নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আপ্তাব আলী কালা মিয়াকে প্যান্ট-শার্ট খুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। তিনি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডির লাইভে এসে বলেন, ‘আজকে মজির উদ্দিন (বিজয়ী চেয়ারম্যান) ও তাঁর ভাই জমিরসহ যেভাবে আমাদের আলফু চেয়ারম্যানের (তেলিখাল ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি) ভাই আলী হোসেনকে হুমকি দিয়েছে, এই হুমকির জবাব কোম্পানীগঞ্জবাসী দেবে। আমরা যদি হেরেও যাই, তাইলে আমাদের মনোবল আরও শক্ত আছে। আমাদের কাউকে মারলে আমরাও এর সঠিক জবাব দেব। আলফু চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরা থানাবাসী আছি।’
এ সময় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আপ্তাব আলী কালা মিয়ারে বইলা দিলাম এই উত্তরাঞ্চলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। এই উত্তরবঙ্গে তোমারে আমরা ল্যাংটা কইরা দিমু । আপ্তাব আলী কালা মিয়া তুমি শুনিয়া রাখো, তোমারে আমরা এই পশ্চিম ইসলামপুর থাকি তোমার প্যান্ট-শার্ট খুলিয়া ছাড়মু। আইজ আমরা প্রতিজ্ঞা করছি আপ্তাব আলী কালা মিয়া, তুমি বলেছ মটকা ঠান্ডা হয়ে গেছে। মটকা ঠান্ডা হয় নাই। এতদিন আছলাম চেয়ারম্যান, ওখন চেয়ারম্যান নায়। ওখন আগর শামীম লুঙ্গী ফিন্দিয়া আর প্রতিজ্ঞা করেছি তোমাকে ল্যাংটা কইরা এই উত্তরাঞ্চল থাকি ছাড়মু, ইনশাআল্লাহ। তুমি জানিয়া রাখিয়ো তোমার দোকানো ওখন নায় দেখো, শেষ দেখো। দেখেন হাবির দোকানে আমাদের মানুষ অবস্থান করেছে। তোমারে আমরা ল্যাংটা করিয়া কোম্পানীগঞ্জবাসী ইনশাআল্লাহ ছাড়মু। আলফু চেয়ারম্যান আর আমরা যদি জীবিত থাকি, তোমারে ল্যাংটা কইরা উদলা ছাড়মু।’
লাইভ ভিডিওতে শামীম আরও বলেন, ‘আমরার ইলেকশন নষ্ট হইবো করি তোমারে জুতাদি পিঠাইছি না। আমি নীরব আসলাম, নাইলে তোমারে জুতা দি ফিটলো ওনে মাইনষে। আপ্তাব আলী কালা মিয়া তুমি হুঁশিয়ার থাকো। ইনশাআল্লাহ আমাদের যে যে কর্মী যে যে জায়গায় আছইন, কোনো ধরনের ভয়ভীতি করবেন না। প্রশাসনরে কইরাম যেকোনো পরিস্থিতি আমরা রাজপথে মোকাবিলা করবো।’
শামীম আহমদ বলেন, ‘আর নাসির খান (সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) তোমারে হুঁশিয়ার করি দিরাম, তুমি সাবধান হইয়াও। আমরার কোম্পানীগঞ্জবাসীরে তুমি অশান্ত কইরো না। আইজ কোম্পানীগঞ্জবাসী আনোয়ারুজ্জামানের (সিলেট সিটি মেয়র) নেতৃত্বে, হাবিব (সিলেট-৩ আসনের এমপি) ভাইয়ের নেতৃত্বে, নাদেল (মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক) ভাইয়ের নেতৃত্বে, রনজিত সরকারের (সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি) নেতৃত্বে আমরা বিশাল সমাবেশ করবো। আমরা কোম্পানীগঞ্জবাসী দেখিয়ে দিবো কোম্পানীগঞ্জের মাটি, আনোয়ারুজ্জামানের ঘাটি। হাবিব সাবের ঘাঁটি, কোম্পানীগঞ্জের মাটি, নাদেল ভাইয়ের ঘাঁটি কোম্পানীগঞ্জের মাটি, রনজিত সরকারের ঘাঁটি কোম্পানীগঞ্জের মাটি। ইনশাআল্লাহ এই সবতার জবাব দিবো জনগণ লইয়া। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঙ্গে সঙ্গে আপনারা অস্ত্র সহকারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’
লাইভ ভিডিওটি ঘণ্টা দেড়েক পরে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সরিয়ে ফেলেন শামীম। তবে এরমধ্যে অনেকেই সংগ্রহ করে পোস্ট করতে থাকেন। ভাইরাল হয়ে গেলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। ভিডিওটি আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ লাইভ বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপ্তাব আলী কালা মিয়ার লোক আাব্দুল হক ও আজিম আগে আমার লোককে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। আমার নেতা–কর্মীদের মারধর করেছে। পরে আমি লাইভ করেছি।’
হুমকি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আপ্তাব আলী কালা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শামীমে আগে গালাগালি করছে। পরে আমার নেতাকর্মীরাও গালাগালি করছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী এবিষয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
শামীম আহমদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিনের কাছে ৬ হাজার ৬৫ ভোটের ব্যবধানে পরজিত হন। মজির উদ্দিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২১৩ ভোট পান।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আপ্তাব আলী কালা মিয়াকে প্যান্ট-শার্ট খুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ। তিনি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডির লাইভে এসে বলেন, ‘আজকে মজির উদ্দিন (বিজয়ী চেয়ারম্যান) ও তাঁর ভাই জমিরসহ যেভাবে আমাদের আলফু চেয়ারম্যানের (তেলিখাল ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি) ভাই আলী হোসেনকে হুমকি দিয়েছে, এই হুমকির জবাব কোম্পানীগঞ্জবাসী দেবে। আমরা যদি হেরেও যাই, তাইলে আমাদের মনোবল আরও শক্ত আছে। আমাদের কাউকে মারলে আমরাও এর সঠিক জবাব দেব। আলফু চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমরা থানাবাসী আছি।’
