রংপুর প্রতিনিধি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ‘জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে এক মিনিটের জন্যও দেখতে চায় না। হাসিনার জায়গায় অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করত। হাসিনা যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, সবচেয়ে ভালো। আর না করলে আমরা ঘরে ফিরে যাব না, আন্দোলন থেকে পিছু হটব না।’
আজ শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়।
শাহজাহান বলেন, ‘হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য যা যা করা দরকার, বিএনপির কাছে মানুষ তা প্রত্যাশা করে। আমি বলছি, আন্দোলন ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত একপর্যায়ে ছিল। ফখরুল ভাই কারাগারে ছিলেন, তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাই নাই। হাসিনা যদি স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ না করেন, তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা পর্যন্ত বিএনপি জনগণের সঙ্গে আন্দোলনে থাকবে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ তুলে শাহজাহান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সামনে আরও একটি দুর্ভিক্ষ আসছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। তাই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য আগেই এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’
সমাবেশে খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশকে ঢোকানোর মতো বড় কারাগার আপনাদের নাই। একজনকে নিলে ১০০ জন তৈরি হবে, হিসাব করে চলবেন। আর বেশি দিন নেই এই অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারকে গদি থেকে নামানোর।’
‘চিন্তা করেন কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় পালাবেন। আমরা আপনাদের কিছু করব না। দেশের মানুষ আপনাদের কী করবে আমরা তা গ্যারান্টি দিতে পারব না। যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, বিএনপির নাকি আন্দোলনের শক্তি নেই। তাঁরা আজ কোথায়? বিএনপির শক্তি সাধারণ মানুষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হলো বিএনপির শক্তি।’
এ ছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা।
এর আগে সকাল থেকে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। বিভাগের আট জেলা, জেলার আট উপজেলা ও ৩৩টি ওয়ার্ডের হাজারো নেতা-কর্মী সড়কের দেড় কিলোমিটার অংশে অবস্থান নেন। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়ে পথচারী ও নগরবাসী।
এদিকে একই সময়ে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও সফুরা বেগমসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, দুই দলের সমাবেশ ঘিরে পুরো শহর এবং আশপাশ এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ‘জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে, এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে এক মিনিটের জন্যও দেখতে চায় না। হাসিনার জায়গায় অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করত। হাসিনা যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, সবচেয়ে ভালো। আর না করলে আমরা ঘরে ফিরে যাব না, আন্দোলন থেকে পিছু হটব না।’
আজ শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়।
শাহজাহান বলেন, ‘হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য যা যা করা দরকার, বিএনপির কাছে মানুষ তা প্রত্যাশা করে। আমি বলছি, আন্দোলন ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত একপর্যায়ে ছিল। ফখরুল ভাই কারাগারে ছিলেন, তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাই নাই। হাসিনা যদি স্বেচ্ছায় পদ ত্যাগ না করেন, তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করা পর্যন্ত বিএনপি জনগণের সঙ্গে আন্দোলনে থাকবে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ তুলে শাহজাহান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ১৯৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সামনে আরও একটি দুর্ভিক্ষ আসছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই। তাই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য আগেই এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’
সমাবেশে খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সারা বাংলাদেশকে ঢোকানোর মতো বড় কারাগার আপনাদের নাই। একজনকে নিলে ১০০ জন তৈরি হবে, হিসাব করে চলবেন। আর বেশি দিন নেই এই অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারকে গদি থেকে নামানোর।’
‘চিন্তা করেন কোন রাস্তা দিয়ে কোথায় পালাবেন। আমরা আপনাদের কিছু করব না। দেশের মানুষ আপনাদের কী করবে আমরা তা গ্যারান্টি দিতে পারব না। যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, বিএনপির নাকি আন্দোলনের শক্তি নেই। তাঁরা আজ কোথায়? বিএনপির শক্তি সাধারণ মানুষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হলো বিএনপির শক্তি।’
এ ছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতারা।
এর আগে সকাল থেকে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। বিভাগের আট জেলা, জেলার আট উপজেলা ও ৩৩টি ওয়ার্ডের হাজারো নেতা-কর্মী সড়কের দেড় কিলোমিটার অংশে অবস্থান নেন। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়ে পথচারী ও নগরবাসী।
এদিকে একই সময়ে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও সফুরা বেগমসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, দুই দলের সমাবেশ ঘিরে পুরো শহর এবং আশপাশ এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বারি) ফুটবল খেলা শেষে স্লেজিং (কটু কথা) করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষক-সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গত মাসে দুই জাহাজে আগুনের পেছনে কোনো নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জাহাজ দুটির ক্রুদের অদক্ষতা, অবহেলা ও যথাযথ প্রস্তুতির অভাবের কথা উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।
২৭ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কালের কণ্ঠের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখকে মারধর করার অভিযোগে শাখা ছাত্রদল থেকে মাশফিকুল রাইনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে
২৮ মিনিট আগেমুক্তির দাবিতে খুলনা জেলা কারাগারে অনশনরত দুই জঙ্গির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আট দিন ধরে কারা হাসপাতালে রেখে স্যালাইনের মাধ্যমে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
৩৮ মিনিট আগে