দিনাজপুর প্রতিনিধি
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় কাবু উত্তরের জেলা দিনাজপুরের মানুষ। অতিরিক্ত শীতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু জেলায় প্রাথমিকের পাঠদান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক শাখার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ নির্দেশনা অমান্য করেই খোলা রাখা হয়েছে।
খোলা রাখার তালিকায় বাদ যায়নি দিনাজপুর জিলা স্কুল, দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এমনকি জেলা প্রশাসন পরিচালিত দিনাজপুর কালেক্টরেট উচ্চবিদ্যালয়ও।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, করোনাকালীন দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল, তাই তিনি এখন বিদ্যালয়গুলো চালাতে চান।
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখার অনুরোধ করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। গত এক সপ্তাহে এ জেলায় ৪ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা দুই সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহসহ তীব্র শীত বিরাজ করছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত দুই দিনে কুয়াশা কিছুটা কমলেও বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস। দুপুরের দিকে কিছু সময় সূর্যের আলোর দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ার কারণে রোদ অনুভূত হচ্ছে না। কাহিল হয়ে পড়েছেন শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। এ অবস্থায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে খুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করছে।
সোমবার সকালে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায়, কোথাও ক্লাস চলছে, কোথাও চলছে প্রাত্যহিক সমাবেশ। সকাল পৌনে ১১টায় কালেক্টরেট স্কুলে প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) করতে দেখা যায়।
স্কুলগেটে অপেক্ষমাণ অভিভাবক কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে এমন ঠান্ডায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কথা। তারপরও স্কুল খোলা। এক রকম জোর করেই ছেলেকে স্কুলে আনলাম। এখন তো পরীক্ষা নেই, পারফরমেন্সের ওপর ফলাফল হয়। না হলে তো ছেলে অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাবে।’
শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় স্কুলে আসার পথে কথা হয় সেন্ট ফিলিপস উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা আবু তালেবের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই শীতে বের হওয়া যে কী কষ্টের ভাই! এক সপ্তাহ স্কুলটা বন্ধ রাখলে কী হবে? সরকার তো ঘোষণা দিছে, তারপরও স্কুল খোলা। কী আর করার আছে বলেন!’
সোমবার সকাল থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। বিষয়টিতে তারা বিব্রত। তবে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকেরা কোনো নির্দেশনাও পাননি বলে জানিয়েছেন।
দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা হাসিনা বানু বিদ্যালয় খোলা রয়েছে জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিভাগীয় উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার সমন্বয় করবেন। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।’
জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার চিরিরবন্দর সরকারি মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজ সোমবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি নামলেও আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। তাই স্কুল খোলা রেখেছি।’
বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী জানান, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম, চার ভাগের এক ভাগ।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে তাপমাত্রা কম ছিল, পরে বাড়ছে। ডিডির (আঞ্চলিক উপপরিচালক) সঙ্গে কথা বলেছি, সিদ্ধান্ত নেব। স্কুল তো অনেক দিন বন্ধ ছিল, আমি স্কুলগুলো চালাতে চাচ্ছি।’
রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় কাবু উত্তরের জেলা দিনাজপুরের মানুষ। অতিরিক্ত শীতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু জেলায় প্রাথমিকের পাঠদান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক শাখার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ নির্দেশনা অমান্য করেই খোলা রাখা হয়েছে।
খোলা রাখার তালিকায় বাদ যায়নি দিনাজপুর জিলা স্কুল, দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এমনকি জেলা প্রশাসন পরিচালিত দিনাজপুর কালেক্টরেট উচ্চবিদ্যালয়ও।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, করোনাকালীন দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল, তাই তিনি এখন বিদ্যালয়গুলো চালাতে চান।
এদিকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয় বন্ধ রাখার অনুরোধ করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। গত এক সপ্তাহে এ জেলায় ৪ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা দুই সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহসহ তীব্র শীত বিরাজ করছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৮ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। গত দুই দিনে কুয়াশা কিছুটা কমলেও বয়ে যাচ্ছে হিমেল বাতাস। দুপুরের দিকে কিছু সময় সূর্যের আলোর দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ার কারণে রোদ অনুভূত হচ্ছে না। কাহিল হয়ে পড়েছেন শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। এ অবস্থায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে খুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাতায়াত করছে।
সোমবার সকালে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায়, কোথাও ক্লাস চলছে, কোথাও চলছে প্রাত্যহিক সমাবেশ। সকাল পৌনে ১১টায় কালেক্টরেট স্কুলে প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) করতে দেখা যায়।
স্কুলগেটে অপেক্ষমাণ অভিভাবক কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে এমন ঠান্ডায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কথা। তারপরও স্কুল খোলা। এক রকম জোর করেই ছেলেকে স্কুলে আনলাম। এখন তো পরীক্ষা নেই, পারফরমেন্সের ওপর ফলাফল হয়। না হলে তো ছেলে অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাবে।’
শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় স্কুলে আসার পথে কথা হয় সেন্ট ফিলিপস উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা আবু তালেবের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই শীতে বের হওয়া যে কী কষ্টের ভাই! এক সপ্তাহ স্কুলটা বন্ধ রাখলে কী হবে? সরকার তো ঘোষণা দিছে, তারপরও স্কুল খোলা। কী আর করার আছে বলেন!’
সোমবার সকাল থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। বিষয়টিতে তারা বিব্রত। তবে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রধান শিক্ষকেরা কোনো নির্দেশনাও পাননি বলে জানিয়েছেন।
দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লায়লা হাসিনা বানু বিদ্যালয় খোলা রয়েছে জানিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গতকাল বিভাগীয় উপপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার সমন্বয় করবেন। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।’
জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার চিরিরবন্দর সরকারি মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাস চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজ সোমবার দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি নামলেও আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। তাই স্কুল খোলা রেখেছি।’
বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী জানান, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় স্কুল খোলা কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম, চার ভাগের এক ভাগ।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে তাপমাত্রা কম ছিল, পরে বাড়ছে। ডিডির (আঞ্চলিক উপপরিচালক) সঙ্গে কথা বলেছি, সিদ্ধান্ত নেব। স্কুল তো অনেক দিন বন্ধ ছিল, আমি স্কুলগুলো চালাতে চাচ্ছি।’
রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’
কেঁদে কেঁদে বাবার কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল তিন বছরের শিশু মুসা; কিন্তু বাবা আহাদ মোল্লা থামেননি। গলা কেটে তিনি হত্যা করেন মুসাকে। এর আগে বড় ছেলে সাত বছরের রোহানকে একইভাবে হত্যা করেন আহাদ। তারপর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এই ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার সকালে রাজধানী
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৯ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৯ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে