সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়িতে বাড়িতে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় ঝুট কাপড় থেকে পোশাক তৈরি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রায় ৫০০ পরিবার। এলাকাটি দেখে মনে হয় প্রতিটি বাড়ি যেন পোশাক কারখানা। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি এখানকার তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে ভারত, ভুটান ও নেপালে।
সৈয়দপুরের রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস মালিক সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমল থেকেই সৈয়দপুরে ঝুট কাপড় থেকে নানা ধরনের পোশাক তৈরি হয়ে আসছে। ২০০২ সালে রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ নামে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন গড়ে ওঠার পর এর পরিধি অনেক বেড়ে যায়। এই শিল্পে অর্থায়ন করতে এবং মালিক ও কারিগরদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে এসেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি ২০১১-১২ অর্থবছরে এনসিসি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ শতাংশ সুদে ব্যবসায়ীদের জন্য দেড় কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করেছে। ব্যবসায়ীরা পোশাক তৈরি করতে ঢাকার মিরপুর, কালীগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানের পোশাক কারখানাগুলো থেকে ঝুট কাপড় কিনে আনেন। পাশাপাশি সুতা, বোতাম, ইলাস্টিক, প্যান্টের পকেট বানানোর স্টিকার, পুরোনো সেলাই মেশিনও সংগ্রহ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন, শহরের মুন্সীপাড়া, নয়াটোলা, হাতিখানা, মিস্ত্রিপাড়া, নতুন বাবুপাড়া, পুরোনো বাবুপাড়া, গোলাহাট, রাবেয়া মোড়, ঘোড়াঘাট, বাঁশবাড়ী, নিয়ামতপুরসহ আটকে পড়া পাকিস্তানিদের অবাঙালিদের একটি বড় অংশের ঘরে ঘরে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা। প্রতি কারখানায় সর্বনিম্ন দুটি থেকে সর্বোচ্চ ৪৫টি পর্যন্ত মেশিন রয়েছে। কারখানাগুলোতে তৈরি হচ্ছে ট্রাউজার, শর্টস (হাফ প্যান্ট), জ্যাকেট, টি-শার্ট, জিনস প্যান্টসহ নানা ধরনের পোশাক।
ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, ঝুট কাপড় ও উপকরণসমূহ কেনা হয় কেজি হিসেবে। এর মধ্যে প্রতি কেজি ব্লেজারের ঝুট ৫০ থেকে ১৫০, জ্যাকেট তৈরির ঝুট ১০০ থেকে ১৫০, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের ঝুট ৮০ থেকে ১৫০, জিনসের ঝুট ৭০ থেকে ১৫০, জিপার ৮০ থেকে ১০০, সুতা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে কেনা হয়।
ওই সব পোশাক কারখানার মালিকেরা জানান, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব কারখানাকে সরকার যদি নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে একটি পল্লি করে দেয়, তাহলে এই শিল্পের সম্প্রসারণ ঘটত এবং রপ্তানি আয় বাড়ত।
শহরের মুন্সীপাড়ার গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘দুটি সেলাই মেশিন নিয়ে নিজের ঘরেই ঝুট কাপড় থেকে পোশাক তৈরি শুরু করেছিলাম। ওই দুটি মেশিনই আমর ভাগ্য খুলে দেয়। এখন আমার ঘরে মেশিন আছে ২৫টি। এতে মাসে আয় হয় ৩৫ হাজার টাকার মতো।’
ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, আগাম শীত উপলক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। আশা করছেন, এবার তাঁদের ব্যবসা মোটামুটি ভালো হবে।
রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি আখতার হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনায় সেভাবে রপ্তানির আদেশ না পাওয়ায় সৈয়দপুর শহরের দুই শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি এসব কারখানা আবার চালু হতে শুরু করেছে। কারণ অর্ডার আসছে। শীত সামনে রেখে স্থানীয় ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানাগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।’
আখতার হোসেন খান আরও বলেন, ‘ঝুট কাপড় চার-পাঁচ হাত ঘুরে আমাদের কাছে আসে। সরাসরি গার্মেন্টস থেকে কিনতে পারলে আরও কমে কিনতে পারতাম। গত বছরও বাচ্চাদের জ্যাকেট তৈরি করা যেত ১০০ টাকায়। এখন খরচ হয় ১৫০ টাকা। বড়দের জ্যাকেট তৈরিতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ পড়ে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়িতে বাড়িতে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় ঝুট কাপড় থেকে পোশাক তৈরি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা চালাচ্ছে প্রায় ৫০০ পরিবার। এলাকাটি দেখে মনে হয় প্রতিটি বাড়ি যেন পোশাক কারখানা। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি এখানকার তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে ভারত, ভুটান ও নেপালে।
