ফারুক মেহেদী, ঢাকা
করোনাকালে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের রেকর্ডপ্রবাহ থাকলেও করোনা সহনীয় হতে থাকায় এ ধারা অব্যাহতভাবে নেতিবাচক হচ্ছে। টানা চার মাস প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর হার কমছে। হুন্ডি বেড়ে যাওয়া এবং শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ায় রেমিট্যান্সপ্রবাহে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্যাংকাররা জানান, রেমিট্যান্সপ্রবাহ নেতিবাচক হলেও তাঁরা আশাবাদী। কারণ ডলারের দামে চাঙাভাব থাকায় প্রবাসীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে বেশি টাকা পাঠাবেন। আবারও খাতটি ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার শুরু থকেই প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। তবে টানা চার মাস এটি কমছে। গত বছরের আগস্টে ১৯৬ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। চলতি বছরের আগস্টে তা নেমে এসেছে ১৮১ কোটি মার্কিন ডলারে। এর আগে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ডলার ও জুনে ১৯৪ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। ওই দুই মাসেও আগের বছরের চেয়ে কম এসেছে। সামনে এটি আরও কমবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার মধ্যে সবকিছু নেতিবাচক থাকলেও দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসার গতি ছিল ইতিবাচক। ওই সময়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেক প্রবাসী তাঁদের জমানো টাকা দেশে পাঠান। আর ওই সময় মানুষের চলাচল কম থাকায় হুন্ডি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া, সরকার বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ায় রেমিট্যান্স আসা বেড়ে যায়। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকায় এবং আকাশপথে যোগাযোগ চালুর পর হুন্ডির আশঙ্কাও বেড়ে গেছে। অনেকে মনে করেন, হুন্ডির চক্রটি আবারও সক্রিয় হতে পারে। এর ফলে অবৈধ পথে টাকা পাঠানো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া করোনার কারণে গত দুই বছরে প্রায় ৫ লাখ কর্মী ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ ফিরে গেলেও বড় অংশ এখনো ফিরতে পারেনি।
রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেমিট্যান্সে একটু নেতিবাচক ধারা আছে। তবে আমি মনে করি না, এটা দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, এখন লোকজনের বিদেশে যাওয়া শুরু হয়েছে। রোমানিয়াসহ কয়েকটি দেশে নতুন আরও লোকজন যাবে। ইউরোপের আউটলেটগুলো খুলছে, সেখানে লোকের চাহিদা বাড়ছে, কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। প্রবাসীদের আয় বাড়বে সন্দেহ নেই। তাঁরা আবারও টাকা পাঠাতে শুরু করবেন।’ সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় এখন হুন্ডি বেড়ে যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হুন্ডিও একটু বেড়ে গেছে বলে মনে হয়। হুন্ডি হয়তো আমরা পুরো নির্মূল করতে পারব না। তবে এটা যে কমে আসবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এদিকে, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার কিছুটা সংকুচিত হওয়ার কারণেও রেমিট্যান্সপ্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। জানা যায়, পুরোনো শ্রমবাজারে মন্দা ও নতুন শ্রমবাজার তৈরি করতে না পারায় চার বছর ধরে বিদেশে কর্মী পাঠানো কমছে। এর মধ্যে করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি কমেছে গত দুই বছরে। রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন বায়রা বলছে, এককভাবে সৌদি আরবই সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। তবে গত দুই বছরে সেখানেও নানা প্রতিবন্ধকতা, বিধিনিষেধের কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে কর্মী পাঠানো যাচ্ছে না।
করোনাকালে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের রেকর্ডপ্রবাহ থাকলেও করোনা সহনীয় হতে থাকায় এ ধারা অব্যাহতভাবে নেতিবাচক হচ্ছে। টানা চার মাস প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর হার কমছে। হুন্ডি বেড়ে যাওয়া এবং শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ায় রেমিট্যান্সপ্রবাহে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্যাংকাররা জানান, রেমিট্যান্সপ্রবাহ নেতিবাচক হলেও তাঁরা আশাবাদী। কারণ ডলারের দামে চাঙাভাব থাকায় প্রবাসীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন বলে বেশি টাকা পাঠাবেন। আবারও খাতটি ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার শুরু থকেই প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে। তবে টানা চার মাস এটি কমছে। গত বছরের আগস্টে ১৯৬ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল। চলতি বছরের আগস্টে তা নেমে এসেছে ১৮১ কোটি মার্কিন ডলারে। এর আগে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ডলার ও জুনে ১৯৪ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। ওই দুই মাসেও আগের বছরের চেয়ে কম এসেছে। সামনে এটি আরও কমবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার মধ্যে সবকিছু নেতিবাচক থাকলেও দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসার গতি ছিল ইতিবাচক। ওই সময়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেক প্রবাসী তাঁদের জমানো টাকা দেশে পাঠান। আর ওই সময় মানুষের চলাচল কম থাকায় হুন্ডি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া, সরকার বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ায় রেমিট্যান্স আসা বেড়ে যায়। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকায় এবং আকাশপথে যোগাযোগ চালুর পর হুন্ডির আশঙ্কাও বেড়ে গেছে। অনেকে মনে করেন, হুন্ডির চক্রটি আবারও সক্রিয় হতে পারে। এর ফলে অবৈধ পথে টাকা পাঠানো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া করোনার কারণে গত দুই বছরে প্রায় ৫ লাখ কর্মী ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ ফিরে গেলেও বড় অংশ এখনো ফিরতে পারেনি।
রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে যাওয়া প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেমিট্যান্সে একটু নেতিবাচক ধারা আছে। তবে আমি মনে করি না, এটা দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, এখন লোকজনের বিদেশে যাওয়া শুরু হয়েছে। রোমানিয়াসহ কয়েকটি দেশে নতুন আরও লোকজন যাবে। ইউরোপের আউটলেটগুলো খুলছে, সেখানে লোকের চাহিদা বাড়ছে, কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। প্রবাসীদের আয় বাড়বে সন্দেহ নেই। তাঁরা আবারও টাকা পাঠাতে শুরু করবেন।’ সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় এখন হুন্ডি বেড়ে যাবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হুন্ডিও একটু বেড়ে গেছে বলে মনে হয়। হুন্ডি হয়তো আমরা পুরো নির্মূল করতে পারব না। তবে এটা যে কমে আসবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এদিকে, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার কিছুটা সংকুচিত হওয়ার কারণেও রেমিট্যান্সপ্রবাহে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। জানা যায়, পুরোনো শ্রমবাজারে মন্দা ও নতুন শ্রমবাজার তৈরি করতে না পারায় চার বছর ধরে বিদেশে কর্মী পাঠানো কমছে। এর মধ্যে করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি কমেছে গত দুই বছরে। রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন বায়রা বলছে, এককভাবে সৌদি আরবই সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। তবে গত দুই বছরে সেখানেও নানা প্রতিবন্ধকতা, বিধিনিষেধের কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে কর্মী পাঠানো যাচ্ছে না।
নেপাল প্রথমবারের মতো ভারতের বিদ্যুৎ সংযোগ অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। এটিকে উপ–আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে নেপালের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের প্রথম দৃষ্টান্ত।
২ মিনিট আগেবাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
১৫ ঘণ্টা আগেনেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারতের বিদ্যুৎ, আবাসন ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের...
২১ ঘণ্টা আগে