আয়নাল হোসেন, ঢাকা
চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ত্রাণ বিতরণের অজুহাতে এবার বাড়ল মোটা চালের দাম। রাজধানীর পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা ও খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি সমহারে বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বাড়ল। এ অবস্থায় ট্রাক সেলের পরিধি ও সরবরাহ বাড়াতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে শুধু মোটা চাল নয়, মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ সরু চালের দামও বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের আয়–রোজগার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে; বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলছে কষ্টে। রাজধানীতে টিসিবির পণ্য কিনতে এমনিতে ট্রাকের সামনে মানুষের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। বাজারে মোটা চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার ও বাদামতলী এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা চালের দাম ছিল ২ হাজার ৩০০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম ৪৬ টাকা। গত শুক্রবার একই চাল ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৪৮ টাকা। এতে কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল ২ হাজার ৭৫০ টাকা। শুক্রবার তা ২ হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। নাজিরশাইলের দাম ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। বর্তমানে তা ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাবুবাজারের মেসার্স নিউ মুক্তা রাইস এজেন্সির মালিক দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন বলেন, এ বছর মোটা ধানের আবাদ কম হয়েছে। সরকার মিলমালিকদের কাছ থেকে মোটা চাল নেওয়ায় বাজারে এই চালের সরবরাহ কম। আবার চলমান বিধিনিষেধে বিভিন্ন সংস্থা চাল বিতরণ করছে। ফলে বাজারে মোটা চালের পাশাপাশি সরু চালের দামও বেড়েছে।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরার বনশ্রী এলাকার মেসার্স শিফা রাইস এজেন্সির বিক্রয় প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁরা প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বিআর–২৮ চাল বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৪০০ টাকায়। শুক্রবার থেকে তা ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। মোকামে দাম বাড়ায় তাঁদের পর্যায়ে বেড়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের মেসার্স সোনালি রাইস এজেন্সির মালিক নুরুল ইসলাম জানান, তিন–চার দিন আগেও প্রতি কেজি বিআর–২৮ চালের (লতা নামে পরিচিত) দাম ছিল ৫০ টাকা। শুক্রবার তা ৫২ টাকায় বিক্রি করেছেন। টিসিবির হিসাবমতে, এক সপ্তাহ আগে মোটা চালের দাম ছিল ৪৪–৪৮ টাকা। বর্তমানে তা ৪৬–৫০ এবং মাঝারি মানের ৫০–৫৪ টাকার চাল ৫২–৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বৃদ্ধি এভাবে চলতে থাকলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, চলমান লকডাউনে চালের দাম বাড়ার বিষয়টি বেশি দিন স্থায়ী রাখা যাবে না। কেউ কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে কি না, সরকারকে তা বের করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
জানতে চাইলে খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের অজুহাতের শেষ নেই। রাজধানীতে ট্রাক সেলের সংখ্যা আরও ২০টি বাড়ানো হচ্ছে। এখন ১০টি ট্রাক রয়েছে। প্রতি ট্রাকে তাঁরা দৈনিক তিন টন চাল দিচ্ছেন। সারা দেশে ৭৭৬টি ট্রাকে চাল বিক্রি হচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত ট্রাক সেল অব্যাহত থাকবে।
খাদ্যসচিব আরও বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি গুদামে চাল মজুত রয়েছে ১২ লাখ ১৫ হাজার টন। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করেছে ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮২ টন এবং আতপ চাল ৪৯ হাজার ১২৮ টন। আর ধান সংগ্রহ করেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৩ টন।