প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোয় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত দুদিনে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে নদীর পানি বেড়ে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদীর পাড়ে শুরু হয়েছে নদীভাঙন।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)। যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জানা যায়, ভারতের সিকিম উপত্যকা থেকে সৃষ্ট তিস্তা নদী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উজানে ভারতের অংশে ভারত সরকার বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা নদীর পানি এক তরফাভাবে ব্যবহার করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে কোনো পানি থাকে না। মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তা। আবার বর্ষাকালে অতিবর্ষণের ফলে ভারতের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যা আর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলাসহ নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা।
বুধবার রাত থেকে ভারত সরকার অতিমাত্রায় পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা নদীতে বাংলাদেশ অংশে পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। এতে নদীর দুকূল উপচে বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। করোনাকালীন এ সময়ের বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
একদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি, অন্যদিকে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা জেলার সিন্দুনা, মহিষখোছা ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদীপাড়ের শত শত মানুষ। ভাঙনের কবলে পড়ে অনেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বসতবাড়ি। বিশেষ করে শেষ সম্বল আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা মানুষজন।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টের বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্র জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি উঠানামা করছিল। দুদিন ধরে পানি কিছুটা কমলেও গতকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্যারেজের ভাটিতে নদী তীর বর্তি বেশ কিছু গ্রামে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
সিন্দুনা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের আব্বাস মিয়া ও আজিজার রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে হু হু করে ঘোলা পানি আসছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি আরও বাড়ছে। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। করোনা, নদীভাঙন ও বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তাঁরা।
মহিষখোছা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মজিদ হোঁচট জানান, আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। এ ছাড়া নদীভাঙনের কারণে অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকের শেষ সম্বল আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার মানুষজন কোন ত্রাণ চায় না। ভাঙনরোধে এলাকার মানুষজনের একটিই দাবি সেটি হলো বাঁধ।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, তিস্তার প্রবল ভাঙনে এ পর্যন্ত ৫০টি বাড়িঘর, আবাদি জমি প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা ভেঙে নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের কবলে রয়েছে চর চিলমারী গ্রামটি। এ ছাড়াও সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
তিস্তা ব্যারাজের পানি পরিমাপ শাখার কর্মকর্তা নুর ইসলাম বলেন, ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেই সব এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নদীপাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ মজুত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোয় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গত দুদিনে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে নদীর পানি বেড়ে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদীর পাড়ে শুরু হয়েছে নদীভাঙন।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)। যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জানা যায়, ভারতের সিকিম উপত্যকা থেকে সৃষ্ট তিস্তা নদী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। উজানে ভারতের অংশে ভারত সরকার বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তা নদীর পানি এক তরফাভাবে ব্যবহার করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে কোনো পানি থাকে না। মরুভূমিতে পরিণত হয় তিস্তা। আবার বর্ষাকালে অতিবর্ষণের ফলে ভারতের অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ অংশে ভয়াবহ বন্যা আর তীব্র ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলাসহ নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা।
বুধবার রাত থেকে ভারত সরকার অতিমাত্রায় পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা নদীতে বাংলাদেশ অংশে পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। এতে নদীর দুকূল উপচে বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। করোনাকালীন এ সময়ের বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
একদিকে নদীর পানি বৃদ্ধি, অন্যদিকে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা জেলার সিন্দুনা, মহিষখোছা ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদীপাড়ের শত শত মানুষ। ভাঙনের কবলে পড়ে অনেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বসতবাড়ি। বিশেষ করে শেষ সম্বল আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় সবকিছু হারিয়ে দিশেহারা মানুষজন।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টের বন্যা পূর্বাভাষ কেন্দ্র জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি উঠানামা করছিল। দুদিন ধরে পানি কিছুটা কমলেও গতকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যারেজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে ব্যারেজের ভাটিতে নদী তীর বর্তি বেশ কিছু গ্রামে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
সিন্দুনা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের আব্বাস মিয়া ও আজিজার রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে হু হু করে ঘোলা পানি আসছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি আরও বাড়ছে। গ্রামের অধিকাংশ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। করোনা, নদীভাঙন ও বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তাঁরা।
মহিষখোছা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মজিদ হোঁচট জানান, আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। এ ছাড়া নদীভাঙনের কারণে অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকের শেষ সম্বল আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার মানুষজন কোন ত্রাণ চায় না। ভাঙনরোধে এলাকার মানুষজনের একটিই দাবি সেটি হলো বাঁধ।
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, তিস্তার প্রবল ভাঙনে এ পর্যন্ত ৫০টি বাড়িঘর, আবাদি জমি প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা ভেঙে নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের কবলে রয়েছে চর চিলমারী গ্রামটি। এ ছাড়াও সেখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক যে কোন সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
তিস্তা ব্যারাজের পানি পরিমাপ শাখার কর্মকর্তা নুর ইসলাম বলেন, ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। তিস্তা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও কি পরিমাণ পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেই সব এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নদীপাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ মজুত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৫ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৬ ঘণ্টা আগে