নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, গত তিন মাস ধরে আমি বলেছি, স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়েছে কথা ঠিক। স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর মাথাটা গেছে, লেজ কিন্তু রয়ে গিয়েছে এবং লেজগুলো কিন্তু বদমাইশি শুরু করেছে।
তিনি বলেন, কমবেশি সবকিছু মিলিয়ে মানুষ এতটুকু বিশ্বাস করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র বা ব্যক্তি স্বাধীনতা নিরাপদ। সে জন্য বিএনপি সরকার পরিচালনা করলে হয়তো অনেক কিছু করতে পারবে না, তবে কিছুটা হলেও ভালো (বেটার) কিছু করবে।
তারেক রহমান বলেন, আজকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আসুন আমরা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তোলার চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে যারা টিকে আছেন তারা আগামীতেও টিকে থাকবেন বলে আমি মনে করি। আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে থাকতে হবে, গণতন্ত্রকে চালু রাখতে হবে। যেখানেই নির্বাচন হোক সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে হতে হবে। আমাদের সকলের নিয়ত যদি ভালো থাকে, অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে সক্ষম হব।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, দেশের জন্য। পৃথিবীর সব দেশেই গণতন্ত্র গ্রহণযোগ্য। কিন্তু, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চলার পথটি বহু সময়ে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গত ১৬ / ১৭ বছরে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময়ে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল গুম-খুনের শিকার হয়েছে। এই গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে যদি আমরা কনটিনিউ করতে পারি, তাহলে অনেক কিছুর সমাধান রাতারাতি হবে না, কিন্তু পর্যায়ক্রমে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আমরা পলাতক স্বৈরাচারের সময়ে দেখেছি, দেশের কোনো জায়গায় কোনো একাউন্টিবিলিটি ছিল না। সে জন্য এই গুম–খুন, অর্থ পাচার আর এই মেগা প্রজেক্টের নামে কি হয়েছে, আমরা দেখেছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র থাকে, যেকোনো মূল্য যদি আমরা গণতন্ত্রকে রাখতে পারি, তাহলে একাউন্টিবিলিটি অর্থাৎ জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে। যারা নির্বাচিত হিসেবে সরকারের দায়িত্বে থাকবে, তাদের আমাদের এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যে, তারা যাতে জনগণকে ভয় পায়।
তাদের মাথার মধ্যে থাকে যেন, আমাকে কাল-পরশু জনগণের সামনে যেতে হবে, জবাব দিতে হবে। তখনই আসলে জিনিসগুলো আস্তে আস্তে সঠিক পথে চলা শুরু করবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন–দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম. নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, বিএনপি নেতা ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আর্লি, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড. এনামুল হক চৌধুরী, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ঢাকায় গত দুই দিনের পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, গত তিন মাস ধরে আমি বলেছি, স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়েছে কথা ঠিক। স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর মাথাটা গেছে, লেজ কিন্তু রয়ে গিয়েছে এবং লেজগুলো কিন্তু বদমাইশি শুরু করেছে।
তিনি বলেন, কমবেশি সবকিছু মিলিয়ে মানুষ এতটুকু বিশ্বাস করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র বা ব্যক্তি স্বাধীনতা নিরাপদ। সে জন্য বিএনপি সরকার পরিচালনা করলে হয়তো অনেক কিছু করতে পারবে না, তবে কিছুটা হলেও ভালো (বেটার) কিছু করবে।
তারেক রহমান বলেন, আজকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আসুন আমরা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তোলার চেষ্টা করি।
তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে যারা টিকে আছেন তারা আগামীতেও টিকে থাকবেন বলে আমি মনে করি। আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে থাকতে হবে, গণতন্ত্রকে চালু রাখতে হবে। যেখানেই নির্বাচন হোক সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে হতে হবে। আমাদের সকলের নিয়ত যদি ভালো থাকে, অবশ্যই আমরা ভালো কিছু করতে সক্ষম হব।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য, দেশের জন্য। পৃথিবীর সব দেশেই গণতন্ত্র গ্রহণযোগ্য। কিন্তু, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চলার পথটি বহু সময়ে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গত ১৬ / ১৭ বছরে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময়ে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল গুম-খুনের শিকার হয়েছে। এই গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে যদি আমরা কনটিনিউ করতে পারি, তাহলে অনেক কিছুর সমাধান রাতারাতি হবে না, কিন্তু পর্যায়ক্রমে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আমরা পলাতক স্বৈরাচারের সময়ে দেখেছি, দেশের কোনো জায়গায় কোনো একাউন্টিবিলিটি ছিল না। সে জন্য এই গুম–খুন, অর্থ পাচার আর এই মেগা প্রজেক্টের নামে কি হয়েছে, আমরা দেখেছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র থাকে, যেকোনো মূল্য যদি আমরা গণতন্ত্রকে রাখতে পারি, তাহলে একাউন্টিবিলিটি অর্থাৎ জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে। যারা নির্বাচিত হিসেবে সরকারের দায়িত্বে থাকবে, তাদের আমাদের এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যে, তারা যাতে জনগণকে ভয় পায়।
তাদের মাথার মধ্যে থাকে যেন, আমাকে কাল-পরশু জনগণের সামনে যেতে হবে, জবাব দিতে হবে। তখনই আসলে জিনিসগুলো আস্তে আস্তে সঠিক পথে চলা শুরু করবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন–দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম. নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, বিএনপি নেতা ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আর্লি, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদির লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড. এনামুল হক চৌধুরী, ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।
চট্টগ্রাম আদালতে ইসকন নেতা ও সনাতন সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দিনভর উত্তপ্ত ছিল বন্দরনগরী। গতকাল সোমবার ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কে গ্রেপ্তার
২০ মিনিট আগেহবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার পুকড়া এলাকায় নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেববি, ট্রেজারার, সেনা কর্মকর্তা, বরিশাল, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠির নলছিটিতে বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি কর্তৃক ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কে চেকপোস্টের নামে যাত্রী-চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর প্রতিবাদে বেলা ৩টা থেকে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
১ ঘণ্টা আগে