ড. বেনজীর আহমেদ
শুরুর গল্প ও মূলধন গঠন
৫০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। পুলিশ সদস্যদের ক্রয়কৃত শেয়ার থেকে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে এই ব্যাংকের মূলধন গঠন করা হয়েছে। শুরুতে ৩২ হাজার টাকা করে শেয়ারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। পুলিশের নিম্নপদস্থ সদস্যদের কথা বিবেচনা করে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে মোট ৩২ হাজার টাকা নিয়ে এই ব্যাংকের মূলধন গঠন করা হয়েছে। এই ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। অর্থাৎ তাঁরা চাইলে ব্যাংক নির্ধারিত শেয়ারমূল্য পরিশোধ করে ব্যাংকের মালিক হতে পারেন অথবা না চাইলে কমিউনিটি ব্যাংকের মালিক হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন।
সব পুলিশ সদস্যের সমান শেয়ার
কমিউনিটি ব্যাংক এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে র্যাঙ্ক নির্বিশেষে সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের জন্য সমান শেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে আইজিপি থেকে কনস্টেবল এবং পুলিশে কর্মরত সব নন-পুলিশ ও সিভিল সদস্যরা একটি করে শেয়ারের মালিক। এখানে একজন নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যের যেমন একটি শেয়ার রয়েছে, তেমনি ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনকারী আইজিপির শেয়ারও একটি। সমবায়ের এমন নজির খুবই বিরল।
সাফল্যের পথে
৫০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে পথচলা শুরু করা কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহক আমানত ২ বছরেই ৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, নতুন একটি ব্যাংক হিসেবে যা অনন্য অর্জন। বর্তমানে ব্যাংকটি দেশব্যাপী ১৮টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে এই ব্যাংকটির দেশব্যাপী শাখা বিস্তারের কাজ চলমান রয়েছে। মাত্র ১৮টি শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যাংকটি ২০ কোটি টাকা গ্রস লাভ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী যেহেতু ব্যাংক চালুর প্রথম তিন বছরের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয় না, তাই লাভের টাকা পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে।
কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কমিউনিটি ব্যাংক দেশব্যাপী ইতিমধ্যেই ১৮০টি এটিএম বুথ স্থাপন করেছে। অত্যন্ত দক্ষতা, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন চালুকৃত ব্যাংকে কোর ব্যাংকিং চালু করার ৪৮ দিনের মধ্যেই কমিউনিটি ব্যাংক ‘Finacle Infosys Innovation Award’ পেয়েছে। এত অল্প সময়ে কোর ব্যাংকিং এমন সুচারুভাবে সম্পন্ন করার নজির বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে নেই।
কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা আইটিসিএল ও এনপিএসবি সুবিধার আওতায় দেশের অন্যান্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন। ব্যাংকটির ডিজিটাল ট্রানজেকশন সুবিধা ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদসহ ইএফটির মতো সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারছেন।
ঋণ বণ্টন
ব্যাংকের গত ২ বছরের ঋণের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কমিউনিটি ব্যাংক থেকে ৫৮ হাজার ৬৩২ জন পুলিশ সদস্য স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ২ হাজার ৫৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ঋণসুবিধা পেয়েছেন। ঋণগ্রহীতাদের র্যাঙ্ক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসআই থেকে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পর্যন্ত পদমর্যাদার ৪ হাজার ৮১৪ জন পুলিশ সদস্য এই ব্যাংক থেকে মোট ৩৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। পক্ষান্তরে ৫৩ হাজার ৮১৮ জন কনস্টেবলসহ এএসআই ও পুলিশের সিভিল এবং নন-পুলিশ সদস্যরা এই ব্যাংক থেকে মোট ২ হাজার ১৯৭ কোটি ৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ঋণসুবিধা নিয়েছেন।
নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ভরসাস্থল
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পুলিশের নিম্নপদস্থ, বিশেষ করে কনস্টেবল, নায়েক ও এএসআইদের জন্য এক আর্থিক আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকের ঋণ বিতরণের তথ্যাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংকের ঋণসুবিধা গ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯১ দশমিক ৭৯ শতাংশই নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও র্যাঙ্ক বিবেচনায় কনস্টেবল পদের সর্বোচ্চ ৪৩ হাজার ২৪৭ জন পুলিশ সদস্য, এএসআই র্যাঙ্কের ৫ হাজার ৯৩০ জন পুলিশ সদস্য এবং নায়েক র্যাঙ্কের ২ হাজার ৫৪৪ জন পুলিশ সদস্য কমিউনিটি ব্যাংকের ঋণসুবিধা নিয়েছেন। এ হিসাবে এই তিন পদের পুলিশ সদস্যরা মোট ঋণসুবিধার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ সুবিধাভোগী।
