অনলাইন ডেস্ক
আর্থিক খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: জেন্ডার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সম্মেলনটি আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি)।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন–এর অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা এ ক্ষেত্রে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য দূর করার কৌশলগুলো সম্পর্কে মতামত দেন।
এ গবেষণার প্রধান চারজন গবেষক হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা বানু; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. লীলা রশিদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং সিআরডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মোখলেছুর রহমান।
উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওহগ) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফা কে মুজেরি।
এ অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমসের ডেপুটি ডিরেক্টর হিলারি মিলার–ওয়াইজ, স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর লিন আইজেনহার্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। এর পাশাপাশি এ সম্মেলনে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের প্রথম ভাগে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য শীর্ষক আড়াই বছরের গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। অধিবেশনটি সঞ্চালনায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমসের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড স্নিগ্ধা আলী।
গবেষণায় ৫৬টি জেলার ২২০টি ক্লাস্টারের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৩০০টি পরিবারের ৭ হাজার ৫৬০ জন ব্যক্তির ওপর দেশব্যাপী পরিচালিত জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি গুণগত গবেষণার অংশ হিসেবে ৬৪টি দলগত আলোচনা, ৪৯টি নিবিড় সাক্ষাৎকার এবং ৫৬টি বিশেষজ্ঞ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।
জরিপের ফলাফল থেকে দেখা গেছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ পয়েন্ট জেন্ডার গ্যাপ (লিঙ্গ ব্যবধান) রয়েছে। যদিও বিশদ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে এই পার্থক্যের ব্যাপ্তি ও গভীরতা আরও অনেক ব্যাপক।
গবেষণায় মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবায় জেন্ডার গ্যাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে (৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট)। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ পয়েন্ট জেন্ডার গ্যাপ রয়েছে।
অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে পুরুষের অন্তর্ভুক্তি মাত্র ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা যে শুধু পিছিয়েই রয়েছে তাই নয়; ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার ক্ষেত্রেও তারা প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারী–পুরুষের ব্যবধানের তিন চতুর্থাংশ (৭৬ শতাংশ) অর্থনৈতিক অবস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, খানা কাঠামো ও বৈবাহিক অবস্থা ইত্যাদি আর্থ–সামাজিক বিষয়গুলোর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারী–পুরুষের ব্যবধানের বাকি ২৪ শতাংশ এ ধরনের দৃশ্যমান সূচকের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
জেন্ডার মতাদর্শ, সামাজিক রীতি–নীতি ও বিধিনিষেধ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
নারীরা অবমাননাকর মন্তব্য এবং সামাজিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়, যা তাদের কাজ ও সক্রিয় ভূমিকাকে ঘরে ও বাইরে সীমাবদ্ধ করে দেয়। এই প্রথাগুলো আর্থিক সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীদের মানসিকতাকেও প্রভাবিত করে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পূর্বশর্ত যেমন সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগগুলোতে নারীদের অভিগম্যতাকেও বাধাগ্রস্ত করে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নীতি কাঠামোও এই প্রথাগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়।
অনেক বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও, কিছু নারী আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছেছেন, যা ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বামী বা মূল উপার্জনকারী মৃত্যু, অসুস্থতা ও চিকিৎসা ব্যয়ের মতো বিষয়সমূহ এ নারীদের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকগণ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। যেমন: নারীদের তথ্য প্রাপ্তিতে এবং ডিজিটাল ডিভাইসে অভিগম্যতা নিশ্চিত করা, ব্যাংকের শাখাগুলোতে জেন্ডার-বান্ধব ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং ঋণ ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য কমানোর জন্য একটি বিশদ কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিস্তৃত উদ্যোগ গ্রহণ, সেই সঙ্গে জেন্ডার ব্যবধান কমানোর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানো এবং এর বাস্তবায়ন। আর্থিক এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার জন্য সচেতনতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া, টেকসই প্রচারাভিযান এবং সচেতনতা বাড়াতে অ্যাডভোকেসি ইত্যাদি।
উপরোল্লিখিত সুপারিশ ছাড়াও, নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পরিসর বৃদ্ধির জন্য গবেষণায় নারীদের কর্মসংস্থান ও আয়ের প্রতিও দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়, এ ছাড়া সম্পত্তিতে নারীদের অধিকারহীনতা, মজুরিবিহীন সেবামূলক কাজের অবমূল্যায়ন, বাল্যবিবাহ এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সর্বোচ্চ স্তর থেকে মোকাবিলা করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় ভাগের প্ল্যানারি অধিবেশনে বৈশ্বিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা বিনিময় পর্বে বিশেষজ্ঞরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে ড. মুস্তাফা কে মুজেরির সভাপতিত্বে আলোচনা করেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ, বিবি প্রোডাকশনসের প্রতিষ্ঠাতা বিবি রাসেল, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মারিয়া আলেকসান্দ্রা মে।
আর্থিক খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: জেন্ডার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সম্মেলনটি আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি)।
