জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
গত চার দিন ধরে দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওয়েজখালি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুজাতারা দাস। বাসায় কোমড় পর্যন্ত পানি। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশের বাসায়।
সুজাতারা দাস বলেন, ‘বন্যার পানি আমার ঘরের সব জিনিসপত্র নষ্ট কইরা ফালাইছে। এই যে আমরা অসহায় হয়ে জীবন যাপন করতাছি এখন পর্যন্ত একজন মানুষও আইয়া আমার খবর লইলো না।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা পৌরসভার বাসিন্দা হয়ে আমাদের দেখার কেউ নাই।’
একই অবস্থা তাঁর পার্শ্ববর্তী রিপা দাসের। ছোট এক শিশু ও স্বামী নিয়ে নিজ ঘরেই বাঁশের মাচায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে কোমর পানি। কোনোরকম বাঁশের মাচা তৈরি কইরা ঘরোই আছি। স্বামী ওখন কামোও যাইতো পারে না। আমরা খুব কষ্টে দিন কাটাইতাছি।’
তাদের মত এমন পরিস্থিতি পৌর এলাকার কালিপুর, হাসনবসত, সুলতানপুর এসব আবাসিক এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের। সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও পৌর শহর থেকে এ পানি কমছে ধীর গতিতে। ফলে এখনো পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজারো মানুষ।
আজ রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সে. মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পরেছে সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মানুষ। অন্যদিকে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায় ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ছাতক উপজেলার ২৬৫ টির মধ্যে ২১০টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ১৩৫ টির মধ্যে ৪৯টি, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩ টিতে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে ২২টি বিদ্যালয়কে। এর মধ্যে আরও ১১০টি বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বন্যার্তদের সহায়তায় জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলায় ১৬৫ মে. টন চাল ও নগদ ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। কোন বন্যা আক্রান্তই খাদ্য সহায়তা থেকে বাদ পরবে না।’
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এবং উজানের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হলেও ঢলের পানি নামা অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরে নতুন করে আরো তিনটি আবাসিক এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। এ নিয়ে পৌর এলাকায় ২০টি আবাসিক এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিম-বঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময় সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
গত চার দিন ধরে দুই সন্তান ও স্বামী নিয়ে পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওয়েজখালি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুজাতারা দাস। বাসায় কোমড় পর্যন্ত পানি। একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাশের বাসায়।
সুজাতারা দাস বলেন, ‘বন্যার পানি আমার ঘরের সব জিনিসপত্র নষ্ট কইরা ফালাইছে। এই যে আমরা অসহায় হয়ে জীবন যাপন করতাছি এখন পর্যন্ত একজন মানুষও আইয়া আমার খবর লইলো না।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা পৌরসভার বাসিন্দা হয়ে আমাদের দেখার কেউ নাই।’
একই অবস্থা তাঁর পার্শ্ববর্তী রিপা দাসের। ছোট এক শিশু ও স্বামী নিয়ে নিজ ঘরেই বাঁশের মাচায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে কোমর পানি। কোনোরকম বাঁশের মাচা তৈরি কইরা ঘরোই আছি। স্বামী ওখন কামোও যাইতো পারে না। আমরা খুব কষ্টে দিন কাটাইতাছি।’
তাদের মত এমন পরিস্থিতি পৌর এলাকার কালিপুর, হাসনবসত, সুলতানপুর এসব আবাসিক এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের। সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও পৌর শহর থেকে এ পানি কমছে ধীর গতিতে। ফলে এখনো পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজারো মানুষ।
আজ রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সে. মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পরেছে সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামের পঞ্চাশ হাজার মানুষ। অন্যদিকে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায় ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে ছাতক উপজেলার ২৬৫ টির মধ্যে ২১০টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ১৩৫ টির মধ্যে ৪৯টি, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩ টিতে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে ২২টি বিদ্যালয়কে। এর মধ্যে আরও ১১০টি বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বন্যার্তদের সহায়তায় জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলায় ১৬৫ মে. টন চাল ও নগদ ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। কোন বন্যা আক্রান্তই খাদ্য সহায়তা থেকে বাদ পরবে না।’
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এবং উজানের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হলেও ঢলের পানি নামা অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরে নতুন করে আরো তিনটি আবাসিক এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। এ নিয়ে পৌর এলাকায় ২০টি আবাসিক এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিম-বঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের কতিপয় স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ সময় সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৫ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৭ ঘণ্টা আগে