কমিউনিটি ব্যাংকের ঋণ নিয়ে যেভাবে নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যরা লাভবান হচ্ছেন
সরকারি চাকরির গ্রেড বিবেচনায় অনেক ব্যাংক কনস্টেবল থেকে এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের ঋণ প্রদান করত না। এ জন্য তাঁরা নিজেদের জিপিএফের বিপরীতে ঋণসুবিধা গ্রহণ করতেন। এই ঋণে ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশ সদস্যকে ১৩-১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হতো। এ ছাড়াও জিপিএফ থেকে ঋণ গ্রহণের পর তা নির্ধারিত মেয়াদের আগে পরিশোধ করাও যেত না। কিন্তু কমিউনিটি ব্যাংক খুবই সহজ শর্তে বিনা জামানতে বেতনের বিপরীতে মাত্র ৯ শতাংশ বা তার চেয়ে কম সুদে ঋণসুবিধা প্রদান করছে। কেউ চাইলে তাঁর জন্য প্রিসেটেলমেন্টের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে পুলিশ সদস্যরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
সবার জন্য সমান ব্যাংকিং সুবিধা
কমিউনিটি ব্যাংক সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের জন্য বেতন স্কেল অনুযায়ী সমান সুবিধা নিয়ে এসেছে। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডসহ অন্য সেবাসমূহ ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বাইরে বিভিন্ন আকারের ৫০০ ব্যবসা/উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও কমিউনিটি ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ আছে। এভাবেই কমিউনিটি ব্যাংক দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কমিউনিটি ব্যাংক
আন্তর্জাতিক খ্যাতিপ্রাপ্ত ইনফোসিস কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ব্যাংকের কার্যক্রমকে দিয়েছে মসৃণ গতিময়তা। গ্রাহক স্বল্পতম সময়ে বেতনের টাকা তাঁর ব্যাংক হিসাবে যেমন আনতে পারছেন, তেমনি বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে তাঁর পরিবার-পরিজনের কাছেও অর্থ পাঠাতে পারছেন। আর গ্রাহক এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্বচ্ছন্দে তাঁর মোবাইল ফোনে কমিউনিটি ক্যাশের মাধ্যমে বিনা খরচে ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিতের উদ্দেশ্য সামনে রেখে কমিউনিটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলেও দিনে দিনে এটি গণমানুষের ব্যাংকে পরিণত হচ্ছে।
শুরুর গল্প ও মূলধন গঠন
৫০০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। পুলিশ সদস্যদের ক্রয়কৃত শেয়ার থেকে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে এই ব্যাংকের মূলধন গঠন করা হয়েছে। শুরুতে ৩২ হাজার টাকা করে শেয়ারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। পুলিশের নিম্নপদস্থ সদস্যদের কথা বিবেচনা করে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে মোট ৩২ হাজার টাকা নিয়ে এই ব্যাংকের মূলধন গঠন করা হয়েছে। এই ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে পুলিশ সদস্যরা সম্পূর্ণ স্বাধীন। অর্থাৎ তাঁরা চাইলে ব্যাংক নির্ধারিত শেয়ারমূল্য পরিশোধ করে ব্যাংকের মালিক হতে পারেন অথবা না চাইলে কমিউনিটি ব্যাংকের মালিক হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন।
সব পুলিশ সদস্যের সমান শেয়ার
কমিউনিটি ব্যাংক এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে র্যাঙ্ক নির্বিশেষে সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যের জন্য সমান শেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে আইজিপি থেকে কনস্টেবল এবং পুলিশে কর্মরত সব নন-পুলিশ ও সিভিল সদস্যরা একটি করে শেয়ারের মালিক। এখানে একজন নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যের যেমন একটি শেয়ার রয়েছে, তেমনি ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনকারী আইজিপির শেয়ারও একটি। সমবায়ের এমন নজির খুবই বিরল।
সাফল্যের পথে
৫০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে পথচলা শুরু করা কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহক আমানত ২ বছরেই ৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, নতুন একটি ব্যাংক হিসেবে যা অনন্য অর্জন। বর্তমানে ব্যাংকটি দেশব্যাপী ১৮টি শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে এই ব্যাংকটির দেশব্যাপী শাখা বিস্তারের কাজ চলমান রয়েছে। মাত্র ১৮টি শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হলেও এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যাংকটি ২০ কোটি টাকা গ্রস লাভ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী যেহেতু ব্যাংক চালুর প্রথম তিন বছরের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের মাঝে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয় না, তাই লাভের টাকা পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে।
কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী কমিউনিটি ব্যাংক দেশব্যাপী ইতিমধ্যেই ১৮০টি এটিএম বুথ স্থাপন করেছে। অত্যন্ত দক্ষতা, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন চালুকৃত ব্যাংকে কোর ব্যাংকিং চালু করার ৪৮ দিনের মধ্যেই কমিউনিটি ব্যাংক ‘Finacle Infosys Innovation Award’ পেয়েছে। এত অল্প সময়ে কোর ব্যাংকিং এমন সুচারুভাবে সম্পন্ন করার নজির বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে নেই।
কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা আইটিসিএল ও এনপিএসবি সুবিধার আওতায় দেশের অন্যান্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারছেন। ব্যাংকটির ডিজিটাল ট্রানজেকশন সুবিধা ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, নগদসহ ইএফটির মতো সেবাগুলো গ্রহণ করতে পারছেন।
ঋণ বণ্টন
ব্যাংকের গত ২ বছরের ঋণের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কমিউনিটি ব্যাংক থেকে ৫৮ হাজার ৬৩২ জন পুলিশ সদস্য স্বল্পসুদে সহজ শর্তে ২ হাজার ৫৫০ কোটি ৭৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ঋণসুবিধা পেয়েছেন। ঋণগ্রহীতাদের র্যাঙ্ক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসআই থেকে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পর্যন্ত পদমর্যাদার ৪ হাজার ৮১৪ জন পুলিশ সদস্য এই ব্যাংক থেকে মোট ৩৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। পক্ষান্তরে ৫৩ হাজার ৮১৮ জন কনস্টেবলসহ এএসআই ও পুলিশের সিভিল এবং নন-পুলিশ সদস্যরা এই ব্যাংক থেকে মোট ২ হাজার ১৯৭ কোটি ৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ঋণসুবিধা নিয়েছেন।
নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যদের আর্থিক ভরসাস্থল
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পুলিশের নিম্নপদস্থ, বিশেষ করে কনস্টেবল, নায়েক ও এএসআইদের জন্য এক আর্থিক আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকের ঋণ বিতরণের তথ্যাদি বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংকের ঋণসুবিধা গ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯১ দশমিক ৭৯ শতাংশই নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্য। এ ছাড়াও র্যাঙ্ক বিবেচনায় কনস্টেবল পদের সর্বোচ্চ ৪৩ হাজার ২৪৭ জন পুলিশ সদস্য, এএসআই র্যাঙ্কের ৫ হাজার ৯৩০ জন পুলিশ সদস্য এবং নায়েক র্যাঙ্কের ২ হাজার ৫৪৪ জন পুলিশ সদস্য কমিউনিটি ব্যাংকের ঋণসুবিধা নিয়েছেন। এ হিসাবে এই তিন পদের পুলিশ সদস্যরা মোট ঋণসুবিধার ৮৮ দশমিক ২১ শতাংশ সুবিধাভোগী।
কমিউনিটি ব্যাংকের ঋণ নিয়ে যেভাবে নিম্নপদস্থ পুলিশ সদস্যরা লাভবান হচ্ছেন
সরকারি চাকরির গ্রেড বিবেচনায় অনেক ব্যাংক কনস্টেবল থেকে এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের ঋণ প্রদান করত না। এ জন্য তাঁরা নিজেদের জিপিএফের বিপরীতে ঋণসুবিধা গ্রহণ করতেন। এই ঋণে ক্ষেত্রবিশেষে পুলিশ সদস্যকে ১৩-১৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে হতো। এ ছাড়াও জিপিএফ থেকে ঋণ গ্রহণের পর তা নির্ধারিত মেয়াদের আগে পরিশোধ করাও যেত না। কিন্তু কমিউনিটি ব্যাংক খুবই সহজ শর্তে বিনা জামানতে বেতনের বিপরীতে মাত্র ৯ শতাংশ বা তার চেয়ে কম সুদে ঋণসুবিধা প্রদান করছে। কেউ চাইলে তাঁর জন্য প্রিসেটেলমেন্টের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে পুলিশ সদস্যরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
সবার জন্য সমান ব্যাংকিং সুবিধা
কমিউনিটি ব্যাংক সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের জন্য বেতন স্কেল অনুযায়ী সমান সুবিধা নিয়ে এসেছে। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডসহ অন্য সেবাসমূহ ন্যায্যতা ও সমতাভিত্তিক করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বাইরে বিভিন্ন আকারের ৫০০ ব্যবসা/উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ ও ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও কমিউনিটি ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা সরকারি বন্ডে বিনিয়োগ আছে। এভাবেই কমিউনিটি ব্যাংক দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে কমিউনিটি ব্যাংক
আন্তর্জাতিক খ্যাতিপ্রাপ্ত ইনফোসিস কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ব্যাংকের কার্যক্রমকে দিয়েছে মসৃণ গতিময়তা। গ্রাহক স্বল্পতম সময়ে বেতনের টাকা তাঁর ব্যাংক হিসাবে যেমন আনতে পারছেন, তেমনি বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে তাঁর পরিবার-পরিজনের কাছেও অর্থ পাঠাতে পারছেন। আর গ্রাহক এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্বচ্ছন্দে তাঁর মোবাইল ফোনে কমিউনিটি ক্যাশের মাধ্যমে বিনা খরচে ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিতের উদ্দেশ্য সামনে রেখে কমিউনিটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হলেও দিনে দিনে এটি গণমানুষের ব্যাংকে পরিণত হচ্ছে।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
৪ ঘণ্টা আগে