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন–এর অর্থায়নে পরিচালিত একটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা এ ক্ষেত্রে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য দূর করার কৌশলগুলো সম্পর্কে মতামত দেন।
এ গবেষণার প্রধান চারজন গবেষক হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা বানু; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. লীলা রশিদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং সিআরডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মোখলেছুর রহমান।
উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওহগ) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফা কে মুজেরি।
এ অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমসের ডেপুটি ডিরেক্টর হিলারি মিলার–ওয়াইজ, স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর লিন আইজেনহার্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। এর পাশাপাশি এ সম্মেলনে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের প্রথম ভাগে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য শীর্ষক আড়াই বছরের গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। অধিবেশনটি সঞ্চালনায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমসের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড স্নিগ্ধা আলী।
গবেষণায় ৫৬টি জেলার ২২০টি ক্লাস্টারের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৩০০টি পরিবারের ৭ হাজার ৫৬০ জন ব্যক্তির ওপর দেশব্যাপী পরিচালিত জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি গুণগত গবেষণার অংশ হিসেবে ৬৪টি দলগত আলোচনা, ৪৯টি নিবিড় সাক্ষাৎকার এবং ৫৬টি বিশেষজ্ঞ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে।
জরিপের ফলাফল থেকে দেখা গেছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ পয়েন্ট জেন্ডার গ্যাপ (লিঙ্গ ব্যবধান) রয়েছে। যদিও বিশদ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে এই পার্থক্যের ব্যাপ্তি ও গভীরতা আরও অনেক ব্যাপক।
গবেষণায় মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবায় জেন্ডার গ্যাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে (৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট)। এ ছাড়া ব্যাংকিং খাতে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ পয়েন্ট জেন্ডার গ্যাপ রয়েছে।
অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে পুরুষের অন্তর্ভুক্তি মাত্র ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা যে শুধু পিছিয়েই রয়েছে তাই নয়; ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার ক্ষেত্রেও তারা প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারী–পুরুষের ব্যবধানের তিন চতুর্থাংশ (৭৬ শতাংশ) অর্থনৈতিক অবস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, খানা কাঠামো ও বৈবাহিক অবস্থা ইত্যাদি আর্থ–সামাজিক বিষয়গুলোর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারী–পুরুষের ব্যবধানের বাকি ২৪ শতাংশ এ ধরনের দৃশ্যমান সূচকের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা যায় না। এ ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।
জেন্ডার মতাদর্শ, সামাজিক রীতি–নীতি ও বিধিনিষেধ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধাগ্রস্ত করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
নারীরা অবমাননাকর মন্তব্য এবং সামাজিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়, যা তাদের কাজ ও সক্রিয় ভূমিকাকে ঘরে ও বাইরে সীমাবদ্ধ করে দেয়। এই প্রথাগুলো আর্থিক সেবা প্রদানকারী ও গ্রহণকারীদের মানসিকতাকেও প্রভাবিত করে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পূর্বশর্ত যেমন সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগগুলোতে নারীদের অভিগম্যতাকেও বাধাগ্রস্ত করে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নীতি কাঠামোও এই প্রথাগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়।
অনেক বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও, কিছু নারী আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছেছেন, যা ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্বামী বা মূল উপার্জনকারী মৃত্যু, অসুস্থতা ও চিকিৎসা ব্যয়ের মতো বিষয়সমূহ এ নারীদের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকগণ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। যেমন: নারীদের তথ্য প্রাপ্তিতে এবং ডিজিটাল ডিভাইসে অভিগম্যতা নিশ্চিত করা, ব্যাংকের শাখাগুলোতে জেন্ডার-বান্ধব ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং ঋণ ও অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য কমানোর জন্য একটি বিশদ কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিস্তৃত উদ্যোগ গ্রহণ, সেই সঙ্গে জেন্ডার ব্যবধান কমানোর ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানো এবং এর বাস্তবায়ন। আর্থিক এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার জন্য সচেতনতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া, টেকসই প্রচারাভিযান এবং সচেতনতা বাড়াতে অ্যাডভোকেসি ইত্যাদি।
উপরোল্লিখিত সুপারিশ ছাড়াও, নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পরিসর বৃদ্ধির জন্য গবেষণায় নারীদের কর্মসংস্থান ও আয়ের প্রতিও দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়, এ ছাড়া সম্পত্তিতে নারীদের অধিকারহীনতা, মজুরিবিহীন সেবামূলক কাজের অবমূল্যায়ন, বাল্যবিবাহ এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সর্বোচ্চ স্তর থেকে মোকাবিলা করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
সম্মেলনের দ্বিতীয় ভাগের প্ল্যানারি অধিবেশনে বৈশ্বিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা বিনিময় পর্বে বিশেষজ্ঞরা আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে ড. মুস্তাফা কে মুজেরির সভাপতিত্বে আলোচনা করেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ, বিবি প্রোডাকশনসের প্রতিষ্ঠাতা বিবি রাসেল, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মারিয়া আলেকসান্দ্রা মে।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
১১ ঘণ্টা আগে