আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় সবচেয়ে পুরোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এটি পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। লক্ষীপুর ইউনিয়নের ২৪টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ছাড়াও, পার্শ্ববর্তী সুরমা ও বোগলা ইউনিয়নের মানুষ এখানে সেবা নিতে আসেন। ভারতের সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন হওয়ায় দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে এখানকার সাধারণ মানুষ উপজেলা সদর, জেলা সদর ও বিভাগীয় শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন না। এসব প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অথচ ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে লক্ষীপুর ইউনিয়নকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহায়ক ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। বিদ্যুৎ ও ডাক্তার ছাড়াই শুধুমাত্র একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) দিয়ে চলছে এই হাসপাতালটির কার্যক্রম।
সরেজমিনে লক্ষীপুরে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো সীমানাপ্রাচীর না থাকায় এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। গবাদিপশু, কুকুর বেড়াল অবাধে বিচরণ করছে হাসপাতালের আঙিনায়। হাসপাতালের সামনে মাত্র কয়েক গজ দূরত্ব দিয়ে গিয়েছে ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যুৎ লাইন। অথচ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। খাবার পানি সরবরাহের টিউবওয়েলের মাথা নেই। এটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, পাকিস্তান আমলে সিলেট জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলত লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্বাধীনতার আগেও এখানে ডাক্তার থাকত। বর্তমানে শুধুমাত্র সেকমো মনিরুল ইসলামকে দিয়ে চলছে পুরো হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতাল ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে রোগী দেখাসহ হাসপাতালের সার্বিক দেখভাল তিনি একাই করে থাকেন। তিনি সরকারি কোনো কাজে গেলে, প্রশিক্ষণ বা ছুটিতে গেলে হাসপাতাল বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে।
চিকিৎসা নিতে আসা লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরার গাঁও গ্রামের সখিনা বিবি জানান, ‘গরমের মধ্যে এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর সঙ্গে আসা সুস্থ মানুষকেও অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়। হাসপাতালে বিদ্যুৎ নাই, ডাক্তার নাই, আমাদের এই দুর্দশা কেউ দেখে না।’
লক্ষীপুর গ্রামের মদরিস আলী, ‘এই হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে আছে, কারওর নজর নেই। এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতাল চালু রাখার কোনো মানে হয় না।’
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. এমদাদুল হক চৌধুরী মামুন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, ডাক্তার নিয়োগ ও একটি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় রাতে বখাটেদের আড্ডা বসে এখানে। হাসপাতালের টিউবওয়েলের মাথাটি পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় জানালা ভেঙে ফেলেছে। হাসপাতালটির উন্নয়নের বিষয়ে আগেও দাবি জানিয়েছি। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে আমি এবার আবার আলাপ করব।’
লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে যোগদান করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি এই হাসপাতালে আছি। দৈনিক ৪০-৫০ জন রোগী আসে। জনবল সংকটের কারণে আমাকে একাই সবকিছু সামলাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে জরুরি রোগী আসলে মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিতে হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সমস্যার কথা জানিয়েছি।’
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার আহম্মদ হোসেন বলেন, ‘উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো মূলত সেকমো দিয়েই চলছে। সরকার একসময় ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছিল কিন্তু পরে আর তাঁদেরকে ধরে রাখা যায়নি। লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবকাঠামোগত রিপেয়ারিং কাজ ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করেছি। খুব শিগগিরই তাঁরা কাজ ধরবে। আশা করি এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। বাকি অন্যান্য সমস্যাগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে সমাধান করব।’
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় সবচেয়ে পুরোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এটি পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। লক্ষীপুর ইউনিয়নের ২৪টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ছাড়াও, পার্শ্ববর্তী সুরমা ও বোগলা ইউনিয়নের মানুষ এখানে সেবা নিতে আসেন। ভারতের সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন হওয়ায় দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে এখানকার সাধারণ মানুষ উপজেলা সদর, জেলা সদর ও বিভাগীয় শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন না। এসব প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অথচ ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে লক্ষীপুর ইউনিয়নকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ইউনিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট, অফিস সহায়ক ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। বিদ্যুৎ ও ডাক্তার ছাড়াই শুধুমাত্র একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) দিয়ে চলছে এই হাসপাতালটির কার্যক্রম।
সরেজমিনে লক্ষীপুরে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনো সীমানাপ্রাচীর না থাকায় এটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। গবাদিপশু, কুকুর বেড়াল অবাধে বিচরণ করছে হাসপাতালের আঙিনায়। হাসপাতালের সামনে মাত্র কয়েক গজ দূরত্ব দিয়ে গিয়েছে ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যুৎ লাইন। অথচ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। খাবার পানি সরবরাহের টিউবওয়েলের মাথা নেই। এটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, পাকিস্তান আমলে সিলেট জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে চলত লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। স্বাধীনতার আগেও এখানে ডাক্তার থাকত। বর্তমানে শুধুমাত্র সেকমো মনিরুল ইসলামকে দিয়ে চলছে পুরো হাসপাতালের কার্যক্রম। হাসপাতাল ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে রোগী দেখাসহ হাসপাতালের সার্বিক দেখভাল তিনি একাই করে থাকেন। তিনি সরকারি কোনো কাজে গেলে, প্রশিক্ষণ বা ছুটিতে গেলে হাসপাতাল বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে।
চিকিৎসা নিতে আসা লক্ষীপুর ইউনিয়নের জিরার গাঁও গ্রামের সখিনা বিবি জানান, ‘গরমের মধ্যে এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর সঙ্গে আসা সুস্থ মানুষকেও অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়। হাসপাতালে বিদ্যুৎ নাই, ডাক্তার নাই, আমাদের এই দুর্দশা কেউ দেখে না।’
লক্ষীপুর গ্রামের মদরিস আলী, ‘এই হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে আছে, কারওর নজর নেই। এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতাল চালু রাখার কোনো মানে হয় না।’
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. এমদাদুল হক চৌধুরী মামুন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান, ডাক্তার নিয়োগ ও একটি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় রাতে বখাটেদের আড্ডা বসে এখানে। হাসপাতালের টিউবওয়েলের মাথাটি পর্যন্ত চুরি হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় জানালা ভেঙে ফেলেছে। হাসপাতালটির উন্নয়নের বিষয়ে আগেও দাবি জানিয়েছি। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে আমি এবার আবার আলাপ করব।’
লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে যোগদান করার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমি এই হাসপাতালে আছি। দৈনিক ৪০-৫০ জন রোগী আসে। জনবল সংকটের কারণে আমাকে একাই সবকিছু সামলাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে জরুরি রোগী আসলে মোমবাতি জ্বালিয়ে সেবা দিতে হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সমস্যার কথা জানিয়েছি।’
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাক্তার আহম্মদ হোসেন বলেন, ‘উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো মূলত সেকমো দিয়েই চলছে। সরকার একসময় ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছিল কিন্তু পরে আর তাঁদেরকে ধরে রাখা যায়নি। লক্ষীপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবকাঠামোগত রিপেয়ারিং কাজ ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করেছি। খুব শিগগিরই তাঁরা কাজ ধরবে। আশা করি এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। বাকি অন্যান্য সমস্যাগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে সমাধান করব।’
গাজীপুর জেলা, ঢাকা বিভাগ, জেলার খবর, বিক্ষোভ, হামলা, অবরোধ
২ মিনিট আগেসেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও রাত্রিযাপনে অনুমতির দাবিতে কক্সবাজার শহরে সড়ক অবরোধ করে ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল
৩ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর প্রায় ৩ কোটি টাকার সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়।
২২ মিনিট আগেমতলব উত্তর, চাঁদপুর, আগুন, মামলা, গ্রেপ্তার, চট্টগ্রাম, জেলার খবর
২৯ মিনিট আগে