স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড-২০২৩-এর সিজন নাইনের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে আগামী এপ্রিলে। গত ১৮ মার্চ চ্যানেল আইয়ে অনুষ্ঠিত জুরি বোর্ডের সভা শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এসব কথা জানানো হয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও চ্যানেল আইয়ের উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়েছে। 

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি খাতের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ আয়োজন। এর মূল লক্ষ্য কৃষিতে স্বপ্নদর্শী, গবেষক ও উদ্ভাবক উদ্যোগীদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়া। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ২০১৪ সাল থেকে এর আয়োজন করে আসছে। ২০১৭ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় চ্যানেল আই। 

 ২০২৩ সালের নভেম্বরে আয়োজনটির নবম সিজনে সেরা নারী কৃষক, সেরা পুরুষ কৃষক, সেরা মেধাবী কৃষি যোদ্ধা-পুরুষ, সেরা মেধাবী কৃষি যোদ্ধা-নারী, পরিবর্তনের নায়ক, সেরা সাংবাদিক (কৃষি), সেরা জলবায়ু অভিযোজক, প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সেরা প্রতিষ্ঠান-কৃষি গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি; সেরা প্রতিষ্ঠান-কৃষি সহায়তা ও বাস্তবায়ন এবং সেরা কৃষি রপ্তানিকারক ক্যাটাগরিতে মনোনয়নের জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রায় চার শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে গবেষণা দলের যাচাই-বাছাই শেষে জুরি বোর্ড মনোনীতদের ভেতর থেকে সেরাদের বাছাই করেন। 

জুরি বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। সদস্য ছিলেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাজাহান কবির, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র টেকনিক্যাল লিড-ক্লাইমেট চেঞ্জ জাকিয়া নাজনীন। 

জুরি বোর্ডের সভাপতি চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে সারা পৃথিবীতেই কৃষিতে দারুণ পরিবর্তনে এসেছে। খাদ্য ও পুষ্টি বিবেচনায় কৃষি এখন শিল্প ও বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্রমেই মাঠের কৃষি রূপ নিচ্ছে শিল্পের কৃষিতে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি ও কৃষক। তাই প্রয়োজন আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষকদের যুক্ত করা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রতি বছর আমরা এসব বিষয়ের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করি।’ 

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘এটি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডের নবম সিজন। আমরা চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পঞ্চমবারের মতো এই আয়োজন সম্পন্ন করছি। বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বিশ্ব উষ্ণায়ন, তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো আমাদের শস্যের ফলন ও মাটিতে প্রভাব ফেলছে। বাড়ছে রোগ ও কীটপতঙ্গের ক্ষতিকর প্রভাব। আমাদের কৃষক, কৃষিবিদ এবং গবেষকেরা এমন সংকটে যেভাবে সহনশীল মনোভাব নিয়ে বারবার এগিয়ে এসে কৃষিকে একটি টেকসই খাত হিসেবে তুলে ধরেছেন, তাদেরকে সম্মান জানাতে এই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড।’ 

আগামী এপ্রিলে জুরি স্পেশাল ও আজীবন সম্মাননা দুই ক্যাটাগরিসহ অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ডের ১২টি ক্যাটাগরিতে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।