সৈয়দপুরের রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস মালিক সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমল থেকেই সৈয়দপুরে ঝুট কাপড় থেকে নানা ধরনের পোশাক তৈরি হয়ে আসছে। ২০০২ সালে রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ নামে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন গড়ে ওঠার পর এর পরিধি অনেক বেড়ে যায়। এই শিল্পে অর্থায়ন করতে এবং মালিক ও কারিগরদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে এসেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি ২০১১-১২ অর্থবছরে এনসিসি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ শতাংশ সুদে ব্যবসায়ীদের জন্য দেড় কোটি টাকার ঋণের ব্যবস্থা করেছে। ব্যবসায়ীরা পোশাক তৈরি করতে ঢাকার মিরপুর, কালীগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানের পোশাক কারখানাগুলো থেকে ঝুট কাপড় কিনে আনেন। পাশাপাশি সুতা, বোতাম, ইলাস্টিক, প্যান্টের পকেট বানানোর স্টিকার, পুরোনো সেলাই মেশিনও সংগ্রহ করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন, শহরের মুন্সীপাড়া, নয়াটোলা, হাতিখানা, মিস্ত্রিপাড়া, নতুন বাবুপাড়া, পুরোনো বাবুপাড়া, গোলাহাট, রাবেয়া মোড়, ঘোড়াঘাট, বাঁশবাড়ী, নিয়ামতপুরসহ আটকে পড়া পাকিস্তানিদের অবাঙালিদের একটি বড় অংশের ঘরে ঘরে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা। প্রতি কারখানায় সর্বনিম্ন দুটি থেকে সর্বোচ্চ ৪৫টি পর্যন্ত মেশিন রয়েছে। কারখানাগুলোতে তৈরি হচ্ছে ট্রাউজার, শর্টস (হাফ প্যান্ট), জ্যাকেট, টি-শার্ট, জিনস প্যান্টসহ নানা ধরনের পোশাক।
ক্ষুদ্র গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা জানান, ঝুট কাপড় ও উপকরণসমূহ কেনা হয় কেজি হিসেবে। এর মধ্যে প্রতি কেজি ব্লেজারের ঝুট ৫০ থেকে ১৫০, জ্যাকেট তৈরির ঝুট ১০০ থেকে ১৫০, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের ঝুট ৮০ থেকে ১৫০, জিনসের ঝুট ৭০ থেকে ১৫০, জিপার ৮০ থেকে ১০০, সুতা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে কেনা হয়।
ওই সব পোশাক কারখানার মালিকেরা জানান, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব কারখানাকে সরকার যদি নির্দিষ্ট জায়গা দিয়ে একটি পল্লি করে দেয়, তাহলে এই শিল্পের সম্প্রসারণ ঘটত এবং রপ্তানি আয় বাড়ত।
শহরের মুন্সীপাড়ার গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘দুটি সেলাই মেশিন নিয়ে নিজের ঘরেই ঝুট কাপড় থেকে পোশাক তৈরি শুরু করেছিলাম। ওই দুটি মেশিনই আমর ভাগ্য খুলে দেয়। এখন আমার ঘরে মেশিন আছে ২৫টি। এতে মাসে আয় হয় ৩৫ হাজার টাকার মতো।’
ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, আগাম শীত উপলক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। আশা করছেন, এবার তাঁদের ব্যবসা মোটামুটি ভালো হবে।
রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি আখতার হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনায় সেভাবে রপ্তানির আদেশ না পাওয়ায় সৈয়দপুর শহরের দুই শতাধিক ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি এসব কারখানা আবার চালু হতে শুরু করেছে। কারণ অর্ডার আসছে। শীত সামনে রেখে স্থানীয় ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানাগুলো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।’
আখতার হোসেন খান আরও বলেন, ‘ঝুট কাপড় চার-পাঁচ হাত ঘুরে আমাদের কাছে আসে। সরাসরি গার্মেন্টস থেকে কিনতে পারলে আরও কমে কিনতে পারতাম। গত বছরও বাচ্চাদের জ্যাকেট তৈরি করা যেত ১০০ টাকায়। এখন খরচ হয় ১৫০ টাকা। বড়দের জ্যাকেট তৈরিতে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ পড়ে।’
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৪ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৪ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৫ ঘণ্টা আগে