ৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে। প্রায় ২৫ বছর ধরে রওশন আলম, মোস্তাক, গ্রাম পুলিশ আলতাব, স্কুলশিক্ষক রাজুসহ বেশ কয়েকজন কবরস্থানের প্রায় ৩৩ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জবর দখল করেছেন। কবরস্থানে এখন লাশ দাফনের জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।’
আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে বেশ কয়েকবার কবরস্থানের জমি উদ্ধারের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
কবরস্থানের জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে রওশন আলম জানান, অনেক দিন আগে তিনি ওই স্থানের ৬ শতাংশ জমি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে লিজ নিয়েছিলেন। পরে লিজটি বাতিল হয়ে যায়। কবরস্থানের জমিতে নির্মাণ করা দোকানঘর অন্যরা সরিয়ে ফেললে তিনি সরিয়ে ফেলবেন বলে জানান।
গ্রাম পুলিশ আলতাব হোসেন বলেন, ‘সেখানে তো আমার একার ঘর নির্মিত নয়। মোস্তাক ও হাকিমের দোকানঘর রয়েছে। তাঁরা সরিয়ে ফেললে আমিও দোকান ভেঙে ফেলব।’
সারাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ধুমেরকুটি কবরস্থানের জমি দখল করায় জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত মাসেও এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে কবরস্থানের জমি উদ্ধারে আবেদন জানায়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা তারিন বলেন, ধুমেরকুটি কবরস্থানের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কবরস্থানের জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করে রাখতে পারবেন না। জমি উদ্ধারে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, কবরস্থানের জমি দখলকারী ব্যক্তি এবং দোকান মালিকদের গত সোমবার নোটিশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে তাঁদের নির্মিত দোকান ও অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
১০ দিন আগেপরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
১০ দিন আগেরাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় গত দুই মাসে দুই অটোরিকশা চালককে হত্যা করে রিকশা ছিনিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। পৃথক এই দুই ঘটনায় তদন্তে নেমে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
১০ দিন আগেপাবনার পদ্মা নদী থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১২ বছরের এক কিশোর এবং ২২ বছরের এক তরুণীর অর্ধগলিত দুইটি মরদেহ উদ্ধার করেছে নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি। উদ্ধারের দুইদিনেও কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুর রহমান।
১৪ দিন আগে