তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
সবজির বীজ উৎপাদন করে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে পীরগাছা উপজেলার পাঁচ শতাধিক কৃষকের। কয়েক বছর আগেও যাঁরা স্থানীয় বাজার থেকে বীজ কিনে চাষাবাদ করতেন তাঁরা এখন নিজেরাই বীজ তৈরির কারিগর। চাষ করছেন বীজ ফসল। ফলে দিন দিন বেড়ে চলেছে আদর্শ বীজ তৈরির কারখানা।
সম্প্রতি উপজেলার বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। দিগন্তজুড়ে সবজির মাঠ। এসব মাঠে বাঁশের মাচায় ঝুলছে করলা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, লাউ, বরবটি আর মিষ্টি কুমড়ার মতো নানা ফসল। কৃষকেরা জানান, এসব বীজ ফসল। তাই পরিপক্ব না হলে তোলা যাবে না। ভালো বীজ পেতে হলে সঠিক পরিচর্যা ও পরিপক্ব করে তুলতে হবে।
বর্তমানে পীরগাছায় সবজি বীজের পাশাপাশি ভালো মানের ধান বীজও উৎপাদন করা হচ্ছে। যা প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করা হয়। কৃষকেরা লাভ ভালো হওয়ায় দিন দিন বীজ উৎপাদনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
পীরগাছা উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, উপজেলা সদর, পারুল, ইটাকুমারী, অন্নদানগর, কান্দি ও কৈকুড়ীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বীজ উৎপাদনকারী পাঁচ শতাধিক চাষি রয়েছেন। এর মধ্যে পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ, শরিফ সুন্দর ও সেচাকান্দি এলাকায় বীজ চাষ বেশি হয়। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ চাষ করা হয়েছে।
কথা হয় নাগদাহ গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার খাঁনের সঙ্গে। তিনি জানান, বাজারে নানা কোম্পানির বীজ পাওয়া যায়। কিন্তু রোপণের পর সে রকম ফলন পাওয়া যায় না। অভিযোগ দিলে বলে মাটির দোষ। তাই এখন নিজেই বীজ উৎপাদন করে পরের বছর বপন করেন।
বিএডিসির সফল বীজ উৎপাদনকারী চাষি মনতাজুর রহমান বলেন, ‘আমি ১৩ বছর ধরে বীজ উৎপাদন করি। একসময় মানুষের কাছে কিনতাম। এখন মানুষ আমার কাছে কেনেন। বীজ উৎপাদন করে আমি অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান।’
লাউ বীজ উৎপাদন করেন জিয়াউর রহমান। তিনি নিজের ৬০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করে বীজ সংগ্রহ করেছেন। এখন শুকিয়ে বীজগুলো কোম্পানিতে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। এবারে তাঁর জমিতে প্রায় ৩০০ কেজি বীজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। একটি কোম্পানির কাছে এগুলো বিক্রি করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাবেন বলে আশা করছেন। জমিতে তাঁর খরচ হয়েছিল মাত্র ৩০ হাজার টাকা।
কৃষকেরা জানান, বিএডিসির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি তাঁদের ভিত্তি বীজ সরবরাহ করার পাশাপাশি ফিল্ড সুপারভাইজার দিয়ে পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে কৃষকদের উৎপাদিত বীজগুলোর গুণগত মান নির্ণয় করে কোম্পানি নিজে কিনে নেয়।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম জানান, অধিক ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বীজ উৎপাদনে অনেক উৎসাহী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান বলেন, দিন দিন রংপুরে সবজি চাষাবাদ বাড়ছে। সেই সঙ্গে সবজির বীজ উৎপাদনকারী কৃষকের সংখ্যাও বাড়ছে। এসব কৃষকের তালিকা করে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সবজির বীজ উৎপাদন করে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে পীরগাছা উপজেলার পাঁচ শতাধিক কৃষকের। কয়েক বছর আগেও যাঁরা স্থানীয় বাজার থেকে বীজ কিনে চাষাবাদ করতেন তাঁরা এখন নিজেরাই বীজ তৈরির কারিগর। চাষ করছেন বীজ ফসল। ফলে দিন দিন বেড়ে চলেছে আদর্শ বীজ তৈরির কারখানা।