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধে ত্রাণ বিতরণের অজুহাতে এবার বাড়ল মোটা চালের দাম। রাজধানীর পাইকারি বাজারে ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা ও খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি সমহারে বেড়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বাড়ল। এ অবস্থায় ট্রাক সেলের পরিধি ও সরবরাহ বাড়াতে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে শুধু মোটা চাল নয়, মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ সরু চালের দামও বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের আয়–রোজগার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে; বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলছে কষ্টে। রাজধানীতে টিসিবির পণ্য কিনতে এমনিতে ট্রাকের সামনে মানুষের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। বাজারে মোটা চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার ও বাদামতলী এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা চালের দাম ছিল ২ হাজার ৩০০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম ৪৬ টাকা। গত শুক্রবার একই চাল ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৪৮ টাকা। এতে কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল ২ হাজার ৭৫০ টাকা। শুক্রবার তা ২ হাজার ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। নাজিরশাইলের দাম ছিল ২ হাজার ৬০০ টাকা। বর্তমানে তা ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাবুবাজারের মেসার্স নিউ মুক্তা রাইস এজেন্সির মালিক দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন বলেন, এ বছর মোটা ধানের আবাদ কম হয়েছে। সরকার মিলমালিকদের কাছ থেকে মোটা চাল নেওয়ায় বাজারে এই চালের সরবরাহ কম। আবার চলমান বিধিনিষেধে বিভিন্ন সংস্থা চাল বিতরণ করছে। ফলে বাজারে মোটা চালের পাশাপাশি সরু চালের দামও বেড়েছে।
রাজধানীর পূর্ব রামপুরার বনশ্রী এলাকার মেসার্স শিফা রাইস এজেন্সির বিক্রয় প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে তাঁরা প্রতি ৫০ কেজি ওজনের বিআর–২৮ চাল বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৪০০ টাকায়। শুক্রবার থেকে তা ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। মোকামে দাম বাড়ায় তাঁদের পর্যায়ে বেড়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের মেসার্স সোনালি রাইস এজেন্সির মালিক নুরুল ইসলাম জানান, তিন–চার দিন আগেও প্রতি কেজি বিআর–২৮ চালের (লতা নামে পরিচিত) দাম ছিল ৫০ টাকা। শুক্রবার তা ৫২ টাকায় বিক্রি করেছেন। টিসিবির হিসাবমতে, এক সপ্তাহ আগে মোটা চালের দাম ছিল ৪৪–৪৮ টাকা। বর্তমানে তা ৪৬–৫০ এবং মাঝারি মানের ৫০–৫৪ টাকার চাল ৫২–৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বৃদ্ধি এভাবে চলতে থাকলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, চলমান লকডাউনে চালের দাম বাড়ার বিষয়টি বেশি দিন স্থায়ী রাখা যাবে না। কেউ কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়াচ্ছে কি না, সরকারকে তা বের করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
জানতে চাইলে খাদ্যসচিব নাজমানারা খানুম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীদের অজুহাতের শেষ নেই। রাজধানীতে ট্রাক সেলের সংখ্যা আরও ২০টি বাড়ানো হচ্ছে। এখন ১০টি ট্রাক রয়েছে। প্রতি ট্রাকে তাঁরা দৈনিক তিন টন চাল দিচ্ছেন। সারা দেশে ৭৭৬টি ট্রাকে চাল বিক্রি হচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত ট্রাক সেল অব্যাহত থাকবে।
খাদ্যসচিব আরও বলেন, বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি গুদামে চাল মজুত রয়েছে ১২ লাখ ১৫ হাজার টন। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল সংগ্রহ করেছে ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮২ টন এবং আতপ চাল ৪৯ হাজার ১২৮ টন। আর ধান সংগ্রহ করেছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৩ টন।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইস্পাহানি মির্জাপুরের উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় মেধাভিত্তিক টিভি রিয়্যালিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ ষষ্ঠ বর্ষের চট্টগ্রাম বিভাগের বাছাইপর্ব (অডিশন) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে‘প্রেসিডেন্সি চ্যাম্পিয়নস লীগ ২০২৪’ এক রোমাঞ্চকর ফাইনালের মাধ্যমে শেষ হলো, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট গত ১০ নভেম্বরে উদ্বোধন এবং ১১ নভেম্বর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিন ব্যাপী খেলোয়াড়েরা ক্রী
২ ঘণ্টা আগেদেশের ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণ মাত্র ৩ মাসে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেড়েছে। ফলে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যের প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে
২ ঘণ্টা আগেব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের আয়োজনে ‘ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী সংলাপে বিভিন্ন সেক্টরের নীতি নির্ধারক
২ ঘণ্টা আগে