নিজস্ব প্রতিবেদক
এবারের ঈদুল আজহায় অনলাইনে পশু বিক্রি বাড়লেও কমেছে কোরবানির সংখ্যা। একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোরবানির হাটগুলোতে পশু নিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাপারী ও ক্ষুদ্র খামারিরা। কিন্তু অনেক গরুই কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে না পেরে ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে। অতি লাভের আশায় গুঁড়েবালি। হাট থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া গরুগুলো নিয়ে এখন বিপাকে খামারি ও ব্যাপারীরা। গরু আনা-নেওয়াতে খরচ হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল কাটাতে চিকিৎসা বাবদ টাকা খরচ হচ্ছে পানির মতো। বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত খাবার খরচ চালিয়ে যেতে হবে। এমন দশা উত্তরবঙ্গ ও যশোর–কুষ্টিয়া অঞ্চলের খামারি ও ব্যবসায়ীদের।
কুষ্টিয়ার হরিপুরের মোলায়েম ব্যাপারী ঈদে বেচবেন বলে ঢাকায় গরু নিয়ে যান ১৩টি। লোকসান দিয়ে নয়টি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি বড় গরু বেচতেই পারেননি। এগুলো ফিরিয়ে এনেছেন কিন্তু রাখার জায়গা নেই। আপাতত রেখেছেন কুষ্টিয়া শহরে এক আত্মীয়ের বাড়ি। তিনি এখন চিন্তায় আছেন, এসব গরুর পেছনে খাবারে যে টাকা খরচ হবে তাতে হাতের সব পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে। আর কোরবানির পরে বাজারে মাংসের চাহিদা এমনিতেই কমে যায়। ফলে এখন চাইলেই বিক্রিও করতে পারবেন না। অন্তত দুই থেকে তিন মাস গরুগুলো পালন করতে হবে।
কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার হাজী জিল্লুর রহমান তিনটি গরুই ফেরত এনেছেন। তিনি বলেন, ‘গরুর যে দাম বলেন ক্রেতারা তাতে মাংসের হিসাবে মণপ্রতি ১০–১১ হাজার টাকা পড়ে। কিছুদিন আবার খাইয়ে সুবিধাজনক সময়ে বেচলে দাম মণপ্রতি ২০ হাজারের ওপরে পাওয়া যাবে। তাতে কিছুটা লোকসান কম হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ঈদুল আজহায় গত বছরের তুলনায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২১টি পশু কম কোরবানি হয়েছে। সারা দেশে এবার মোট কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। তবে গতবারের চেয়ে এবার অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি চার গুণ বেড়েছে। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সারা দেশে অনলাইনে মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। গত বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল ৮৬ হাজার ৮৭৪টি। যার আর্থিক মূল্য ছিল ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪ হাজার ৮২৯ টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। যার সংখ্যা মোট ২২ লাখ ৩৯ হাজার ২৫২ টি। এর মধ্যে ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৩৬৩ টি। চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭১ হাজার ২৩১টি গরু-মহিষ, ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ২০১ টি। রাজশাহী বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ১৬ হাজার ২৮৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১২৯ টিসহ মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৫টি পশু কোরবানি করা হয়েছে। খুলনায় কোরবানি হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৭টি গরু-মহিষ, ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১১ টিসহ মোট ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬০১টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬২১টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৭৯টি পশু কোরবানি হয়েছে। সিলেটে ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৪১টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৫৬৯টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৮ টি। রংপুর বিভাগে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২২০টি গরু-মহিষ, ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৯টি পশু কোরবানি হয়েছে। আর ময়মনসিংহ বিভাগে কোরবানি দেওয়া হয়েছে মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৭টি গবাদিপশু। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার ৩২৫টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৩ টি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছরই পশু কোরবানির সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু করোনার সংকটের কারণে গত দু’বছর ধরেই এর ব্যতিক্রম ঘটছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ১২ লাখ কম পশু কোরবানি হয়েছিল। এবারও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এ বছর প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ গবাদিপশুর এই ডিজিটাল হাট পরিচালনা করেছে। আগামী বছর এই হাটের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনার কারণে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র তার গতি হারিয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত সবার ওপরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বড় ব্যবসায়ীরা টিকে থাকলেও মাঝারি এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে লড়াই করতে হচ্ছে। এর প্রভাবে পড়েছে সার্বিক কর্মসংস্থানের ওপর। অনেকেই কাজ হারিয়েছে এমনকি করোনার পরিস্থিতির কারণে অনেককেই নগর ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। রোজার ঈদের সময় এর প্রভাব পড়েছিল পোশাক বিক্রেতা শুরু করে সব ব্যবসায়ীদের মধ্যে, দু মাস পর কোরবানির ঈদের সময় বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের পকেটে টান দিয়েছেন। ফলে অন্যান্য বারের মতো এবার কম পশু কোরবানি হয়েছে। তবে মহামারির এমন পরিস্থিতিতে এই কোরবানির এই সংখ্যাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে।
কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশে ২৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, দু বছর ধরে দেশে কোরবানি কম হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও কোরবানির পশু বেচাকেনা বাবদ বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। বড় খামার থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতেও টাকা পৌঁছেছে। এই টাকাটার সর্বোত্তম ব্যবহার বা বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের একটা সমন্বিত ব্যবস্থা থাকা দরকার। যেমন-একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা একজন চাষি এবার ঈদে দুটো পশু বিক্রি করেছেন। এই বিক্রির টাকাটা দিয়ে তিনি কীভাবে তার ব্যবসায়ের আকার আরও বড় করতে পারেন সেটার ব্যবস্থা করা। গবাদিপশুর মাংস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা একটা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এসব খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে খামারিরা কীভাবে আরও বেশি লাভবান হতে পারে সেটা নিয়ে সরকারের একটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা থাকা দরকার।
এবারের ঈদুল আজহায় অনলাইনে পশু বিক্রি বাড়লেও কমেছে কোরবানির সংখ্যা। একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোরবানির হাটগুলোতে পশু নিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাপারী ও ক্ষুদ্র খামারিরা। কিন্তু অনেক গরুই কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে না পেরে ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে। অতি লাভের আশায় গুঁড়েবালি। হাট থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া গরুগুলো নিয়ে এখন বিপাকে খামারি ও ব্যাপারীরা। গরু আনা-নেওয়াতে খরচ হয়েছে মোটা অঙ্কের অর্থ। সেই সঙ্গে দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল কাটাতে চিকিৎসা বাবদ টাকা খরচ হচ্ছে পানির মতো। বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত খাবার খরচ চালিয়ে যেতে হবে। এমন দশা উত্তরবঙ্গ ও যশোর–কুষ্টিয়া অঞ্চলের খামারি ও ব্যবসায়ীদের।
কুষ্টিয়ার হরিপুরের মোলায়েম ব্যাপারী ঈদে বেচবেন বলে ঢাকায় গরু নিয়ে যান ১৩টি। লোকসান দিয়ে নয়টি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি বড় গরু বেচতেই পারেননি। এগুলো ফিরিয়ে এনেছেন কিন্তু রাখার জায়গা নেই। আপাতত রেখেছেন কুষ্টিয়া শহরে এক আত্মীয়ের বাড়ি। তিনি এখন চিন্তায় আছেন, এসব গরুর পেছনে খাবারে যে টাকা খরচ হবে তাতে হাতের সব পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে। আর কোরবানির পরে বাজারে মাংসের চাহিদা এমনিতেই কমে যায়। ফলে এখন চাইলেই বিক্রিও করতে পারবেন না। অন্তত দুই থেকে তিন মাস গরুগুলো পালন করতে হবে।
কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার হাজী জিল্লুর রহমান তিনটি গরুই ফেরত এনেছেন। তিনি বলেন, ‘গরুর যে দাম বলেন ক্রেতারা তাতে মাংসের হিসাবে মণপ্রতি ১০–১১ হাজার টাকা পড়ে। কিছুদিন আবার খাইয়ে সুবিধাজনক সময়ে বেচলে দাম মণপ্রতি ২০ হাজারের ওপরে পাওয়া যাবে। তাতে কিছুটা লোকসান কম হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ঈদুল আজহায় গত বছরের তুলনায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার ২১টি পশু কম কোরবানি হয়েছে। সারা দেশে এবার মোট কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি গবাদিপশু। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। তবে গতবারের চেয়ে এবার অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি চার গুণ বেড়েছে। এ বছর কোরবানি উপলক্ষে সারা দেশে অনলাইনে মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। গত বছর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গবাদিপশু বিক্রি হয়েছিল ৮৬ হাজার ৮৭৪টি। যার আর্থিক মূল্য ছিল ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪ হাজার ৮২৯ টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছরের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। যার সংখ্যা মোট ২২ লাখ ৩৯ হাজার ২৫২ টি। এর মধ্যে ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৩৬৩ টি। চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫১৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭১ হাজার ২৩১টি গরু-মহিষ, ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮৬টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ২০১ টি। রাজশাহী বিভাগে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৩৩টি গরু-মহিষ, ১২ লাখ ১৬ হাজার ২৮৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১২৯ টিসহ মোট ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৫টি পশু কোরবানি করা হয়েছে। খুলনায় কোরবানি হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ১৪৭টি গরু-মহিষ, ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৩টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য ১১ টিসহ মোট ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৬০১টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬২১টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৮টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৭৯টি পশু কোরবানি হয়েছে। সিলেটে ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৪১টি পশু কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৫৬৯টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৮ টি। রংপুর বিভাগে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ২২০টি গরু-মহিষ, ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৯টি পশু কোরবানি হয়েছে। আর ময়মনসিংহ বিভাগে কোরবানি দেওয়া হয়েছে মোট ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৭টি গবাদিপশু। এর মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার ৩২৫টি গরু-মহিষ, ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১৯টি ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৩ টি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, দেশে প্রতি বছরই পশু কোরবানির সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু করোনার সংকটের কারণে গত দু’বছর ধরেই এর ব্যতিক্রম ঘটছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ১২ লাখ কম পশু কোরবানি হয়েছিল। এবারও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এ বছর প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে গবাদিপশু ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ গবাদিপশুর এই ডিজিটাল হাট পরিচালনা করেছে। আগামী বছর এই হাটের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনার কারণে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্র তার গতি হারিয়েছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত সবার ওপরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বড় ব্যবসায়ীরা টিকে থাকলেও মাঝারি এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে লড়াই করতে হচ্ছে। এর প্রভাবে পড়েছে সার্বিক কর্মসংস্থানের ওপর। অনেকেই কাজ হারিয়েছে এমনকি করোনার পরিস্থিতির কারণে অনেককেই নগর ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। রোজার ঈদের সময় এর প্রভাব পড়েছিল পোশাক বিক্রেতা শুরু করে সব ব্যবসায়ীদের মধ্যে, দু মাস পর কোরবানির ঈদের সময় বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের পকেটে টান দিয়েছেন। ফলে অন্যান্য বারের মতো এবার কম পশু কোরবানি হয়েছে। তবে মহামারির এমন পরিস্থিতিতে এই কোরবানির এই সংখ্যাকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অনেকে।
কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে দেশে ২৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, দু বছর ধরে দেশে কোরবানি কম হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও কোরবানির পশু বেচাকেনা বাবদ বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। বড় খামার থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতেও টাকা পৌঁছেছে। এই টাকাটার সর্বোত্তম ব্যবহার বা বিনিয়োগের বিষয়ে সরকারের একটা সমন্বিত ব্যবস্থা থাকা দরকার। যেমন-একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা একজন চাষি এবার ঈদে দুটো পশু বিক্রি করেছেন। এই বিক্রির টাকাটা দিয়ে তিনি কীভাবে তার ব্যবসায়ের আকার আরও বড় করতে পারেন সেটার ব্যবস্থা করা। গবাদিপশুর মাংস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা একটা অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এসব খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে খামারিরা কীভাবে আরও বেশি লাভবান হতে পারে সেটা নিয়ে সরকারের একটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা থাকা দরকার।
অক্টোবরে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, আর টেক্সটাইল রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরুর পর ভারতে পোশাক রপ্তানির অর্ডার বেড়েছে বলে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনেপাল প্রথমবারের মতো ভারতের বিদ্যুৎ সংযোগ অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে। এটিকে উপ–আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে নেপালের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের প্রথম দৃষ্টান্ত।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি “হরলিক্স ব্রেইন গেমস অলিম্পিয়াড”-এর আঞ্চলিক রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জয়ী হয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের শীর্ষ ২২ প্রতিভাবান ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এ জয়ী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করতে যাবে
১৯ ঘণ্টা আগে