সম্প্রতি উপজেলার বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। দিগন্তজুড়ে সবজির মাঠ। এসব মাঠে বাঁশের মাচায় ঝুলছে করলা, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, লাউ, বরবটি আর মিষ্টি কুমড়ার মতো নানা ফসল। কৃষকেরা জানান, এসব বীজ ফসল। তাই পরিপক্ব না হলে তোলা যাবে না। ভালো বীজ পেতে হলে সঠিক পরিচর্যা ও পরিপক্ব করে তুলতে হবে।
বর্তমানে পীরগাছায় সবজি বীজের পাশাপাশি ভালো মানের ধান বীজও উৎপাদন করা হচ্ছে। যা প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করা হয়। কৃষকেরা লাভ ভালো হওয়ায় দিন দিন বীজ উৎপাদনে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
পীরগাছা উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, উপজেলা সদর, পারুল, ইটাকুমারী, অন্নদানগর, কান্দি ও কৈকুড়ীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বীজ উৎপাদনকারী পাঁচ শতাধিক চাষি রয়েছেন। এর মধ্যে পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ, শরিফ সুন্দর ও সেচাকান্দি এলাকায় বীজ চাষ বেশি হয়। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ চাষ করা হয়েছে।
কথা হয় নাগদাহ গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার খাঁনের সঙ্গে। তিনি জানান, বাজারে নানা কোম্পানির বীজ পাওয়া যায়। কিন্তু রোপণের পর সে রকম ফলন পাওয়া যায় না। অভিযোগ দিলে বলে মাটির দোষ। তাই এখন নিজেই বীজ উৎপাদন করে পরের বছর বপন করেন।
বিএডিসির সফল বীজ উৎপাদনকারী চাষি মনতাজুর রহমান বলেন, ‘আমি ১৩ বছর ধরে বীজ উৎপাদন করি। একসময় মানুষের কাছে কিনতাম। এখন মানুষ আমার কাছে কেনেন। বীজ উৎপাদন করে আমি অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান।’
লাউ বীজ উৎপাদন করেন জিয়াউর রহমান। তিনি নিজের ৬০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করে বীজ সংগ্রহ করেছেন। এখন শুকিয়ে বীজগুলো কোম্পানিতে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন। এবারে তাঁর জমিতে প্রায় ৩০০ কেজি বীজ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। একটি কোম্পানির কাছে এগুলো বিক্রি করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাবেন বলে আশা করছেন। জমিতে তাঁর খরচ হয়েছিল মাত্র ৩০ হাজার টাকা।
কৃষকেরা জানান, বিএডিসির পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানি তাঁদের ভিত্তি বীজ সরবরাহ করার পাশাপাশি ফিল্ড সুপারভাইজার দিয়ে পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে কৃষকদের উৎপাদিত বীজগুলোর গুণগত মান নির্ণয় করে কোম্পানি নিজে কিনে নেয়।
পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম জানান, অধিক ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা বীজ উৎপাদনে অনেক উৎসাহী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান বলেন, দিন দিন রংপুরে সবজি চাষাবাদ বাড়ছে। সেই সঙ্গে সবজির বীজ উৎপাদনকারী কৃষকের সংখ্যাও বাড়ছে। এসব কৃষকের তালিকা করে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে (৫০) হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। তবে পুলিশের তদন্তে ভিন্ন বিষয় উঠে আসে। পুলিশ বলেছে, গৃহবধূ হত্যায় ছেলে নয়, বাড়ির ভাড়াটি জড়িত। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগেসিলেটে প্রায় আড়াই কোটি টাকার চোরাচালানি পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্র ও আজ শনিবার সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব আটক করা হয়।
২২ মিনিট আগেগাজীপুরের কাশিমপুরে বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেতনের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকেরা।
৩৮ মিনিট আগেবারপাইকা গ্রামের জহরলাল রবি দাস তাঁর ছেলে আকাশের বিয়ের নিমন্ত্রণ দিতে চাচাতো ভাই বাবুল রবি দাসের বাড়ি যান। আগের একটি ঘটনায় ক্ষোভের কারণে বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিমন্ত্রণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে জহরলাল ও তাঁর ছেলে আকাশ বাবুলের পরিবারের
১ ঘণ্টা আগে