এ সময় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আপ্তাব আলী কালা মিয়ারে বইলা দিলাম এই উত্তরাঞ্চলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। এই উত্তরবঙ্গে তোমারে আমরা ল্যাংটা কইরা দিমু । আপ্তাব আলী কালা মিয়া তুমি শুনিয়া রাখো, তোমারে আমরা এই পশ্চিম ইসলামপুর থাকি তোমার প্যান্ট-শার্ট খুলিয়া ছাড়মু। আইজ আমরা প্রতিজ্ঞা করছি আপ্তাব আলী কালা মিয়া, তুমি বলেছ মটকা ঠান্ডা হয়ে গেছে। মটকা ঠান্ডা হয় নাই। এতদিন আছলাম চেয়ারম্যান, ওখন চেয়ারম্যান নায়। ওখন আগর শামীম লুঙ্গী ফিন্দিয়া আর প্রতিজ্ঞা করেছি তোমাকে ল্যাংটা কইরা এই উত্তরাঞ্চল থাকি ছাড়মু, ইনশাআল্লাহ। তুমি জানিয়া রাখিয়ো তোমার দোকানো ওখন নায় দেখো, শেষ দেখো। দেখেন হাবির দোকানে আমাদের মানুষ অবস্থান করেছে। তোমারে আমরা ল্যাংটা করিয়া কোম্পানীগঞ্জবাসী ইনশাআল্লাহ ছাড়মু। আলফু চেয়ারম্যান আর আমরা যদি জীবিত থাকি, তোমারে ল্যাংটা কইরা উদলা ছাড়মু।’
লাইভ ভিডিওতে শামীম আরও বলেন, ‘আমরার ইলেকশন নষ্ট হইবো করি তোমারে জুতাদি পিঠাইছি না। আমি নীরব আসলাম, নাইলে তোমারে জুতা দি ফিটলো ওনে মাইনষে। আপ্তাব আলী কালা মিয়া তুমি হুঁশিয়ার থাকো। ইনশাআল্লাহ আমাদের যে যে কর্মী যে যে জায়গায় আছইন, কোনো ধরনের ভয়ভীতি করবেন না। প্রশাসনরে কইরাম যেকোনো পরিস্থিতি আমরা রাজপথে মোকাবিলা করবো।’
শামীম আহমদ বলেন, ‘আর নাসির খান (সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) তোমারে হুঁশিয়ার করি দিরাম, তুমি সাবধান হইয়াও। আমরার কোম্পানীগঞ্জবাসীরে তুমি অশান্ত কইরো না। আইজ কোম্পানীগঞ্জবাসী আনোয়ারুজ্জামানের (সিলেট সিটি মেয়র) নেতৃত্বে, হাবিব (সিলেট-৩ আসনের এমপি) ভাইয়ের নেতৃত্বে, নাদেল (মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক) ভাইয়ের নেতৃত্বে, রনজিত সরকারের (সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি) নেতৃত্বে আমরা বিশাল সমাবেশ করবো। আমরা কোম্পানীগঞ্জবাসী দেখিয়ে দিবো কোম্পানীগঞ্জের মাটি, আনোয়ারুজ্জামানের ঘাটি। হাবিব সাবের ঘাঁটি, কোম্পানীগঞ্জের মাটি, নাদেল ভাইয়ের ঘাঁটি কোম্পানীগঞ্জের মাটি, রনজিত সরকারের ঘাঁটি কোম্পানীগঞ্জের মাটি। ইনশাআল্লাহ এই সবতার জবাব দিবো জনগণ লইয়া। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঙ্গে সঙ্গে আপনারা অস্ত্র সহকারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’
লাইভ ভিডিওটি ঘণ্টা দেড়েক পরে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সরিয়ে ফেলেন শামীম। তবে এরমধ্যে অনেকেই সংগ্রহ করে পোস্ট করতে থাকেন। ভাইরাল হয়ে গেলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। ভিডিওটি আজকের পত্রিকার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ লাইভ বক্তব্যের বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপ্তাব আলী কালা মিয়ার লোক আাব্দুল হক ও আজিম আগে আমার লোককে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। আমার নেতা–কর্মীদের মারধর করেছে। পরে আমি লাইভ করেছি।’
হুমকি ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আপ্তাব আলী কালা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শামীমে আগে গালাগালি করছে। পরে আমার নেতাকর্মীরাও গালাগালি করছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী এবিষয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
শামীম আহমদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিনের কাছে ৬ হাজার ৬৫ ভোটের ব্যবধানে পরজিত হন। মজির উদ্দিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২১৩ ভোট পান।
মায়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) মোহনপুরের মাখন খালাসীর ছেলে শিপন খালাসী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ২৫) করেন। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৬ মিনিট আগেসাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আফজাল কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল দি কক্সটুডের একটি কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৪ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। একই মহাসড়কের অন্য অংশ অবরোধ করেছে ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্
১৯ মিনিট আগে১৩১ বছর আগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। এখন এর সদস্যসংখ্যা ৮ হাজারের মতো। বেসরকারি ব্যাংকে রাখা সমিতির ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সদস্যরা।
২২ মিনিট আগে