নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এর জন্য ব্যাংকগুলোকেই দুষেছেন তিনি। সরকারি ব্যাংকের টাকা দিয়ে অনেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো বড় গ্রাহকদের ঋণ দিতে বাড়তি আগ্রহ দেখায়। তাদের জন্য ঋণের শর্তও খুব একটা মানা হয় না। বড় উদ্যোক্তাদের খেলাপির কোটি কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করা হয়। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ কখনো মওকুফ করে না ব্যাংক। বরং ঋণ পেতে আরও নানা অবহেলার শিকার ছোট গ্রাহকেরা। বরং শর্তের বেড়াজালে খাবি খাচ্ছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। তবে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়লে বাড়তি কর্মসংস্থান তৈরি হতো। এ জন্য এসব উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করা উচিত।’
এক সময় যারা ব্রিফকেস হাতে ঘুরতো, তাঁরা আজ বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক— এ মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের টাকা দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছে তাঁরা। অবৈধভাবে টাকা লুট করে কারা ব্যাংকের মালিক হয়েছেন তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসা উচিত। কিন্তু সেটি না করে তাঁদের বিভিন্ন রকম সুযোগ দিচ্ছি। আর অবহেলিত হচ্ছে ছোট উদ্যোক্তারা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরু করতে ১ লাখ টাকা থেকে ঋণের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ১ লাখ টাকায় কোনো ব্যবসা হয় না। এই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।’
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সরকারের অনেক জমি রয়েছে। তার কিছু কাজে লাগছে না। কোনো কোনো জমি আবার বেদখল হয়ে গেছে। যে যার মতো ব্যবহার করছে সেসব জমি। এই জমিগুলোর মধ্য থেকে একটি এস এম ই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয় করার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করছি।’
ডলার সংকট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ বিদেশে রয়েছেন। প্রতিনিয়তই রেমিট্যান্স পাঠান। কিন্তু বেশির ভাগই অবৈধ পথে। যে কারণে দেশে তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। কী কারণে তাঁরা অবৈধ পদ্ধতিতে ডলার পাঠাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনায় ৬৩ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩২ শতাংশ উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ উদ্যোক্তা করোনাকে উপেক্ষা করেও ব্যবসা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’
মফিজুর রহমান জানান, ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার সংখ্যা ৭৮ লাখ। এরপর আর কোনো পরিসংখ্যান হয়নি। বর্তমানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এই খাতের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে এসএমই খাতের অবদান মোট অর্থনীতির ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন।’
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অবহেলার শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এর জন্য ব্যাংকগুলোকেই দুষেছেন তিনি। সরকারি ব্যাংকের টাকা দিয়ে অনেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলো বড় গ্রাহকদের ঋণ দিতে বাড়তি আগ্রহ দেখায়। তাদের জন্য ঋণের শর্তও খুব একটা মানা হয় না। বড় উদ্যোক্তাদের খেলাপির কোটি কোটি টাকার ঋণ মওকুফ করা হয়। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ কখনো মওকুফ করে না ব্যাংক। বরং ঋণ পেতে আরও নানা অবহেলার শিকার ছোট গ্রাহকেরা। বরং শর্তের বেড়াজালে খাবি খাচ্ছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। তবে এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়লে বাড়তি কর্মসংস্থান তৈরি হতো। এ জন্য এসব উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করা উচিত।’
এক সময় যারা ব্রিফকেস হাতে ঘুরতো, তাঁরা আজ বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক— এ মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের টাকা দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছে তাঁরা। অবৈধভাবে টাকা লুট করে কারা ব্যাংকের মালিক হয়েছেন তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসা উচিত। কিন্তু সেটি না করে তাঁদের বিভিন্ন রকম সুযোগ দিচ্ছি। আর অবহেলিত হচ্ছে ছোট উদ্যোক্তারা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরু করতে ১ লাখ টাকা থেকে ঋণের সুবিধা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ১ লাখ টাকায় কোনো ব্যবসা হয় না। এই বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।’
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘সরকারের অনেক জমি রয়েছে। তার কিছু কাজে লাগছে না। কোনো কোনো জমি আবার বেদখল হয়ে গেছে। যে যার মতো ব্যবহার করছে সেসব জমি। এই জমিগুলোর মধ্য থেকে একটি এস এম ই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয় করার জন্য বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করছি।’
ডলার সংকট নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ বিদেশে রয়েছেন। প্রতিনিয়তই রেমিট্যান্স পাঠান। কিন্তু বেশির ভাগই অবৈধ পথে। যে কারণে দেশে তৈরি হয়েছে ডলার সংকট। কী কারণে তাঁরা অবৈধ পদ্ধতিতে ডলার পাঠাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনায় ৬৩ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩২ শতাংশ উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ উদ্যোক্তা করোনাকে উপেক্ষা করেও ব্যবসা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।’
মফিজুর রহমান জানান, ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার সংখ্যা ৭৮ লাখ। এরপর আর কোনো পরিসংখ্যান হয়নি। বর্তমানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে এই খাতের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে এসএমই খাতের অবদান মোট অর্থনীতির ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন।’
এস আলম সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪৫৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইউনিয়ন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক। মূলত যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এস আলমের নিয়োগ দেওয়া ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬২ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘হুমকি বা ভয়ভীতি’ প্রদর্শনের অভিযানে নেমেছে অভিযোগ করে এই শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার বলেছেন, এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ চুক্তি ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব ঢাল হিসেবে কাজ করবে। এস আলম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুরকে এবিষয়ে
৮ ঘণ্টা আগেবাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ভোজ্যতেলের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর আরও ৫ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
৯ ঘণ্টা আগেসাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবিরকে ১২ কোটি টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে