নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রত্যন্ত পল্লিতে ঋণের চাপে উধাও হওয়া সেই তিন পরিবারের মধ্যে আরও একটি পরিবার ফিরে এসেছে। এ নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি পরিবার ফিরে এল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়িতে ফিরে আসেন হোটেল ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র সূত্রধর (৪৩), তাঁর স্ত্রী ছবি রানী এবং ছেলে মানিক (১৭)।
এর আগে উধাও হওয়ার ১৭ দিন পর গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমল চন্দ্র সূত্রধরের পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন সদস্য নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে ওই দিন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহকর্তা কমল চন্দ্র সূত্রধর আসেননি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ফেরেন তিনি। বর্তমানে বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর, তাঁর স্ত্রী ভারতী রাণী সূত্রধর (৪২), তাঁর দুই ছেলে গোপাল চন্দ্র সূত্রধর (২৫) ও খোকন চন্দ্র সূত্রধর (২১), পুত্রবধূ শ্যামলী রাণী সূত্রধর (২২), সাগরিকা রাণী (১৯) এবং নাতি সাগর চন্দ্র সূত্রধর (৫) বাড়িতে অবস্থান করছেন।
তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত হদিস মেলেনি তাঁদের ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র সূত্রধরের। তিনি ধান, চাল, গমের পাইকারি ব্যবসায়ী।
আজ বেলা ১১টায় সরেজমিনে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ভুজারীপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর ও মেজো ভাই পরিমল চন্দ্র সূত্রধর বাড়ির বাইরে চিন্তিত মনে বসে আছেন। এ সময় কমল চন্দ্র সূত্রধর ও পরিমল চন্দ্র সূত্রধরের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধির।
মেজো ভাই হোটেল ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তাঁর ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র সূত্রধর অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁর ভাইয়ের ব্যাংক, এনজিও ও ব্যক্তি পর্যায়ে নেওয়া ঋণের অনেক জায়গায় জামিনদার কিংবা সাক্ষী হন তিনি। আর এ অবস্থায় বিভিন্ন জনের ঋণ ও ধারদেনার চাপে ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র পরিবার পরিজন নিয়ে তাঁদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ২৩ আগস্ট গভীর রাতে নিজ বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দেন। আর ওই রাতে ছোট ভাই নির্মলকে বাড়িতে না পেয়ে তিনিও (পরিমল) পরিবার পরিজন নিয়ে ভাইয়ের পাওনাদারের ভয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে চলে যান। গত কয়েক দিন পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন তিনি। আর একই কারণে তাঁর বড় ভাই হোটেল শ্রমিক কমল চন্দ্র সূত্রধরও পরিবার নিয়ে নওগাঁয় শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পরিমল চন্দ্র আরও জানান, ছোট ভাইয়ের পাওনাদারদের ভয়ে বাড়িঘর ফেলে চলে যাওয়ার পর দোকানের কর্মচারীরাই কয়েক দিন তাঁর হোটেল পরিচালনা করেন। কিন্তু পরে তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে হোটেল ঘরের মালিক অন্যের কাছে ঘরটি ভাড়ায় দেন। ফলে বাড়িতে ফিরলেও ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। হোটেলে তাঁর অনেক টাকার মালামাল রয়েছে। তিনি ও তাঁর বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধরের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ এটি। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ দিন ধরে দুটি পরিবারের ১০ জন সদস্য অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।
এ সময় পরিমল তাঁদের অসহায়ত্বের কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। বাকরুদ্ধ হয়ে কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার কথা শুরু করেন।
এদিকে, দুই পরিবার ফিরে আসার খবরে ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র সূত্রধরের পাওনাদারেরা প্রতিদিন বাড়িতে আসছেন। তাঁরা নির্মল চন্দ্র সূত্রধরের হদিস জানতে চাইছেন। সেই সঙ্গে নানা রকম ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন পরিমল চন্দ্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ভুজারীপাড়ার তিন ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর, পরিমল চন্দ্র সূত্রধর ও নির্মল চন্দ্র সূত্রধর। বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর পেশায় হোটেল শ্রমিক। আর মেজো ভাই পরিমল হোটেল ব্যবসা করেন। ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র ধান, গম, ভুট্টার পাইকারি ব্যবসায়ী। নির্মল চন্দ্র সূত্রধর যমুনা ব্যাংকসহ দুটি ব্যাংক, কয়েকটি এনজিও এবং স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ ও ধার নিয়েছেন। তাঁর ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ঋণের চাপে গত ২৩ আগস্ট তিন সহোদর পরিবারের ১৫ সদস্য নিয়ে বাড়িঘরে তালা দিয়ে রাতের আঁধার গা-ঢাকা দেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্রত্যন্ত পল্লিতে ঋণের চাপে উধাও হওয়া সেই তিন পরিবারের মধ্যে আরও একটি পরিবার ফিরে এসেছে। এ নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি পরিবার ফিরে এল। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়িতে ফিরে আসেন হোটেল ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র সূত্রধর (৪৩), তাঁর স্ত্রী ছবি রানী এবং ছেলে মানিক (১৭)।
