রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ‘বকশিশ সিন্ডিকেটের’ দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ১৬ জন কর্মচারীকে বদলি করেন পরিচালক। এবার এই পরিচালকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন কর্মচারীরা। একপর্যায়ে পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ সমাবেশে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীন হাসান বলেন, ‘পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা অজুহাতে কর্মচারীদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। লাগামহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পরিচালক আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা পকেটে ভরেছেন। এখন তাঁর কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই আমাদের বদলি বা চাকরিচ্যুতির ভয় দেখান।’
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির (১৬-২০) সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন, জেলা শাখার সভাপতি অক্সিজেন বাবু, রমেকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কর্মচারীরা পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। তবে পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।
কর্মচারীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের অনিয়ম, টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়ে গেছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যে “চার খলিফার” হাতে বন্দী, সেটাও শেষ হতে চলেছে। তাই আমাকে সরাতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
পরিচালক শরীফুল হাসান বলেন, ‘আমার নিরাপত্তার কারণে সরকার হয়তো আমাকে সরিয়ে নেবে। আমি চলে যাওয়ার পর এখানে মারামারি-খুনোখুনি হবে। ২৫ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নেওয়া হবে। অতীতে যা কিছু ঘটেছে, সব হবে। পৃথিবীর কেউই এ হাসপাতাল সামলাতে পারবে না। এটা আমার অবজারভেশন।’
এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কিছু ইন্টার্নও জড়িত বলে দাবি করেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক বিপথগামী। কিন্তু তারেক, রিয়াদ—এদের ইন্টার্ন শেষ হওয়ার পরও ছাত্রদের সঙ্গে থেকে ছাত্রদের পড়াশোনায় ডিস্টার্ব করে। নভেল নামের এক ছেলে চাঁদাবাজি করে। আমার কাছ থেকেও তারা বহুবার চাঁদা নিয়েছে।’
শরীফুল হাসান বলেন, ‘আশিকুর রহমান নয়ন (কর্মচারী) খুনের মামলার আসামি। সে জামিনে বাইরে এসে ইন্টার্ন ডাক্তারদের সঙ্গে রাতের বেলা নেশা করে, টাকাপয়সা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে। তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলতে চায় তাদের মারধর করে। কয়েক দিন আগে একজন ওয়ার্ড মাস্টারকে মারধর করা হয়। সে জামিনে আছে। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যেসব কর্মচারী সাসপেন্ডেড, বিধি হচ্ছে তারা হাজিরা দিয়ে অফিস ত্যাগ করবে। তারা কোনো দায়িত্ব পালন করবে না। কিন্তু এই নয়ন সাসপেন্ডেড অবস্থায় হাসপাতালের কাজে হস্তক্ষেপ করে। এ নিয়ে আমি ৭ জানুয়ারি একটি চিঠি ইস্যু করি। এরপরই তারা উঠেপড়ে লেগেছে।’
এদিকে পুরো সিন্ডিকেট এবং তাঁর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভের পেছনে রমেকের সহকারী অধ্যাপক চন্দন কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ করেন হাসপাতালের পরিচালক শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি টেন্ডারে তিনি হস্তক্ষেপ করেন। সুশৃঙ্খলভাবে আইন মেনে কোনো টেন্ডার করতে চান না। তাদের সঙ্গে সাত দিন ধরে মিটিং করছে আমাকে দমানোর জন্য।’
এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিকদের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন শরীফুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, রংপুরে পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে, রাজনীতিবিদরা আছেন, তারপরও কী শক্তির বলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের হাতে পুরো হাসপাতাল জিম্মি হয়ে থাকে!’
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ‘বকশিশ সিন্ডিকেটের’ দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ১৬ জন কর্মচারীকে বদলি করেন পরিচালক। এবার এই পরিচালকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন কর্মচারীরা। একপর্যায়ে পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ সমাবেশে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি শাহীন হাসান বলেন, ‘পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নানা অজুহাতে কর্মচারীদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। লাগামহীন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পরিচালক আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা পকেটে ভরেছেন। এখন তাঁর কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই আমাদের বদলি বা চাকরিচ্যুতির ভয় দেখান।’
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির (১৬-২০) সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান নয়ন, জেলা শাখার সভাপতি অক্সিজেন বাবু, রমেকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কর্মচারীরা পরিচালকের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। তবে পরিচালক এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।
কর্মচারীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের অনিয়ম, টেন্ডারবাজি বন্ধ হয়ে গেছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যে “চার খলিফার” হাতে বন্দী, সেটাও শেষ হতে চলেছে। তাই আমাকে সরাতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
পরিচালক শরীফুল হাসান বলেন, ‘আমার নিরাপত্তার কারণে সরকার হয়তো আমাকে সরিয়ে নেবে। আমি চলে যাওয়ার পর এখানে মারামারি-খুনোখুনি হবে। ২৫ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নেওয়া হবে। অতীতে যা কিছু ঘটেছে, সব হবে। পৃথিবীর কেউই এ হাসপাতাল সামলাতে পারবে না। এটা আমার অবজারভেশন।’
এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কিছু ইন্টার্নও জড়িত বলে দাবি করেন হাসপাতালের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক বিপথগামী। কিন্তু তারেক, রিয়াদ—এদের ইন্টার্ন শেষ হওয়ার পরও ছাত্রদের সঙ্গে থেকে ছাত্রদের পড়াশোনায় ডিস্টার্ব করে। নভেল নামের এক ছেলে চাঁদাবাজি করে। আমার কাছ থেকেও তারা বহুবার চাঁদা নিয়েছে।’
শরীফুল হাসান বলেন, ‘আশিকুর রহমান নয়ন (কর্মচারী) খুনের মামলার আসামি। সে জামিনে বাইরে এসে ইন্টার্ন ডাক্তারদের সঙ্গে রাতের বেলা নেশা করে, টাকাপয়সা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে। তার বিরুদ্ধে যারা কথা বলতে চায় তাদের মারধর করে। কয়েক দিন আগে একজন ওয়ার্ড মাস্টারকে মারধর করা হয়। সে জামিনে আছে। তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যেসব কর্মচারী সাসপেন্ডেড, বিধি হচ্ছে তারা হাজিরা দিয়ে অফিস ত্যাগ করবে। তারা কোনো দায়িত্ব পালন করবে না। কিন্তু এই নয়ন সাসপেন্ডেড অবস্থায় হাসপাতালের কাজে হস্তক্ষেপ করে। এ নিয়ে আমি ৭ জানুয়ারি একটি চিঠি ইস্যু করি। এরপরই তারা উঠেপড়ে লেগেছে।’
এদিকে পুরো সিন্ডিকেট এবং তাঁর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভের পেছনে রমেকের সহকারী অধ্যাপক চন্দন কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ করেন হাসপাতালের পরিচালক শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি টেন্ডারে তিনি হস্তক্ষেপ করেন। সুশৃঙ্খলভাবে আইন মেনে কোনো টেন্ডার করতে চান না। তাদের সঙ্গে সাত দিন ধরে মিটিং করছে আমাকে দমানোর জন্য।’
এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিকদের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন শরীফুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না, রংপুরে পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে, রাজনীতিবিদরা আছেন, তারপরও কী শক্তির বলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের হাতে পুরো হাসপাতাল জিম্মি হয়ে থাকে!’
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৭ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৭ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৮ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৮ ঘণ্টা আগে