প্রতিনিধি
লালমনিরহাট: পাট খেতে জেলেখা বেগমের লাশ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। পরকিয়া প্রেমিকের হাতেই খুন হন তিনি।
ঘটনার পরদিন করা মামলার তদন্তকালে জেলেখার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের কললিস্ট দেখে সদর উপজেলার তিস্তা পাঙ্গাটারী গ্রামের দিনেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে বিধান চন্দ্র বর্মন (২৬) ও সুদর্শন বর্মনের ছেলে সুকুমার চন্দ্র বর্মন ওরফে হরতালকে (২১) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে রহস্য।
আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, সদর থানার ওসি শাহা আলম সহ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলেখার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে কুড়িগ্রাম জেলার মনজুরুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর জানতে পারেন– তিনি ৬ষ্ঠ স্ত্রী। রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর পাশের গ্রামের বিধান চন্দ্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিধান চন্দ্র তাঁর স্ত্রীকে ঘন ঘন বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে জেলেখাকে নিয়ে রাত্রিযাপন করতেন।
ঘটনার দিন গত ২২ জুন রাতে জেলেখা তাঁর মাকে স্বামী মনজুরুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম যাওয়ার কথা বলে বের হন। কিন্তু আসলে বিধান চন্দ্রের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঘটনার দিন আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলেখা তাঁকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বিধান চন্দ্র নানা কথায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ড শুরু হয়। একপর্যায়ে জেলেখা চিৎকার করে লোক জড়ো করার হুমকি দিলে বিধান চন্দ্র ঘরে থাকা লাঠি দিয়ে জেলেখার মাথার পেছন দিকে আঘাত করেন। পরে দা দিয়ে কপালে সজোরে কোপ মারেন এবং শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। খাটের নিচে লাশ রেখে সকালে কাজে যান তিনি। সহকর্মী সুকুমার চন্দ্র বর্মন ওরফে হরতালকে নিয়ে বাড়ীতে আসেন এবং দুজনে মিলে ২৩ জুন গভীর রাতে বাড়ি থেকে কিছু দূরে পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে আসেন। পরদিন লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর দুদিন পরই যেতেই ২৭ জুন দুপুরে হত্যার সঙ্গে জড়িত বিধান চন্দ্র ও সুকুমার চন্দ্র বর্মন ওরফে হরতালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বিধান চন্দ্র জেলেখাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। বিধান চন্দ্র রায়ের সঙ্গে জেলেখার পরিচয় হয় ফোনে। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলে। বিধান চন্দ্র ও জেলেখার বাড়ি একই ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রামে।
লালমনিরহাট: পাট খেতে জেলেখা বেগমের লাশ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। পরকিয়া প্রেমিকের হাতেই খুন হন তিনি।
ঘটনার পরদিন করা মামলার তদন্তকালে জেলেখার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরের কললিস্ট দেখে সদর উপজেলার তিস্তা পাঙ্গাটারী গ্রামের দিনেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে বিধান চন্দ্র বর্মন (২৬) ও সুদর্শন বর্মনের ছেলে সুকুমার চন্দ্র বর্মন ওরফে হরতালকে (২১) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে আসে রহস্য।
আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামাল, সদর থানার ওসি শাহা আলম সহ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলেখার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে কুড়িগ্রাম জেলার মনজুরুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর জানতে পারেন– তিনি ৬ষ্ঠ স্ত্রী। রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর পাশের গ্রামের বিধান চন্দ্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিধান চন্দ্র তাঁর স্ত্রীকে ঘন ঘন বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে জেলেখাকে নিয়ে রাত্রিযাপন করতেন।
ঘটনার দিন গত ২২ জুন রাতে জেলেখা তাঁর মাকে স্বামী মনজুরুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম যাওয়ার কথা বলে বের হন। কিন্তু আসলে বিধান চন্দ্রের বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঘটনার দিন আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলেখা তাঁকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বিধান চন্দ্র নানা কথায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ড শুরু হয়। একপর্যায়ে জেলেখা চিৎকার করে লোক জড়ো করার হুমকি দিলে বিধান চন্দ্র ঘরে থাকা লাঠি দিয়ে জেলেখার মাথার পেছন দিকে আঘাত করেন। পরে দা দিয়ে কপালে সজোরে কোপ মারেন এবং শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। খাটের নিচে লাশ রেখে সকালে কাজে যান তিনি। সহকর্মী সুকুমার চন্দ্র বর্মন ওরফে হরতালকে নিয়ে বাড়ীতে আসেন এবং দুজনে মিলে ২৩ জুন গভীর রাতে বাড়ি থেকে কিছু দূরে পাট ক্ষেতে লাশ ফেলে আসেন। পরদিন লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর দুদিন পরই যেতেই ২৭ জুন দুপুরে হত্যার সঙ্গে জড়িত বিধান চন্দ্র ও সুকুমার চন্দ্র বর্মন ওরফে হরতালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বিধান চন্দ্র জেলেখাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। বিধান চন্দ্র রায়ের সঙ্গে জেলেখার পরিচয় হয় ফোনে। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত কথাবার্তা চলে। বিধান চন্দ্র ও জেলেখার বাড়ি একই ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রামে।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৮ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৯ ঘণ্টা আগে