এর আগে উধাও হওয়ার ১৭ দিন পর গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমল চন্দ্র সূত্রধরের পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন সদস্য নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে ওই দিন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহকর্তা কমল চন্দ্র সূত্রধর আসেননি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ফেরেন তিনি। বর্তমানে বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর, তাঁর স্ত্রী ভারতী রাণী সূত্রধর (৪২), তাঁর দুই ছেলে গোপাল চন্দ্র সূত্রধর (২৫) ও খোকন চন্দ্র সূত্রধর (২১), পুত্রবধূ শ্যামলী রাণী সূত্রধর (২২), সাগরিকা রাণী (১৯) এবং নাতি সাগর চন্দ্র সূত্রধর (৫) বাড়িতে অবস্থান করছেন।
তবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত হদিস মেলেনি তাঁদের ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র সূত্রধরের। তিনি ধান, চাল, গমের পাইকারি ব্যবসায়ী।
আজ বেলা ১১টায় সরেজমিনে সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ভুজারীপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর ও মেজো ভাই পরিমল চন্দ্র সূত্রধর বাড়ির বাইরে চিন্তিত মনে বসে আছেন। এ সময় কমল চন্দ্র সূত্রধর ও পরিমল চন্দ্র সূত্রধরের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিনিধির।
মেজো ভাই হোটেল ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে তাঁর ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র সূত্রধর অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁর ভাইয়ের ব্যাংক, এনজিও ও ব্যক্তি পর্যায়ে নেওয়া ঋণের অনেক জায়গায় জামিনদার কিংবা সাক্ষী হন তিনি। আর এ অবস্থায় বিভিন্ন জনের ঋণ ও ধারদেনার চাপে ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র পরিবার পরিজন নিয়ে তাঁদের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ২৩ আগস্ট গভীর রাতে নিজ বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দেন। আর ওই রাতে ছোট ভাই নির্মলকে বাড়িতে না পেয়ে তিনিও (পরিমল) পরিবার পরিজন নিয়ে ভাইয়ের পাওনাদারের ভয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মেয়ের বাড়িতে চলে যান। গত কয়েক দিন পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন তিনি। আর একই কারণে তাঁর বড় ভাই হোটেল শ্রমিক কমল চন্দ্র সূত্রধরও পরিবার নিয়ে নওগাঁয় শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পরিমল চন্দ্র আরও জানান, ছোট ভাইয়ের পাওনাদারদের ভয়ে বাড়িঘর ফেলে চলে যাওয়ার পর দোকানের কর্মচারীরাই কয়েক দিন তাঁর হোটেল পরিচালনা করেন। কিন্তু পরে তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে হোটেল ঘরের মালিক অন্যের কাছে ঘরটি ভাড়ায় দেন। ফলে বাড়িতে ফিরলেও ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। হোটেলে তাঁর অনেক টাকার মালামাল রয়েছে। তিনি ও তাঁর বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধরের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ এটি। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ দিন ধরে দুটি পরিবারের ১০ জন সদস্য অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন।
এ সময় পরিমল তাঁদের অসহায়ত্বের কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। বাকরুদ্ধ হয়ে কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার কথা শুরু করেন।
এদিকে, দুই পরিবার ফিরে আসার খবরে ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র সূত্রধরের পাওনাদারেরা প্রতিদিন বাড়িতে আসছেন। তাঁরা নির্মল চন্দ্র সূত্রধরের হদিস জানতে চাইছেন। সেই সঙ্গে নানা রকম ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন পরিমল চন্দ্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ভুজারীপাড়ার তিন ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর, পরিমল চন্দ্র সূত্রধর ও নির্মল চন্দ্র সূত্রধর। বড় ভাই কমল চন্দ্র সূত্রধর পেশায় হোটেল শ্রমিক। আর মেজো ভাই পরিমল হোটেল ব্যবসা করেন। ছোট ভাই নির্মল চন্দ্র ধান, গম, ভুট্টার পাইকারি ব্যবসায়ী। নির্মল চন্দ্র সূত্রধর যমুনা ব্যাংকসহ দুটি ব্যাংক, কয়েকটি এনজিও এবং স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ ও ধার নিয়েছেন। তাঁর ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকা বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ঋণের চাপে গত ২৩ আগস্ট তিন সহোদর পরিবারের ১৫ সদস্য নিয়ে বাড়িঘরে তালা দিয়ে রাতের আঁধার গা-ঢাকা দেন।
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসের চাপায় জাহিদুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর করে চালককে পিটুনি দিয়েছে। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৮ মিনিট আগেঅবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ নির্বাচন চায় কমনওয়েলথ, যেখানে এ দেশের জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব লুইস গাব্রিয়েল ফ্রান্সেসসি।
৪৪ মিনিট আগেযশোরে ঝটিকা মিছিল থেকে যুবলীগের তিন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কানাইতলা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর-১ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা ও আসাদুজ্জামান বাবলুসহ আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির ৩৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০-২৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে গতকাল সোমবার গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা ও গঙ্গাচড়া বিএনপি পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুটপ
১ ঘণ্টা আগে