নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি দুটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। এ ঘটনা ইতিবাচক। কিন্তু ব্যাংকগুলো দুর্বল হওয়ার পেছনে বাস্তব কারণ ছিল। সেই সব কারণ আমলে না নিয়ে শুধু ব্যাংক একীভূত করে গেলে কার্যকর কিছু হবে না।
গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে সিপিডির কিছু পরামর্শ তুলে ধরতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে পরামর্শগুলো তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব কাঠামোটার উদ্দেশ্য তিনটি হওয়া উচিত। প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া, যাতে প্রয়োজনমতো ব্যয় করতে পারি এবং ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা কমে। আরেকটি হচ্ছে, দক্ষতার সঙ্গে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারি ব্যয় করা, যাতে অর্থের অপচয় না হয়।
বাজেট প্রণয়নে এই তিন লক্ষ্যের সঙ্গে বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে সিপিডি। সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আরেকটা বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। সেটা হলো, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে যাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরের বাজেটের বাস্তবায়ন, রাজস্ব আহরণের চিত্রসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ছয় মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে, যা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বিগত দিনের ধারা লক্ষ করলে দেখা যায়, রাজস্ব ঘাটতি আগের মতোই চলমান থাকবে, যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় চতুর্থ প্রজন্মের এতগুলো ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোয় সুশাসনের অভাব ছিল দৃশ্যমান। যেসব কারণে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়েছে, সেগুলো আমলে নেওয়ারও উদ্যোগ নিতে হবে। সেটা না করে শুধু একীভূত করা হলে কার্যকর কিছু হবে না।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক যে কর্মচাঞ্চল্য থাকা প্রয়োজন ছিল, তা দেখা যায়নি। সংস্কার কোথায় দরকার, তা বহুবার বলা হয়েছে; এখন বাজেটে তার প্রতিফলন প্রয়োজন। এ ছাড়া সংসদে বাজেট আলোচনায় সংসদ সদস্যদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের পরামর্শও দেন তিনি।
সম্প্রতি দুটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। এ ঘটনা ইতিবাচক। কিন্তু ব্যাংকগুলো দুর্বল হওয়ার পেছনে বাস্তব কারণ ছিল। সেই সব কারণ আমলে না নিয়ে শুধু ব্যাংক একীভূত করে গেলে কার্যকর কিছু হবে না।
গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে সিপিডির কিছু পরামর্শ তুলে ধরতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে পরামর্শগুলো তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব কাঠামোটার উদ্দেশ্য তিনটি হওয়া উচিত। প্রথমত, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া, যাতে প্রয়োজনমতো ব্যয় করতে পারি এবং ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরশীলতা কমে। আরেকটি হচ্ছে, দক্ষতার সঙ্গে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সরকারি ব্যয় করা, যাতে অর্থের অপচয় না হয়।
বাজেট প্রণয়নে এই তিন লক্ষ্যের সঙ্গে বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়ার বিষয়েও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে সিপিডি। সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আরেকটা বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। সেটা হলো, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে যাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরের বাজেটের বাস্তবায়ন, রাজস্ব আহরণের চিত্রসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ছয় মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে, যা অত্যন্ত কঠিন কাজ। বিগত দিনের ধারা লক্ষ করলে দেখা যায়, রাজস্ব ঘাটতি আগের মতোই চলমান থাকবে, যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হতে পারে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় চতুর্থ প্রজন্মের এতগুলো ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোয় সুশাসনের অভাব ছিল দৃশ্যমান। যেসব কারণে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়েছে, সেগুলো আমলে নেওয়ারও উদ্যোগ নিতে হবে। সেটা না করে শুধু একীভূত করা হলে কার্যকর কিছু হবে না।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক যে কর্মচাঞ্চল্য থাকা প্রয়োজন ছিল, তা দেখা যায়নি। সংস্কার কোথায় দরকার, তা বহুবার বলা হয়েছে; এখন বাজেটে তার প্রতিফলন প্রয়োজন। এ ছাড়া সংসদে বাজেট আলোচনায় সংসদ সদস্যদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের পরামর্শও দেন তিনি।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
৯ ঘণ্টা আগে