জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
বৈশ্বিক সংকটে কৃচ্ছ্র নীতির পরেও সরকারি ব্যয় মেটাতে চাপের মধ্যে রয়েছে সরকার। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ায় সরকারি আমদানি খরচ আরও বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অধিক ব্যাংক ঋণে ঝুঁকছে সরকার। এতে ব্যাংক ঋণ বেড়েই চলছে। গত এক মাসে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এর এক মাসে আগে অর্থাৎ গত আগস্ট পর্যন্ত এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
সরকারের ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারের খরচ বেড়েছে। ব্যয়ের চেয়ে আয় কম হওয়ায় বাড়তি অর্থের চাহিদা মেটাতে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। তবে বাজেটে উল্লেখিত লক্ষ্যের চেয়ে ঋণ গ্রহণ তেমন বেশি না হওয়ায় এ ঋণ নিয়ে শঙ্কার সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করেছিল সরকার। গত আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের নিট ঋণ ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা কমে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল। আর গত জুন শেষে স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরের ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এই ঋণের পরিমাণ গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৭ হাজার ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৫ কোটি ৩২ টাকা। সঞ্চয়পত্রের মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধের পরে এ খাতে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতনের মধ্যেও ডলার বিক্রি বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের ৭ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডলারের বিপরীতে বাজার থেকে উঠে এসেছে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার।
বৈশ্বিক সংকটে কৃচ্ছ্র নীতির পরেও সরকারি ব্যয় মেটাতে চাপের মধ্যে রয়েছে সরকার। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ায় সরকারি আমদানি খরচ আরও বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অধিক ব্যাংক ঋণে ঝুঁকছে সরকার। এতে ব্যাংক ঋণ বেড়েই চলছে। গত এক মাসে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের ব্যাংক খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এর এক মাসে আগে অর্থাৎ গত আগস্ট পর্যন্ত এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
সরকারের ঋণ গ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারের খরচ বেড়েছে। ব্যয়ের চেয়ে আয় কম হওয়ায় বাড়তি অর্থের চাহিদা মেটাতে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। তবে বাজেটে উল্লেখিত লক্ষ্যের চেয়ে ঋণ গ্রহণ তেমন বেশি না হওয়ায় এ ঋণ নিয়ে শঙ্কার সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে উল্টো পরিশোধ করেছিল সরকার। গত আগস্ট পর্যন্ত দুই মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের নিট ঋণ ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা কমে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকায় নেমে গিয়েছিল। আর গত জুন শেষে স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।
এদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরের ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এই ঋণের পরিমাণ গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৭ হাজার ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৫ কোটি ৩২ টাকা। সঞ্চয়পত্রের মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধের পরে এ খাতে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতনের মধ্যেও ডলার বিক্রি বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের ৭ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডলারের বিপরীতে বাজার থেকে উঠে এসেছে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার।
অনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগেইস্পাহানির পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতায় আয়োজিত ‘আনোয়ারা মান্নান বেগ আন্তজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট-মলি’-এর পর্দা নামল। আটটি দলের অংশগ্রহণে প্রায় এক মাসব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যশোরের শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সেরা ২৫ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেয়েছে মেটলাইফ। ২০২৪ সালের কাজের জন্য আন্তর্জাতিক ফরচুন ম্যাগাজিন থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে১০০ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে এসেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা জানান
৮ ঘণ্টা আগে